শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৫ অপরাহ্ন
ক্রাইমসিন২৪ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর মুকুট পরেও শিখ দাঙ্গার ইস্যু পিছু ছাড়ছে না কমল নাথের। ১৯৮৪ সালের শিখ দাঙ্গায় সোমবারই যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে সজ্জন কুমারের। আর আজই মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন কমল নাথ।
অথচ তিনিও একই মামলায় অভিযুক্ত। এই সূত্রেই শিখ দাঙ্গার ‘অস্ত্রে’ শান দিয়ে ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপি। দলের নেতা-মন্ত্রীরা গান্ধী পরিবারকে টেনে এনে তোপ দেগেছেন, কেউ ছাড় পাবেন না।
মধ্যপ্রদেশের নয়া মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য এর পেছনে বিজেপির ষড়যন্ত্রই দেখছেন। আর শপথ নেওয়ার পর প্রথম সিদ্ধান্তই নিয়েছেন কৃষি ঋণ মাফ করার।
নিম্ন আদালতের একটি রায় খারিজ করে শিখ দাঙ্গায় অভিযুক্ত ৭৩ বছরের সজ্জন কুমারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ, দিল্লির রাজ নগরের একটি পরিবারের পাঁচ সদস্যকে তার নির্দেশে এবং তার সামনেই খুন করা হয়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় রাজনগর গুরুদ্বার।
শিখ দাঙ্গার খচখচানি যায়নি কমল নাথের রাজনৈতিক জীবনেও। ১৯৮৪ সালে ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যু পরবর্তী শিখ নিধনে ইন্ধন দেওয়াই শুধু নয়, তার সামনেই শিখ সম্প্রদায়ের দু’জনকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দাঙ্গার সময় মধ্য দিল্লির রাকবরগঞ্জে একটি মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন কমল নাথ। সেই মিছিল থেকেই শিখ সম্প্রদায়ের দু’জনকে হত্যা করা হয়।
সেই সময়ও কমল নাথ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন, এবং তিনি উত্তেজিত জনতাকে থামানোর চেষ্টা করেননি। তবে তাকে কিছুটা স্বস্তি দেয় নানাবতী কমিশন। কমিশনের রিপোর্টে ‘বেনিফিট অব ডাউট’-এ ছাড় দেওয়া হয় কমল নাথকে।