মোয়াজ্জেম হোসেন, কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব এবিএম মোশাররফ হোসেন এর শুভ আগমন উপলক্ষে এক গণ সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার(০১ আগস্ট) বিকেলে কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসন বালুর মাঠে এ উপলক্ষে এক গণ জমায়েত অনুষ্ঠিত হয়।
কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী হুমায়ূন শিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শ্নেহাশু সরকার কুট্টি,অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, পটুয়াখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র মো.মোশতাক আহম্মেদ পিনু, রাংগাবালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুর রহমান তালুকদার, কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি মো.জাফরুজ্জামান খোকন, কলাপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি গাজী মো.ফারুক, কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হাফিজুর রহমান চুন্নু, কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সভাপতি আবদুল আজিজ মুসুল্লি, মহিপুর থানা বিএনপির সভাপতি আবদুল জলিল হাওলাদার প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দল, পটুয়াখালী জেলা বিএনপি, কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী ও মির্জাগঞ্জ বিএনপি এবং সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং হাজার হাজার সাধারণ মানুষ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কলাপাড়া পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুসা তাওহীদ নান্নু মুন্সি এবং উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দীন খন্দকার। বক্তারা ১১৪ পটুয়াখালী-৪ আসনে এবিএম মোশাররফ হোসেনকে জয়যুক্ত করে জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। সভার শুরুতে পবিত্র কুরআন তেলওয়াত করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন কলাপাড়া পৌর বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মো.ফোরকানুল ইসলাম। এর আগে দুপুরে ২হাজার মটোরসাইকেল নিয়ে ঢাকা থেকে আসা নেতাকে বরন করতে আমতলী পর্যন্ত শোডাউন করেন কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী উপজেলার বিএনপি নেতাকর্মীরা।
প্রিয় নেতাকে এক নজর দেখতে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠে উপজেলা প্রশাসন মাঠ।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর পরে আপনাদের সামনে দাড়িয়েছি। এতগুলো বছর পরে মুক্ত স্বাধীনভাবে আপনাদের সামনে কথা বলার সুযোগ পেয়েছি।
এই দীর্ঘ সময় দেশটাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিল ছাত্র-জনতার ভয়ে পালিয়ে যাওয়া খুনি হাসিনা। আর তাকে অবৈধ ভাবে টিকিয়ে রেখেছিল সম্প্রতি আমাদের পানিতে ডুবিয়ে দেয়া দেশ ভারত।
তিনি আরও বলেন, আমি নিজেও সাড়ে ৬ মাস অবৈধ সরকারের কারাগারে ছিলাম। কিন্তু আজ জনগণের কাছে সবকিছু স্পষ্ট হয়ে গেছে। আয়না ঘর, গুম খুন সহ সমস্ত অপরাধের বিচার এই বাংলায় হবে।
যার নমুনা হিসেবে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন। তিনি নেতাকর্মীদের সতর্ক করে বলেন, কোন শালিস বানিজ্যে বিএনপির নেতারা জড়াবেন না। বিএনপির কোন নেতার বিরুদ্ধে এ ধরনের কাজ করলে তাদেরকে বহিষ্কার করা হবে।