শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৩:১৬ পূর্বাহ্ন
ক্রাইমসিন ডেক্সঃ
ফরচুন বরিশালের এই বিজয়ে বাঁধভাঙা উল্লাসে মেতেছে বরিশালবাসী।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে শ্বাসরুদ্ধকর বিপিএল ফাইনাল খেলা শেষ হতেই তরুণ-তরুণীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উল্লাসে রাস্তায় নেমে আসেন এবং আনন্দ মিছিল করেন।
প্রধান প্রধান সড়কগুলো ছাড়াও ‘বরিশাল, বরিশাল’ স্লোগানে বরিশাল নগরের অলিগলি মুখরিত হয়ে ওঠে। অনেক জায়গায় আতশবাজি-পটকা ফুটিয়ে বিজয়ের উল্লাস করা হয়। কেউ কেউ আবার মোটরসাইকেল বহর নিয়েও করেছেন উল্লাস।
এছাড়া ফাইনাল খেলা উপলক্ষে নগরীর প্রায় সিংহভাগ পাড়া, মহল্লায় ভুরি ভোজেরও আয়োজন ছিল। এছাড়াও নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বাজি ফুটিয়ে আনন্দ প্রকাশ করেছেন ক্রীড়াপ্রেমীরা।
নগরীর বগুড়া রোড বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে বড় পর্দায় খেলা দেখা ও খিচুড়ির আয়োজন করা সাইফুল ইসলাম সুজন বলেন, বড় পর্দায় খেলা দেখা ও খিচুড়ির আয়োজন করা হয়। বরিশাল জিতেছে, আয়োজন সার্থক হয়েছে।
ক্রিকেটপ্রেমী নগরের সদর রোড এলাকার বাসিন্দা রায়হান বলেন, শেষ ১৫ মিনিটের খেলায় রানের হার কমে যাওয়া ও একাধিক উইকেটের পতন টেনশনের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
১৮তম ওভারে তো ধরেই নিয়েছিলাম বরিশাল হারবে। কিন্তু রিশাদের ব্যাটিং দেখে ভরসা পাই। আর কয়েক মুহূর্ত পার হতে না হতেই চ্যাম্পিয়ন ট্রফি বরিশালের হাতে, এটা এখনও ভাবতে পারছি না। এলাকার অন্য সবার সঙ্গে তাই বিজয় মিছিল নিয়ে রাস্তায় নেমে এসেছি।
বরিশাল নগরের নতুনবাজার এলাকার বাসিন্দা সুভাস দাস বলেন, এ মুহূর্তে বরিশালবাসীর সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হচ্ছে; ভালোবাসার টিম ‘ফরচুন বরিশাল’ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে এবারও চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এ নিয়ে টানা দুবার ফরচুন বরিশাল বিপিএল শিরোপা নিজেদের ঘরে নিল।
এজন্য তামিম ইকবালসহ ফরচুন বরিশাল টিমের মালিক, ক্রিকেটারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।
এদিকে আগামীতেও তামিমের নেতৃত্ব দেখার প্রত্যাশা জানিয়ে গোলাম মোর্শেদ নামে এক দর্শক বলেন, সবারই অবদান ছিল। এর মধ্যে তামিম অধিনায়ক হিসেবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাই আমরা আশাবাদী আগামী মৌসুমে বরিশালের নেতৃত্ব তার কাঁধে থাকবে। শেষ ওভারে রিশাদ হোসেনের ছয় বড় ভূমিকা রেখেছে।
বিপিএল ফাইনাল খেলাকে করে নগরের বিভিন্ন এলাকায় প্রজেক্টরের মাধ্যমে খেলা দেখার আয়োজন করা হয়। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বরিশালের পক্ষ থেকে ঐতিহ্যবাহী বেলস্ পার্ক মাঠে বিশাল স্ক্রিনে খেলা দেখার আয়োজন করা হয়। যেখানে হাজারো মানুষ একত্রে খেলা দেখেন এবং শেষে বিজয় উৎসবে মেতে ওঠেন।
উল্লেখ্য, ফাইনাল খেলায় টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামে চিটাগাং কিংস। যেখানে শুরুটা ছিল বেশ ভালো। যেখানে পারভেজ হোসেন ইমন ও খাজা নাফে ৭৬ বলে ১২১ রানের দারুণ জুটি গড়েন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে চিটাগাং কিংস ১৯৪ রান করে। যার জবাবে ফরচুন বরিশাল ৭ উইকেট হারিয়ে ১৯৫ রান করে। যার মধ্য দিয়ে ফরচুন বরিশাল ৩ উইকেটে জয়ী হয়।