শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫০ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেক্স :চট্টগ্রাম নগরীর বড় খালগুলোর একটি এই মহেশখাল। জোয়ার এলেই কর্ণফুলী নদীর সাথে যুক্ত এই খাল দিয়েই প্রবল স্রোতে সাগরের পানি ঢুকে আগ্রাবাদ সিডিএ এবং হালিশহর এলাকায়। কর্ণফুলী নদীর সাথে সরাসরি যুক্ত এরকম ১৬টি খাল দিয়েই মূলত জোয়ারের পানি ঢুকছে চট্টগ্রাম শহরে। দিনে দু’বেলা প্লাবিত হচ্ছে বন্দর নগরীর নিম্নাঞ্চল।
এতে অলিগলি উপচে পানি উঠে পড়ে মূল সড়কেও। তলিয়ে যায় বাসা বাড়ি, দোকানপাট, হাসপাতাল, মসজিদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। হালিশহর ও আগ্রাবাদের মতো বর্ষা মৌসুমের আগে-পরে মিলিয়ে বছরের ছয় মাস এভাবেই পানি বন্দি থাকতে হয় নগরীর খাতুনগঞ্জ, চকবাজারসহ বেশিরভাগ নিচু এলাকার মানুষকে।
ছোট এবং বড় মিলিয়ে চট্টগ্রাম নগরীতে খালের সংখ্যা ৩৯টি। এরমধ্যে প্রধান ১৬টি খাল হয়েই পানি ঢোকে লোকালয়ে। এসব খালের মুখে স্লুইচগেট নির্মাণ ছাড়া জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তির পথ দেখছেন না ভুক্তভোগীরা।
তারা জানান, বর্ষা মৌসুম শেষে শরৎ এলেও থামেনি বৃষ্টি। তার উপর সাগরে জোয়ার আসছে প্রতিদিন। ফলে গত ৮দিন ধরে দিনে দু’বার প্লাবিত হচ্ছে নিচু এলাকা। তাই জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান মেগা প্রকল্পের দিকে তাকিয়ে আছেন তারা।
এই মেগা প্রকল্পের ৫০ ভাগ কাজ শেষ। খাল খনন, রিটেইনিং ওয়াল, স্লুইচ গেট নির্মাণসহ বাকি কাজ শেষ হলে সুফল মিলবে বলছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।