শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৬ পূর্বাহ্ন
ক্রাইমসিন২৪ ডেস্ক: উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উন বলেছেন, কোরীয় উপদ্বীপে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে তিনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে যুক্তরাষ্ট্র যদি নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রাখে তাহলে ওই প্রতিশ্রুতির পরিবর্তন করতে পারেন বলে সতর্ক করেছেন। খবর বিবিসির।
ইংরেজি নতুন বছর উপলক্ষে মঙ্গলবার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে কিম এ সতর্ক বার্তা দেন। গত বছর নতুন বছর উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে কিম শীতকালীন অলিম্পিকে তার দেশের অংশগ্রহণে আগ্রহ দেখিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের বরফ গলানোর ইঙ্গিত দেন।
ওই ধারাবাহিকতাতেই জুনে সিঙ্গাপুরের সানতোসা দ্বীপে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে এক ঐতিহাসিক শীর্ষ বৈঠকে মুখোমুখি হন কিম। দায়িত্বে থাকা কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার কোনো শীর্ষ নেতার এটিই প্রথম বৈঠক। ওই বৈঠক থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়া কোরীয় উপদ্বীপে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে একসঙ্গে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছিল।
ওই প্রতিশ্রুতির পর পিয়ংইয়ং নতুন করে ব্যালিস্টিক ও আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা ও উৎক্ষেপণ না চালালেও দেশটির ওপর মার্কিন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ও চাপ বহাল থাকে। নতুন বছরের প্রথম ভাষণে সে প্রসঙ্গটিই সামনে আনলেন কিম।
মঙ্গলবার দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, ‘সমগ্র বিশ্বের সামনে যুক্তরাষ্ট্র যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তা যদি তারা রক্ষা না করে, আমাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা ও চাপ অব্যাহত রাখে, তাহলে জাতীয় স্বার্থ ও সার্বভৌমত্বের সুরক্ষায় নতুন পথের কথা বিবেচনা করে সেখান (চুক্তি) থেকে সরে আসা ছাড়া আমাদের হাতে আর কোনো বিকল্প থাকবে না।’
তার দেশ পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি, ব্যবহার ও এর বিস্তৃতি বন্ধে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এ লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে বলে ভাষণে জানিয়েছেন তিনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফের যে কোনো সময়ে বসতে প্রস্তুত বলেও মন্তব্য করেছেন।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এর মাধ্যমে উত্তরের শীর্ষ নেতা ২০১৯-এ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের জন্য অপেক্ষার ইঙ্গিত দিলেন।
যুক্তরাষ্ট্র নীতি না বদলালে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা বন্ধে উত্তর কোরিয়ার সাময়িক বিরতি শেষ হয়ে যেতে পারে বলেও শঙ্কা তাদের।
২০১৭ সালে একের পর এক ব্যালিস্টিক ও যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখ-ে আঘাত হানতে সক্ষম এমন ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষার করে উত্তর কোরিয়া। পাশাপাশি ওয়াশিংটন ও পিয়ংইয়ংয়ের মধ্য কথার লড়াইও চলে।