সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১৭ পূর্বাহ্ন
পাবলিক প্লেসে বরিশালের ৯৭ দশমিক ৯৬ ভাগনারী ও শিশু যৌন হয়রানীর শিকার হয়। ৩৯২ জনের মধ্যে করা এক জরিপে এই তথ্য বেরিয়ে এসেছে। এর মধ্যে ৩৮৪ জনই যৌন হয়রানীর শিকার। ২৬ দশমিক ১৭ ভাগের নারী বা শিশু যৌন হয়রানীর শিকার হয় পরিচিত ব্যক্তির মাধ্যমে। আর ৬৭ দশমিক ৯৫ জন অপরিচিত ব্যক্তির মাধ্যমে হয়রানীর শিকার হন।
বরিশালে নারী ও কণ্যা শিশুর প্রতি যৌন সহিংসতা প্রতিরোধের একটা সমন্বিত আইন প্রনয়ন করা এখন সময়ের দাবী শীর্ষক শেয়ারিং সভায় এই তথ্য জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার নগরীর সেলিব্রেশন পয়েন্ট মিলনায়তন কক্ষে জাতীয় কণ্যা শিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম ও গালর্স অ্যাডভোকেসি অ্যালায়েন্স প্লান ইন্টারন্যাশনাল বরিশাল জেলা শাখার আয়োজনে অর্ধবেলা এ শেয়ারিং সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বরিশাল আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মেহের আফরোজ মিতার সভাপতিত্বে শেয়ারিং সভায় কণ্যা শিশু সহ বিভিন্ন পর্যায়ে যৌন সহিংসতা হয়রানী প্রতিরোধ করার বিষয়ে প্রস্তাবনার উপর বক্তব্য রাখেন, বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মোঃ রাসেল আহমেদ, বরিশাল মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রাশিদা বেগম, সচেতন নাগরিক কমিটি জেলা সভাপতি প্রফেসর শাহ সাজেদা, সুজন বরিশাল মহানগর সভাপতি প্রফেসর গাজী জাহিদ হাসান, সুজন সম্পাদক রনজিৎ দত্ত, বরিশাল মানবাধিকার জোট সভাপতি ডা. সৈয়দ হাবীবুর রহমান, এ্যাড. হিরন কুমার দাস মিঠু।
এসময় বিভিন্ন বক্তারা বলেন, কাউকে দোষারপ করে হতাশ হলে চলবেনা। আমাদের সকলকে সমন্বয় রেখে কাজ করা গেলে এসকল অপরাধ মূলক ঘটনা বন্ধ করা সহজ হবে।আমাদের দেশে যত আইন আছে আকাশে তত ভরা নেই। আমাদের আইন আছে সেই সাথে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য আছে, নেই আইনের বাস্তবায়ন প্রয়োগ করা। এখন আমাদের তিনটি হাত আছে ডান,বাম ও অজুহাত। আমরা অজুহাতের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি। এ থেকে বের হয়ে আসার জন্য কাজ করতে হবে।এছাড়া আমাদের সমাজ ব্যবস্থা নৈতিক অবক্ষয় হয়েছে।