সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৬ অপরাহ্ন
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রগামী রাজনীতিবিদ এবং প্রভাবশালী আধ্যাত্মিক নেতা মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী। তিনিই মানুষকে শিখিয়েছিলেন অহিংস মতবাদ। বিশ্বজুড়ে মহাত্মা (মহান আত্মা) এবং বাপু (বাবা) হিসেবেই তাকে আপন করেছে শত কোটি মানুষ।
১৮৬৯ সালের ২ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন এই মহান নেতা। ভারতসহ পুরো বিশ্বই তাকে স্মরণ করছে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে।
১৮৮৩ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে বাবা মায়ের পছন্দে কস্তুরবা মাখাঞ্জীকে (কাস্তুবাই নামেও পরিচিত ছিলেন) বিয়ে করেন মহাত্মা গান্ধী।
১৮ বছর বয়সে ১৮৮৮ সালের সেপ্টেম্বরে ব্যারিস্টারি পড়তে লন্ডনে যান তিনি। এখানে ভারতীয় ও কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি সাধারণভাবে প্রচলিত বৈষম্যের শিকার হন। আর এসব পরবর্তীতে মহাত্মা গান্ধীর জীবন ও রাজনীতিতে বেশ প্রভাব রাখে।
মারাত্মক দুর্ভিক্ষের মাঝে ব্রিটিশ সরকার একটি শোষণমূলক কর চালু এবং তা বাড়ানোর চেষ্টা করে। এতে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে। খেদা এবং গুজরাটেও একইরকম সমস্যা ছিল। গান্ধী সেখানে একটি আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন এবং তার বহুদিনের সমর্থক ও স্থানীয় সেচ্ছাসেবকদের নিয়ে কাজ শুরু করেন। তিনি একটি পূর্ণাঙ্গ জরিপ চালিয়ে গ্রামের মৃত্যুর হার এবং গ্রামবাসীদের ভয়াবহ দূর্ভোগের তথ্য সংগ্রহ করেন।
গ্রামবাসীদের কাছে বিশ্বস্ত হওয়ার পর, তিনি গ্রামকে পরিষ্কার করার পাশাপাশি স্কুল ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন এবং গ্রামের নেতৃস্থানীয় লোকদের সামাজিক নির্যাতন এবং কুসংস্কার মুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান।মহাত্মা গান্ধী সমস্ত পরিস্থিতিতেই অহিংস মতবাদ এবং সত্যের ব্যাপারে অটল থেকেছেন।
তিনি খুব সাধারণ জীবনযাপন করতেন। তার নিজের পরার কাপড় ছিল ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় ধুতি এবং শাল যা তিনি নিজেই চরকায় বুনতেন।
তিনি নিরামিষ খাবার খেতেন। শেষ জীবনে ফলমূ্লই বেশি খেতেন। আত্মশুদ্ধি এবং প্রতিবাদের কারণে দীর্ঘ সময়ের জন্য উপবাস থাকতেন।
১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি দিল্লির বিরলা ভবনে (বিরলা হাউস) গান্ধীকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
গান্ধীর ব্যবহার করা রাজস্থানের ঐতিহ্যবাহী খাদি পোশাককে আধুনিকভাবে তৈরি করে ক্রেতার কাছে পৌঁছে দিতে ও খাদিকে টিকিয়ে রাখতে কাজ করছেন বাংলাদেশি আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বাংলাদেশি পোশাক ডিজাইনার ও মডেল বিবি রাসেল। এ প্রসঙ্গে বিবি বলেন, ভারতের মহান নেতা গান্ধী জি’র পোশাক ছিল খাদি কাপড়ে তৈরি থান। সেই কাপড় তারা আমার ওপর ছেড়ে দিয়েছেন সময়োপযোগী করে তুলতে। এটা একজন বাঙালি হিসেবে আমার জন্য গর্বের।