সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৫ অপরাহ্ন
ক্রাইমসিন ডেক্সঃ
বরিশাল নবগ্রাম রোড সংলগ্ন ‘নয়গাঁও মাধ্যমিক বিদ্যালয়’ এর এক শিক্ষার্থী ও তার মায়ের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিদ্যালয়ের একাধিক অভিভাবক ও শিক্ষার্থী।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ওই বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষিকা রেবা আক্তার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- অভিভাবক নাহিদ সুলতানা, নাজনীন আক্তার, খাদিজা, শিরিন সহ শিক্ষার্থী তামিম, সিমরান সামিরা, তাসিন ইসলাম, মারুফ, নিশি, সামিয়া ও জুনায়েত সহ প্রায় অর্ধশত।
লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী তানজিলা আক্তার মাইসা কে নয়গাঁও মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহ বরিশাল শিক্ষা বোর্ড থেকে পূর্ণাঙ্গ বহিষ্কার এবং স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে বরিশাল বিমানবন্দর থানায় দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার এবং মামলার বাদি শিক্ষার্থী মাইসার মা খাদিজা আক্তারের উচ্ছৃঙ্খল কার্যকলাপের জন্য শত শত শিক্ষার্থীর পড়ালেখার পাশাপাশি অত্র স্কুলের পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
গত ২৭/১১/২০২৫ তারিখে মাইসা ও তার মা খাদিজা আক্তার স্কুল বসে অন্যান্য অভিভাবকদের সহ স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির লোকজন এবং শিক্ষক সহ সকলের সাথে অসৌজন্য মূলক আচরণ শুরু করলে সকল শিক্ষার্থী মাইসাকে বহিষ্কার-এর জন্য তারা তুমুল আন্দোলন করে।
পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য বিমান বন্দর থানার এসআই তারেক ও এএসআই আজমল সহ পুলিশের একটি টিমের উপস্থিতিতে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি ও অভিভাবকদের উপস্থিতিতে ছাত্রী মাইসার পরীক্ষা স্থগিত করার ঘোষণা দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
যা গত ৩০/১১/২০২৫ তারিখে দৈনিক আজকের পরিবর্তন ও দৈনিক আলোকিত বরিশাল পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়।
পরবর্তীতে মাইসার মা খাদিজা আক্তার ২৭/১১/২০২৫ তারিখ বাদি হয়ে বিমানবন্দর থানায় ২৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি নাছিরকে সহ কয়েক ছাত্র-ছাত্রীকে আসামি করে একটি অভিযোগ দেয়।
পরবর্তীতে ঐ একই ঘটনার অনুকূলে দুজন শিক্ষকসহ কয়েক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে বরিশাল সিএমএম কোর্টে মামলা করেছেন।
নাম পরিবর্তন করে থানা ও আদালতে দুই রকম অভিযোগ দেওয়ার কারণে, উক্ত বিষয়টি উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে উঠে আসে।
স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক মোসা. লুৎফুননাহার গত ২৬/১১/২০২৫ তারিখে বিমানবন্দর ওই থানায় একটি জিডি দায়ের করলেও, তিনি সহ অন্য শিক্ষক এবং স্কুলের কয়েক ছাত্র-ছাত্রী হয় ওই মামলার আসামি।
মাইসার মা খাদিজা আক্তার শ্বশুর, স্বামী, ননদ এর নামে মামলা করে সমস্ত সম্পত্তি নিজের নামে করে নিয়েছেন, পুরো পরিবার তার কাছে জিম্মি। স্থানীয় অনেকের বিরুদ্ধে এর আগে একাধিক মামলা দায়ের করেছে।
নগরীর ২৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলার নুরুল ইসলাম এসব ঘটনা নিয়ে বহু সালিশ ব্যবস্থা করেছেন।
নয়গাঁও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দীনেশ চন্দ্র সেন বলেন, ২৭ নভেম্বর মাইসার ও তার মা খাদিজাকে নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বসে অন্য অভিভাবকদের সাথে তর্ক বিতর্কের এক পর্যায় সকল শিক্ষার্থীরা মাইসাকে বহিষ্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে।
তখন আন্দোলন স্থগিত করার জন্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কৌশল অবলোপন করে আমি ঘোষণা দিয়ে জানান দেই- মাইসাকে সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
তবে শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। তাছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কোনো মারামারি হয়নি। বাহিরে কখন কী হয়েছে তা আমি জানি না।