শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১৮ অপরাহ্ন
২০১৯ সালের আগস্ট মাসে প্রকাশিত ভারতের আসাম রাজ্যের চূড়ান্ত নাগরিক তালিকা বেমালুম গায়েব হয়ে গেছে রাজ্যটির জাতীয় নাগরিক পঞ্জির (এনআরসি) ওয়েবসাইট থেকে। ‘যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে’ বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানায়।
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এনআরসি’র তথ্য জনগণের কাছে প্রকাশ করার নির্দেশ দিলে এ সংক্রান্ত তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। তবে এখন গায়েব হয়ে গেছে এসব তথ্য। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, এনআরসি’র তথ্য নিরাপদে রয়েছে। যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে তা ক্লাউডে (গুগলের ভার্চুয়াল তথ্য সংরক্ষণাগার) দেখা যাচ্ছে না।
শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান করা হবে বলে জানায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অপরদিকে এনআরসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘উইপ্রো’র সঙ্গে চুক্তি নবায়ন না করার কারণেই গায়েব হয়েছে তথ্য। আসামে ভারতীয় নাগরিকদের নির্বাসন এবং অন্তর্ভুক্তির চূড়ান্ত তালিকাটি গত ৩১ আগস্ট প্রকাশিত হওয়ার পর, তা অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছিল।
আসাম রাজ্যের এনআরসি’র সহ-সমন্বয়ক হিতেশ দেবশর্মা বলেন, এতে বিপুল পরিমাণ তথ্য থাকায় ক্লাউড সেবা সরবরাহ করেছিল উইপ্রো এবং তাদের চুক্তি ছিল গত বছরের ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত। আগের সহ-সমন্বয়ক এ চুক্তি সময় মতো নবায়ন না করায় উইপ্রো’র নিয়ম অনুযায়ী ১৫ ডিসেম্বর থেকে সব তথ্য অফলাইন হয়ে গেছে। আমি ২৪ ডিসেম্বর দায়িত্ব নিয়েছি।
তিনি বলেন, উইপ্রো তথ্য অনলাইন করে দিলেই জনগণ তা আবার দেখতে পাবে। আমরা আশা করি, আগামী দুই-তিনদিনের মধ্যে এসব তথ্য দেখা যাবে।
রহস্যজনকভাবে তথ্য গায়েব হওয়ার যাওয়ার ঘটনাকে ‘অসৎ কাজ’ আখ্যা দিয়ে দেশটির রেজিস্ট্রার জেনারেলকে চিঠি দিয়েছেন আসামের প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসের নেতা দেবব্রত সাইকিয়া। বিষয়টি জরুরিভিত্তিতে খতিয়ে দেখার জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি।
আসামের ওই নাগরিকপঞ্জি থেকে ‘অবৈধ অভিবাসী’ হিসেবে থেকে বাদ পড়েছেন ১৯ লাখ মানুষ। বাদ পড়াদের নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে বলা হয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, এনআরসিতে যাদের নাম আসেনি, সব আইনি প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত তাদের ‘বিদেশি’ বলে ঘোষণা দেওয়া হবে না।