সোমবার, ৩০ Jun ২০২৫, ০৯:৩৩ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
শিক্ষাবোর্ড কর্মচারী বড় সিরাজের দলবদল পরিক্রমা শের-ই বাংলা মেডিকেলের মেডিসিন বিভাগ পূর্বের স্হানে ফিরিয়ে নেয়ার দাবীতে মানববন্ধন বরিশালে ছাত্রশিবিরের “সাথী শিক্ষা বৈঠক–২০২৫” অনুষ্ঠিত অসুস্থ শ্রমিকদল নেতার পাশে দাঁড়ালেন ফয়েজ খান কুয়াকাটায় অতিরিক্ত মদপানে পর্যটকের মৃত্যু সরকারি সৈয়দ হাতেমআলী কলেজের বিএ অনার্স (২০১৯-২০) এর শিক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত বরিশালে কাশিপুর ও বাঘিয়ায় সক্রিয় অপরাধীরা, প্রশাসনের নজরদারী বাড়ানোর দাবিতে মানববন্ধন লক্ষ্য রাখতে হবে আওয়ামী সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজ, দাগি আসামি যাতে দলে ভিড়তে না পারে (আবদুল আউয়াল মিন্টু) কলাপাড়ায় নানা আয়োজনে রথ উৎসব অনুষ্ঠিত বরিশালে জিয়া সড়ক রাস্তা ও ড্রেনেজ সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর নিহত যুবদল নেতার কন্যার বিয়েতে মানবিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত অ্যাডভোকেট মাজহারুল ইসলাম জাহান ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে এইচএসসি ২০২৫ পরীক্ষার্থীদের জন্য তথ্যসেবা ও মাস্ক বিতরণ  মেহেন্দিগঞ্জে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেদিয়ে এইচ,এসসি ও আলিম পরীক্ষা কলাপাড়ায় ভেড়িবাঁধ সহ স্লুইজ গেট ধ্বসে পড়ার শঙ্কা পায়রা বন্দর এর উন্নয়ন, অগ্রগতি, সম্ভাবনা এবং অপারেশনাল কার্যক্রম বিষয়ক মতবিনিময় সভা
‘প্রতিবন্ধিতা’ হার মেনেছে বিজয় সাঁওতালের কাছে

‘প্রতিবন্ধিতা’ হার মেনেছে বিজয় সাঁওতালের কাছে

Sharing is caring!

চা বাগানের পাকা পথ ঘিরে নির্জন বিকেল। হঠাৎ করে কেউ হয়তো আসছে এ পথ ধরে, তারপরই এখানে শূন্যতা নামে। দূর গাছের ওই মাথায় পাহাড়ি পাখির ডাকে এ পরিবেশকে অন্যরকম রূপ দিয়ে রেখেছে।

এমন অলস দুপুরের নির্জনতা ঘিরে চা গাছগুলোতে দিবসের শেষ রোদের মাখামাখি। সম্প্রতি মিরতিঙ্গা চা বাগানের প্রতিবন্ধী পৌঢ় বিজয় সাঁওতাল এমন বৈকালিক নির্জন পথিক। কাঁধে তুলে লাকড়ির বোঝা নিঃশব্দে জীবনের বহমান দারিদ্রতা আর জটিলতার জানান দেয়।

 তবে বিজয় হার মানিয়েছেন তার শারীরিক অক্ষমতাকে। সেইসঙ্গে ক্ষুদ্রাকার মানুষ তিনি। উচ্চতা তেমন নেই বললেই চলে। প্রতিদিন রুটিনমাফিক কর্তব্যকর্মে ছাপিয়ে পড়তে হয়। সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে বিকেলে ফেরা। সবকিছুই যেন চলমান বেঁচে থাকার তাগিদে।

বিজয় সাঁওতাল বলেন, ‘আমার কী কথা শুনবেন বাবু? আমার তো পোড়াকপাল। ছোট থেকেই হাঁটতে পারি না। বাবা-কাকারা বলেছেন, জন্মের পর একটা অসুখ হয়েছিল। তারপর থেকেই হাঁটার শক্তি হারিয়ে ফেলি আমি। তবে আমি বসে খাই না। কাজ করে খাই।’

কাজের বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি আমার বড় ভাই সত্য সাঁওতালের সঙ্গে থাকি। বৌদি অনিকা সাঁওতাল আমাকে তার নিজের সন্তানের মতোই দেখেন। ভাইয়ের পরিবারকে দেখাশোনা করি। আমাদের পাঁচটি গরু আছে। প্রতিদিন সকালে সেগুলোকে নম্বরে নিয়ে যেতে হয় ঘাস খাওয়ানোর জন্য। সারাদিন গরুগুলোকে এদিক-ওদিক চরিয়ে বিকেলে বাড়ি নিয়ে আসি।’

তিন মাস পর পর ২১০০ টাকা করে বয়স্কভাতা পাই। ভাইয়ের দেওয়া কিছু টাকা আর সরকারি ভাতার টাকা দিয়ে আমার কোনো মতো চলে যায় বলে জানান বিজয়।

বিয়ে-শাদির কথা বলতেই মলিনতা ঘিরে ধরে তার মুখমণ্ডলে। ‘আমাকে কে বিয়ে করবে বাবু? আমি তো ঠিক মতো হাঁটতে পারি না, খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাঁটি।

মিংতিঙ্গা চা বাগানের চা শ্রমিক বাদল ভূঁইয়া বলেন, বিজয় সাঁওতাল অনেক কষ্ট করে জীবনে। বিয়ে করেনি। ভাইয়ের সংসারকে নিজের মনে করে আকড়ে ধরে আছে। সংসারের দৈনিক কাজকর্ম করেই জীবন পার করে দিচ্ছে সে।

যারা বিজয় সাঁওতালের মতো প্রতিবন্ধী, যারা স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে পারে না অথচ দৈনিক কর্তব্য পালন করে চলে সুন্দরভাবে তারাই কর্মবীর। সময়ের মানদণ্ডে উজ্জ্বল হতে থাকে তাদের কর্মগাঁথা।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD