রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১২ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
সারজিস আলম বলেছেন, খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের পুনর্বাসনের প্রশ্নে, তাদের পক্ষে কারও সাফাই গাওয়ার প্রশ্নই আসে না কলাপাড়ায় জাকির স্মৃতি শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে সিকদার বাড়ি চ্যাম্পিয়ন কুয়াকাটায় একটি ইলিশ অনলাইনে ৬ হাজার টাকায় বিক্রি কলাপাড়ায় নিম্নবিত্তদের স্বস্থি দিতে সরাসরি কৃষকদের সবজি বাজার গুজব ছড়ানোর আগে তিনি নিজের ভাই-বোন-পরিবারের কথা চিন্তা করতে বলেছে : স্নিগ্ধ কলাপাড়ায় পৌর ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সমাবেশ সভাপতি গোসাই – সম্পাদক বিকাশ।কলাপাড়ায় শ্রীগুরু সঙ্ঘের কমিটি গঠন মহিপুরে নসিমনের নিচে চাপা পড়ে গৃহবধূর মৃত্যু তথ্য পরিচালক মনিরুজ্জামানের মায়ের ইন্তেকাল, বিভিন্ন মহলের শোক কলাপাড়ায় আমন মৌসুমে উফসী জাতের ধানের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরন শীর্ষক মাঠ দিবস সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন তিন বাহিনী প্রধান বাংলাদেশ প্রতিবেশীসহ সব দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চায় বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক আলোচিত সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তমকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত ঝালকাঠির রাজাপুরে ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমরের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে মামলা দিতে থানায় গেলে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ কলাপাড়ায় পৌর ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সমাবেশ
‘প্রতিবন্ধিতা’ হার মেনেছে বিজয় সাঁওতালের কাছে

‘প্রতিবন্ধিতা’ হার মেনেছে বিজয় সাঁওতালের কাছে

Sharing is caring!

চা বাগানের পাকা পথ ঘিরে নির্জন বিকেল। হঠাৎ করে কেউ হয়তো আসছে এ পথ ধরে, তারপরই এখানে শূন্যতা নামে। দূর গাছের ওই মাথায় পাহাড়ি পাখির ডাকে এ পরিবেশকে অন্যরকম রূপ দিয়ে রেখেছে।

এমন অলস দুপুরের নির্জনতা ঘিরে চা গাছগুলোতে দিবসের শেষ রোদের মাখামাখি। সম্প্রতি মিরতিঙ্গা চা বাগানের প্রতিবন্ধী পৌঢ় বিজয় সাঁওতাল এমন বৈকালিক নির্জন পথিক। কাঁধে তুলে লাকড়ির বোঝা নিঃশব্দে জীবনের বহমান দারিদ্রতা আর জটিলতার জানান দেয়।

 তবে বিজয় হার মানিয়েছেন তার শারীরিক অক্ষমতাকে। সেইসঙ্গে ক্ষুদ্রাকার মানুষ তিনি। উচ্চতা তেমন নেই বললেই চলে। প্রতিদিন রুটিনমাফিক কর্তব্যকর্মে ছাপিয়ে পড়তে হয়। সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে বিকেলে ফেরা। সবকিছুই যেন চলমান বেঁচে থাকার তাগিদে।

বিজয় সাঁওতাল বলেন, ‘আমার কী কথা শুনবেন বাবু? আমার তো পোড়াকপাল। ছোট থেকেই হাঁটতে পারি না। বাবা-কাকারা বলেছেন, জন্মের পর একটা অসুখ হয়েছিল। তারপর থেকেই হাঁটার শক্তি হারিয়ে ফেলি আমি। তবে আমি বসে খাই না। কাজ করে খাই।’

কাজের বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি আমার বড় ভাই সত্য সাঁওতালের সঙ্গে থাকি। বৌদি অনিকা সাঁওতাল আমাকে তার নিজের সন্তানের মতোই দেখেন। ভাইয়ের পরিবারকে দেখাশোনা করি। আমাদের পাঁচটি গরু আছে। প্রতিদিন সকালে সেগুলোকে নম্বরে নিয়ে যেতে হয় ঘাস খাওয়ানোর জন্য। সারাদিন গরুগুলোকে এদিক-ওদিক চরিয়ে বিকেলে বাড়ি নিয়ে আসি।’

তিন মাস পর পর ২১০০ টাকা করে বয়স্কভাতা পাই। ভাইয়ের দেওয়া কিছু টাকা আর সরকারি ভাতার টাকা দিয়ে আমার কোনো মতো চলে যায় বলে জানান বিজয়।

বিয়ে-শাদির কথা বলতেই মলিনতা ঘিরে ধরে তার মুখমণ্ডলে। ‘আমাকে কে বিয়ে করবে বাবু? আমি তো ঠিক মতো হাঁটতে পারি না, খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাঁটি।

মিংতিঙ্গা চা বাগানের চা শ্রমিক বাদল ভূঁইয়া বলেন, বিজয় সাঁওতাল অনেক কষ্ট করে জীবনে। বিয়ে করেনি। ভাইয়ের সংসারকে নিজের মনে করে আকড়ে ধরে আছে। সংসারের দৈনিক কাজকর্ম করেই জীবন পার করে দিচ্ছে সে।

যারা বিজয় সাঁওতালের মতো প্রতিবন্ধী, যারা স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে পারে না অথচ দৈনিক কর্তব্য পালন করে চলে সুন্দরভাবে তারাই কর্মবীর। সময়ের মানদণ্ডে উজ্জ্বল হতে থাকে তাদের কর্মগাঁথা।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD