শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন
কলাপাড়া(পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ভ‚মিদস্যু, মামলাবাজ ও প্রতারক চক্রের হয়রানী থেকে প্রতিকার পেতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন উপজেলার টিয়াখালীর পায়রা বন্দরের ভ‚মি অধিগ্রহনে ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকগন।
বুধবার বেলা ১২টায় কলাপাড়া রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম ঢালী।
লিখিত বক্তব্যে মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম ঢালী বলেন, কলাপাড়ার ইটবাড়ীয়া মৌজায় পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের প্রয়োজনে পটুয়াখালী ভ‚মি অধিগ্রহন শাখার মাধ্যমে এল.এ কেস নং-০৬/২০১৮-১৯ এর মাধ্যমে আমাদের ৫৩ জন প্রকৃত ভ‚মি মালিকের জমি অধিগ্রহন করেন।
পূর্বে রাখাইন সম্প্রদায় মালিকদের কাছ থেকে আমাদের পূর্ব পুরুষগন ১৯৫৮ইং সন হইতে ক্রয় করে এই জমি দখল স্বত্বসূত্রে ভোগ করে পর্যায়েক্রমে ওয়ারিশ হিসাবে আমরা ভোগবান মালিক দখলকার বিদ্যমান আছি।
কিন্তু ভ‚মি অধিগ্রহন করার পর স্থানীয় ভ‚মিদস্যু, মামলাবাজ, প্রতারক চক্রের সদস্য কলাপাড়ার ধুলাসার এলাকার আহসান হাবীব কিছু রাখাইন সম্প্রদায়কে ভুল বুঝাইয়া ভ‚য়া ওয়ারিশ দেখিয়ে তাহাদের কাছ আমমোক্তারনামা নিয়ে বিভিন্ন মামলা-মোকদ্দমা সৃষ্টি করিয়া আমাদের মধ্যে জমির অংশ দাবী করিয়া নানাভাবে আমাদের নিকট চাঁদা চাহিয়া হয়রানী করে আসছে।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ০৫/০৭/১৯৫৮ ইং তারিখে ২৩৪৯ ও ২৩৫০ নং সাব-কবলা দলিলমূলে আ. মজিদ মিয়া বরাবরে ৪-৩২ একর ভ‚মি হস্তান্তর করিয়া দখল বুঝাইয়া দিয়া হাল এস.এ ১১৫ ন্ং খতিয়ানের নেবাও মগ নি:স্বত্তবান হন।
আর.এস ১৬নং খতিয়ানে ৫.৪১ একর ভ‚মি নিবাও মগের দ্বিতীয় স্ত্রী মেজাউ মগনী ১৪১/৫৬নং ডিক্রির মাধ্যমে প্রাপ্ত হন।
মেজাউ মগনী মারা যাবার পর তার পুত্র গমবুশে মগ ওরফে মংবশি মগ, গমবুশের স্ত্রী নেমউ এবং মংমংশে মগ (পুত্র) কন্যা লালয়ি, সোসোমা ও মিশো, আর.এস তথা হাল এস.এ ১৮০নং খতিয়ানে মালিক দখলকার থাকিয়া মিউটিশণ করাইয়া এস.এ ১৮০ নং খতিয়ানে ৫.৪১ একর ভ‚মির মধ্যে বিভিন্ন তারিখে ৫টি দলিল মূলে ফকর উদ্দিনসহ বিভিন্ন লোকদেরকে ৫.৪১ একর ভ‚মি হস্তান্তর করে গংবুশে মগ @ মংবশি গন নি:স্বত্তবান হন।
গংবুশে মগ ওরফে মংবশি মগ এর ওয়ারিশগন এস.এ ১১৫ নং খতিয়ানে কোন ভ‚মি প্রাপ্ত হয়নাই এবং সম্পূর্ন নিঃস্বত্তবান হন। নিঃস্বত্তবান ও দখলবিহিন অবস্থায় ০১/০১/২০২১ তারিখে ১৩৩৬ নং পাওয়র অব এ্যার্টনি ১১জন লোককে নিযুক্ত করিয়া আমমোক্তারকারী পক্ষে বিজ্ঞ আদালতে ইতিপূর্বে দেওয়ানী ১৮৫/২০ নং মোকদ্দমা দায়ের করিয়া ছিলেন।
কামরুল ইসলাম আরও বলেন, ১৯৫৬ সন থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত ২৬৭/২০২১ নং মামলার রায় ও ডিক্রি আমাদের পক্ষে। কিন্তু ভ‚মিদস্যু ও মামলা চক্রের প্রধান আহসান হাবীবসহ আমমোক্তারকারীগন এরপরেও একের পর এক মামলা অনায়ন করে আমাদের নানাভাবে হয়রানী করছে।
ফলে ভূমি অধিগ্রহনে জীবন-জীবিকা হারিয়ে জমির মূল্য না পেয়ে আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে বর্তমানে মানবেতর জীবন-যাপন করছি।
এসময় ভ‚মি অধিগ্রহনে ক্ষতিগ্রস্থ ও হয়রানির শিকার জমির মালিকগন উপস্থিত ছিলেন।
মোয়াজ্জেম হোসেন
কলাপাড়া পটুয়াখালী