শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০৫ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেক্স :আনুষ্ঠানিকভাবে সুশান্তের মৃত্যু তদন্তকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বা সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছে কেন্দ্র। বুধবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় এমন সিদ্ধান্তের পরপরই অপর কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের সমন গেল রিয়া চক্রবর্তীর কাছে।
শুক্রবার (৭ আগস্ট) সকাল ১১টায় ইডির দফতরে হাজিরা দিতে হবে রিয়া চক্রবর্তীকে। অভিনেতার কথিত বান্ধবী রিয়ার বিরুদ্ধে ১৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনেছে সুশান্তের পরিবার।
সুশান্তের প্রতিষ্ঠিত দুটি সংস্থার ডিরেক্টরের পদেও রয়েছেন রিয়া ও তার ভাই শৌভিক চক্রবর্তী। এই সংস্থাগুলোর আর্থিক লেনদেন খতিয়ে দেখছে ইডি।
গত ৩১ জুলাই এনফোর্টমেন্ট কেস ইনফরমেশন রিপোর্ট বা ইসিআইআর রিপোর্ট দায়ের করা হয়েছে রিয়া চক্রবর্তী ও তার পরিবার এবং ম্যানেজারের বিরুদ্ধে। সুশান্তের পরিবারের দায়ের করা এফআইআর রিপোর্টের ভিত্তিতেই দায়ের হয়েছে এই ইসিআইআর রিপোর্ট।
এদিকে, রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে বিহার পুলিশের কাছে এফআইআর দায়েরের খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই ‘গায়েব রিয়া’। অজানা এক লোকেশন থেকে গত বুধবার একটি ২০ সেকেন্ডের ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেন রিয়া। বিহার পুলিশের ডিজিপি গুপ্তেশ্বর পাণ্ডে সংবাদমাধ্যমকে জানান, রিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ বিহার পুলিশ, তিনি পলাতক।
বুধবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের কর্তৃক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় রিয়ার অ্যাসোসিয়েট স্যামুয়েল মিরান্ডাকে, যিনি শত চেষ্টা সত্ত্বেও বিহার পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে অস্বীকার করেছিলেন।
অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টে রিয়ার আইনজীবী তার মক্কেলকে সুরক্ষাকবচ দেওয়ার আবেদন জানালে, সেটিও খারিজ হয়ে যায়। আদালত জানিয়েছে, আপাতত মুম্বাই ও বিহার পুলিশ উভয়পক্ষই এই মামলার তদন্ত চালাচ্ছে। চাইলেই তারা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। তবে আপাতত আনুষ্ঠানিকভাবে এই মামলার তদন্ত গ্রহণ করেছে সিবিআই।