মঙ্গলবার, ০১ Jul ২০২৫, ০১:০১ পূর্বাহ্ন
ক্রাইমসিন ডেক্সঃ
জুলাই আন্দোলনে নিরস্ত্র নিরীহ ছাত্র জনতার রক্ত নিয়ে হোলি খেলা স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট খুনী হাসিনার হেলমেট বাহিনী হিসেবে কুখ্যাত নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন ছাত্রলীগের বরিশাল মহানগর শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক চিহ্নিত সন্ত্রাসী মাদক কারবারী অসীম দেওয়ান যখন বেআইনী পন্থায় বরিশাল নথুল্লাবাদ বাস মালিক সমিতির সভাপতির পদ জোরপূর্বক বেদখল করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলো ঠিক তখন বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের অফিস সহকারী মোঃ সিরাজুল ইসলাম খান ওরফে বড় সিরাজ নিজের আখের গুছিয়ে নিতে অসীম দেওয়ানের হাতে ফুল দিয়ে ভারতের পা চাটা গোলাম কুখ্যাত আওয়ামীলীগের ছায়াতলে আশ্রয় নেয় ।
পরবর্তীতে ৫ই আগস্ট কুলাঙ্গার হাসিনার পলায়নের কারণে পিঠ বাঁচাতে বড় সিরাজ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এবং বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বরিশাল সদর আসনের সাবেক সাংসদ এ্যাড মোঃ মজিবুর রহমান সরোয়ারের সান্নিধ্য পাওয়ার জন্য তার বাসভবনে যোগাযোগ শুরু করেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় ।
এছাড়াও এ্যাড মজিবর রহমান সরোয়ার ঢাকা থেকে বরিশালের বাসায় পৌঁছালেই তার বাসায় যেয়ে নিয়মিত দেখা সাক্ষাৎ করে থাকেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৃণমূল বিএনপির একাধিক কর্মী প্রতিবেদক কে নিশ্চিত করেছেন ।
ইদানিং কালে দলীয় পদ পদবী বাগিয়ে নিতে এ্যাড মজিবুর রহমান সরোয়ারের ছোট ভাই মিজানুর রহমান অহিদের অফিসে দৈনিক সন্ধ্যার পর যাতায়াত করেন বলে জানান তারা ।
ভুইফোঁড় হাইব্রিড বিএনপি নামধারী বড় সিরাজ নিজের ভয়ংকর আওয়ামী পরিচয় আড়াল করে বিএনপির গভীরে অনুপ্রবেশের জন্য গেলো ঈদ উল আযহায় এ্যাড মজিবুর রহমান সরোয়ার এবং মিজানুর রহমান অহিদের ছবি দিয়ে নতুন বাজার এলাকায় চোখে পড়ার মত বিশাল ব্যানারও টানিয়েছেন ।
যদিও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সাংগঠনিক অভিভাবক তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী আওয়ামী লীগের সাথে ছবি আছে এমন ব্যক্তিকে কোনভাবেই বিএনপিতে অন্তর্ভুক্ত করা যাবেনা ।
আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের সুবিধাবঞ্চিত কর্মকর্তারা যখন চাকুরী বাঁচাতে দিশেহারা ছিলেন তখন আওয়ামী লীগের সাথে লিয়াজো বজায় রেখে সকল সুযোগ সুবিধা পেয়ে পদোন্নতি লাভ করেছেন অফিস সহকারী সিরাজুল ইসলাম খান ।
আওয়ামী ঘরানার লোকজনের সাথে একত্রিত হয়ে বিএনপি মাইন্ডের কর্মকর্তা কর্মচারীদের অহেতুক বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করে কোনঠাসা করে রাখার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে বাটপার বড় সিরাজের বিরুদ্ধে ।
বিগত ১৭ বছরে হামলা মামলায় জর্জরিত বাসা থেকে পালিয়ে থাকা বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীদের একটাই চাওয়া বিএনপি চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সাংগঠনিক অভিভাবক তারেক রহমানের সরাসরি হস্তক্ষেপের মাধ্যমে এই সমস্ত রং পাল্টানো গিরগিটি সদৃশ জীব থেকে অবিলম্বে পরিত্রাণ এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা দক্ষিণ এশিয়ায় সার্কের স্বপ্নদ্রষ্টা মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার জেডফোর্সের অধিনায়ক স্বাধীনতার ঘোষক বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা ১৯ দফা কর্মসূচীর স্রষ্টা সাবেক রাস্ট্রপতি মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের হাতে গড়া সংগঠন বিএনপির কলঙ্ক মোচন ।