শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১২ অপরাহ্ন
ক্রাইমসিন২৪ ডেস্ক: শোনা গিয়েছিল মাধ্যমিক পরীক্ষার পর নায়িকা হয়ে বড় পর্দায় ফিরবেন। পরীক্ষা শেষ, ফলও বেরিয়েছে। এবার কী ভাবছেন প্রার্থনা ফারদিন দীঘি? সবিস্তারে জানালেন মাহতাব হোসেনকে
কণ্ঠস্বর শুনে বোঝার উপায় নেই দীঘিই কথা বলছেন। সেই পরিচিত কণ্ঠটা আর নেই।
পর্দায় তাঁর মুখ থেকে এমন কণ্ঠ শোনা গেলে ধরে নেওয়া যেত ডাবিং অন্য কেউ
করেছেন। কিন্তু হাতের নাগালে যে দীঘি, তাঁর কণ্ঠ এমন হবে কেন?
‘আর বলবেন না! ঠাণ্ডা-কাশির সঙ্গে জ্বর বাঁধিয়ে ফেলেছি। ক্রমাগত আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে গলা বসে গেছে। সেইসঙ্গে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল নিয়ে দুশ্চিন্তায় বেশ কয়েক দিন ধরে এই অবস্থা’—বললেন দীঘি।
কথা বলতে সমস্যা হবে না তো? ‘এখন অনেকটাই সুস্থ। সমস্যা হবে না।’
মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রসঙ্গটা যখন এলোই, ওটা দিয়েই কথা বলতে পারি? দুইবার করে ‘হ্যাঁ’ বলে সম্মতি জানালেন। জিপিএ ৩.৬১, এই ফলে আপনি সন্তুষ্ট? বড়দের মতো করেই বললেন, ‘আসলে শোবিজ সংশ্লিষ্টদের অত ভালো রেজাল্ট হতে নেই। শোবিজে যারা কাজ করে তাদের অত মেধাবী ধরে নেওয়াটাও বোকামি। তবে হ্যাঁ, আমার পরিবার ও পরিচিতরা ভেবেছিল আরো ভালো ফল হবে আমার। কিন্তু আমার প্রত্যাশা খুব বেশি ছিল না। পদার্থবিদ্যা, রসায়ন ভালো দিয়েছি। গণিতে সমস্যা হয়ে গেছে। প্রশ্নপত্রই কঠিন হয়েছে। তবু ফল যা হয়েছে তাতেই আমি খুশি। আরেকটা কথা, আমি কিন্তু বাংলা মাধ্যমে নয়, ইংরেজি ভার্সনে মাধ্যমিক দিয়েছি।’
হাই স্কুলে ওঠার পর মনস্থির করেছিলেন চিকিৎসক হবেন। অষ্টম শ্রেণিতে ওঠার পর ইচ্ছাটা বদলে গেল। নবম শ্রেণিতে উঠে সিদ্ধান্ত নিলেন আর্কিটেক্ট হবেন। মাধ্যমিকের ফল সব হিসাব-নিকাশ উল্টে দিল। এই ফল নিয়ে কোথায় ভর্তি হবেন, বিজ্ঞান পড়া চালিয়ে যাবেন কি না—সব কিছুর ওপর নির্ভর করছে তার আর্কিটেক্ট হওয়া না হওয়া।
চলচ্চিত্রের এই মন্দা অবস্থায় পেশাদারি অভিনয়ে আসতে চাইছি না। জানি এই
মন্দা অবস্থা হয়তো কিছুদিনের মধ্যেই কেটে যাবে। তখনই আসব, সময় তো চলে
যাচ্ছে না।
বাবা সুব্রত মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে কী ভাবছেন? দীঘি বলেন, ‘বাবা কখনোই আমার
ওপর কোনো কিছু চাপিয়ে দেন না। কত দিন ধরে খবর শোনা যাচ্ছে, আমি নায়িকা হয়ে
পর্দায় ফিরছি। প্রস্তাব কিন্তু একের পর এক পাচ্ছি। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর
আরো বেশি প্রস্তাব আসছে। বাবা মোটেও আমাকে এসব নিয়ে চাপ দেন না, আমি করতে
চাইলে নাও করবেন না।’
সাম্প্রতিক সময়ে ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপস টিকটকে দীঘি বেশ সপ্রতিভ। তাঁর অভিনয়, নাচ, অভিব্যক্তি দেখে মুগ্ধ অনেক দর্শকই। কিন্তু পেশাদারি অভিনয় নিয়ে দীঘি এত কৌশলী কেন? ‘নায়িকা হওয়ার বিষয়টা নিয়ে বাবার সঙ্গে আলাপ করে নিয়েছি। এমনও হতে পারে ছয় মাস পর আমাকে পর্দায় নায়িকারূপে পেয়ে যাবেন, আবার দুই বছরও লেগে যেতে পারে।’ বলে নিজেই হাসলেন দীঘি। একটু থেমে আবার বললেন, ‘আসলে চলচ্চিত্রের এই মন্দা অবস্থায় পেশাদারি অভিনয়ে আসতে চাইছি না। জানি এই মন্দা অবস্থা সাময়িক। হয়তো কিছুদিনের মধ্যেই কেটে যাবে। তখনই আসব, সময় তো চলে যাচ্ছে না।’
নায়িকা তিনি হবেনই, এটা নিশ্চিত। নায়িকা হওয়ার আগ পর্যন্ত বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেলিং করে যেতে চান। ফটোশুটেও অংশ নিচ্ছেন। কয়েক দিন আগেই করলেন প্রাচুর্য ফ্যাশনের ফটোশুট।