রবিবার, ২৯ Jun ২০২৫, ০২:৪০ অপরাহ্ন
পারভেজ,বরিশাল প্রতিনিধিঃ
বরিশাল মেট্রোপলিটন এয়ারপোর্ট থানাধিন এলাকায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে অপরাধীরা।
ফলে বাড়ছে চুরি‚ডাকাতি, ছিনতাই, ধর্ষণ, মাদক কারবার ও খুনসহ নানা নজিরবিহিন ঘটনা। স্থানীয়দের দাবি- আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারীর অভাবে অপরাধের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে কাশিপুর-বাঘিয়া এলাকা। এমনটাই দাবী করেছেন ২৯ নং ওয়ার্ডস্থ বাঘিয়া মসজিদ ভিত্তিক সমাজ উন্নয়ন পরিষদ এর নেতৃবৃন্দ।
মসজিদ ভিত্তিক সমাজ উন্নয়ন পরিষদ এর উদ্যোগে ২৮শে জুন শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় লাকুটিয়া সড়কে এক বিশাল মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে তারা। প্রতিবাদী মনববন্ধনকারী বক্তারা বলেন এলাকায় মাদক সেবন‚ মাদক বেচা-কেনা‚ মোবাইল ফোনে অনলাইন জুয়া, পাশাপশি কেরাম বোডের জুয়ায় আসক্ত হয়ে কিশোর ও যুবকরা জড়িয়ে পড়ছে এসব অপরাধমূলক কর্মকান্ডে।
থানা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন এলাকায় সন্ধ্যার পরই বিভিন্ন অলিগলির মোড়ে মাদক বেচা-কেনা‚ রাত গভীর হলে চুরি ও ছিনতাই নিত্যদিনের ঘটনা। এদিকে পাশের কাউনিয়া সাদুর বটতলা এলাকায় স্বর্ণ প্রতারক চক্রের সদস্যরাও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
প্রতিনিয়ত তাদের ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হচ্ছে গ্রাম থেকে শহরে আসা বহু মানুষ। আর এই চক্রের অভয়াশ্রম হলো কাউনিয়া। এয়ারপোর্ট থানাধিন এলাকার মূল মূল সড়কে প্রশাসনের নজরদারীর জন্য সিসি ক্যামেরা না থাকায় বাড়ছে নানা অপরাধ ও মাদক কারবারিদের অবাদ বিচরন। হরহামেশাই ঘটছে ছিনতাই ও চুরি ডাকাতির মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড।
তাই এয়ারপোর্ট থানাধিন বিভিন্ন এলাকায় প্রশাসনের নজরদারী বাড়ানো ও মূল সড়কগুলোতে সিসি ক্যামেরা বসানোর দাবি জানান স্থানীয় বাসিন্দা। মাববন্ধনে উপস্থিত স্থানীয়রা বলেন- এয়ারপোর্ট থানাধিন মূল সড়কগুলোতে প্রশাসনের নজরদারীর জন্য নেই সিসি ক্যামেরা। নগরীর কাশিপুর ট্রাক স্ট্যান্ড ‚ রাজ্জাক খান সড়ক ‚ইছাকাঠি হাউজিং‚ চাপরাশি বাড়ি স্কুল ড্রেন সড়ক‚ বড় বাড়ি সিলেট ফেক্টরি‚ ইছাকাঠি কলোনি, শিপবাড়ি মোড়, কাশিপুর বাজারসহ বিভিন্ন এলাকার মূল মূল সড়কগুলোতে সিসি ক্যামেরা না থাকায় বাড়ছে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। নেই কোন থানা পুলিশের পর্যাপ্ত টহল ও চেক পোস্ট। তারা আরও জানায়- আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাদক বিক্রির স্পটগুলোতে মাঝে মাঝে অভিযান করলেও কিছুদিন পর রহস্যময় ভাবে সাবেক হয়ে যায় মাদক বিক্রির স্পটগুলো।
কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির ছত্রছায়ায় মাদকের সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এ কারণেই মাদক ব্যবসায়ীরা থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। বর্তমানে এয়ারপোর্ট থানাধিন এলাকাগুলো পরিণত হয়ে উঠেছে চুরি,ডাকাতি, ছিনতাই, মাদক বেচা-কেনা সাম্রাজ্যে।
ফলে খুব সহজেই মাদক বিক্রিতে জড়িয়ে পড়ছে তরুণ সমাজ। আরও বলেন, পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যাবসায়ীরা ছাড়াও চলমান দেশের পেক্ষাপটে নতুন ভাবে অনেক মাদক ব্যবসায়ীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
তাই মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে যুবসমাজ ধ্বংস হয়ে যাবে। এয়ারপোর্ট থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির সিকদার বলেন, চুরি,ডাকাতি, ছিনতাই, মাদক বেচা-কেনা আমার থানাধীন এলাকায় জিরো টলারেন্স করার জন্য প্রতিনিয়ত পুলিশরা কাজ করে যাচ্ছেন। কোনো ভাবেই মাদক ব্যবসা, চুরি, ছিনতাই এর সঙ্গে জড়িতদের কোন ভাবে ছাড় দেওয়া হবে না।
তিনি আরও বলেন- বিশেষ করে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অপরাধ মূলক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।