রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:১৮ পূর্বাহ্ন
বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডাঃ এম. এ. আজাদ সজল এর লাশ নগরীর মমতা স্পেশালাইজড হাসপাতালের লিফটের নীচ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার সকালে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি রহস্যজনক বলে মনে করে, এর তদন্ত ও বিচার দাবি করেছে স্বজনরা। এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, বিষয়টি দুর্ঘটনা হতে পারে। আর পুলিশ বলছে, ঘটনার তদন্ত শেষে নেয়া হবে আইনগত ব্যবস্থা।
শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ এম. এ. আজাদ এর পরিবার ঢাকায় বসবাস করেন। এ কারণে প্রায় বছরখানেক যাবত তিনি নগরীর কালিবাড়ি রোডের মমতা হাসপাতালের সাত তলার একটি কক্ষে বসবাস করতেন। মঙ্গলবার সেহেরির সময় তার স্ত্রী ঢাকা থেকে ফোনে যোগযোগ করে না পাওয়ায় মমতা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার রুমে তালা দেয়া দেখে পুলিশে খবর দেয়। সকালে পুলিশের উপস্থিতিতে ওই কক্ষের তালা ভাঙ্গা হয়। এরপর খোজাখুজি করে হাসপাতালের নীচতলায় লিফটের নীচে তার লাশ দেখতে পান হাসপাতালের এক কর্মী। তবে এই মৃত্যুকে প্রাথমিকভাবে সন্দেহজনক বলে মনে করছেন স্বজনরা।
তবে এই মৃত্যু দুর্ঘটনা হতে পারে বলে মনে করছেন মমতা হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা: জহিরুল হক মানিক।
বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা: বাকির হোসেন জানান, সে খুব ভালো চিকিৎসক ছিলো। আর সে আমাদের হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের একমাত্র চিকিৎসক ছিলো। তার এমন মৃত্যু কাম্য ছিলো না।
এদিকে তদন্ত শেষে এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানালেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার (দক্ষিণ) মোকতার হোসেন।
মৃত চিকিৎসকের মোবাইল ও চশমা ছিলো মমতা হাসপাতালের রুমের মধ্যে। সুরতহাল শেষে তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য দুপুরে মেডিকেলের মর্গে পাঠানো হয়েছে