রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৫২ অপরাহ্ন
পারভেজ,বরিশাল প্রতিনিধিঃ
“আমাদের ভবিষ্যৎ বিক্রি করে দিও না” এই স্লোগানকে কেন্দ্র করে ফ্রাইডেস ফর ফিউচারের সাথে সংহতি জানিয়ে বরিশালের ঐতিহাসিক অশ্বিনী কুমার টাউন হলের সামনে সদর রোডে সড়ক অবরোধ করে অনুষ্ঠিত হলো গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইক।
১১ই এপ্রিল শুক্রবার সকাল ১০ ঘটিকায় এই আয়োজন করা হয়। এলায়েন্স ফর ইয়ূথ এন্ড ডেভেলপমেন্টের আয়োজনে ও শালিণ্য স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠনের সহযোগীতায় স্ট্রাইকে অংশগ্রহণকারী সংগঠনগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: ন্যাশনাল ইয়ূথ ফোরাম,লাল সবুজ সোসাইটি, আভাস, সহচরী,মানবী,YPS,স্বপ্নছোঁয়া যুব সংগঠন, পরিবেশবাদী বেলা,বাপা,এএলআরডি,বড় বাইশদিয়া ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি সহ সচেতন যুব সংগঠনের শতাধিক সদস্যবৃন্দ।
জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় তরুণদের সক্রিয়তা, নেতৃত্ব এবং ন্যায্যতা নিশ্চিত করার প্রত্যয়ে এই আয়োজনে ছিল প্রতিবাদ,দাবী ও আশার বার্তা।
এই আয়োজনের অংশ হিসেবে র যালি,মানববন্ধন, পোস্টার প্রদর্শনী সড়ক অবরোধ এবং উন্মুক্ত বক্তব্যের মাধ্যমে তরুণ ও যুব প্রতিনিধিরা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, সরকারের করণীয় এবং বৈশ্বিক দায়বদ্ধতা নিয়ে কথা বলেন।
তরুণ নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে নিম্নোক্ত দাবিগুলো উত্থাপন করেন,জলবায়ু অর্থায়নে স্থানীয় জনগণের সরাসরি অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগ বাড়ানো এবং জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করা। জলবায়ু অভিযোজন এবং ক্ষয়ক্ষতির (Loss and Damage) ক্ষেত্রে তরুণদের নেতৃত্বে ভিত্তিক সমাধান গ্রহণ। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে জলবায়ু শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করা।
জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর সুরক্ষা ও অধিকার নিশ্চিত করা। আয়োজনের বক্তব্য রাখেন পরিবেশ কর্মী রফিক আলম,জেলা রোভার স্কাউট কোষাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মাখন,সংগঠক মো: আলআমিন,যুব সংবাদ কর্মী জুবায়ের, এওয়াইডির পক্ষে স্ট্রাইক আয়োজনের আহবায়ক যুব সংগঠক কিশোর চন্দ্র বালা সহ আরো অনেকে।
এসময় বক্তারা বলেন “জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রতিনিয়ত বন্যা, লবণাক্ততা,কৃষি বিপর্যয় ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে। অথচ এই সংকটে সবচেয়ে কম দায় থাকা জনগণই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তরুণরা আর চুপ করে থাকবে না।
এখনই সময় জলবায়ু ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য সকলকে একযোগে কাজ করার। এই আয়োজনের মাধ্যমে বরিশালের তরুণ সমাজ তাদের দায়িত্ববোধের পরিচয় দিয়েছে এবং প্রমাণ করেছে যে,স্থানীয় পর্যায়ে সচেতনতা এবং দাবির উত্থাপন থেকেই বৈশ্বিক পরিবর্তনের সূচনা সম্ভব।