রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন
পদ্মা ও গঙ্গা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানির সমতল বাড়বে আরও ৪৮ ঘণ্টা। ফলে দেশের নয় জেলার বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
পাউবো বলছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও সুরমা-কুশিয়ারা নদ-নদীগুলোর পানি সমতল হ্রাস পাবে।পাউবো পর্যবেক্ষণ অধীন ৯৩টি স্টেশনের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৬টি পয়েন্টে পানি বেড়েছে, ২৪টিতে কমেছে। আর বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে চারটি পয়েন্টের পানি।
গোয়ালন্দে পদ্মার পানি বিপদসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, কামারখালীতে গড়াই নদীর পানি ২৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, হার্ডিঞ্জ ব্রিজে গঙ্গা নদীর পানি ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে আর মেঘনা ব্রিজে মেঘনা নদীর পানি বিপদসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ভারত থেকে নেমে আসা পানিতে এরই মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, পাবনা, রাজশাহী, রাজবাড়ী ও মাগুরা জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
গত কয়েকদিন বাংলাদেশের সীমান্তর্তী ভারতের বিভিন্ন জেলা ও বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বৃষ্টিপাত বেড়েছে। ফলে নদ-নদীর পানিও বাড়ছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় বন্যা হয়েছে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছেন, গত কয়েকদিনের তুলনায় বৃষ্টিপাত কমেছে। বুধবার (২ অক্টোবর) দেশের অধিকাংশ জায়গায় তেমন বর্ষণ হয়নি। সবেচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বরিশালের খেপুপাড়ায়, ৮৫ মিলিমিটার।
বৃষ্টিপাতের এ প্রবণতা দুইদিনে একটু পরিবর্তন হতে পারে। আর আগামী সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে ফের বাড়বে বৃষ্টিপাত।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেওয়া এক পূর্বাভাসে সংস্থাটি বলছে, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছুকিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরণের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।