বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৮:৫৪ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
মেহেন্দিগঞ্জে ওপেন হাউস ডে আইনশৃঙ্খলা সভা প্রধান অতিথি- মোঃ শরিফউদ্দীন  পুলিশ সুপার ব্যাটারিচালিত যানবাহনের জন্য “থ্রি হুইলার নীতিমালা ২০২৪” চূড়ান্ত করে দ্রুত লাইসেন্স প্রদান ও অবৈধ টোকেন ব্যবসা বন্ধ করাসহ ৮ দফা দাবিতে BRTA কার্যালয়ের সামনে অবস্থান ও স্মারকলিপি শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল কলাপাড়ায় ১৯ নারী উদ্যোক্তা পেল ইনকিউবেটরসহ সৌর বিদ্যুৎ চালিত উপকরণ ছাত্রশিবির বরিশাল জেলা শাখার দিনব্যাপী থানা দায়িত্বশীল কর্মশালা ২০২৫ অনুষ্ঠিত আরাফাত রহমান কোকোর রূহের মাগফিরাতের জন্য মুনাজাত অনুষ্ঠিত বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের সদ্য নিয়োগ পাওয়া সচিব অধ্যাপক ড. ফাতেমা হেরেনকে যোগদান করতে দেননি শিক্ষার্থীরা বরগুনায় আট কেজি ১০০ গ্রাম গাঁজাসহ রিপন সিকদার (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার নগরের কাশিপুর এলাকায় একটি দীঘি ও একটি পুকুর থেকে মানুষের শরীরের বিভিন্ন অংশ উদ্ধার করেছে পুলিশ বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) ১৬০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে ছাঁটাই করার প্রতিবাদসহ তিন দফা দাবিতে নগর ভবনের মূল গেট বন্ধ করে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ৪ দশক পূর্তিতে বরিশালে ছাত্র সমাবেশ ও লাল পতাকার মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে অসহায় মেয়ে বরিশালের বিচার ও প্রশাসন বিভাগের কাছে চায় ন্যায্য বিচার ষড়যন্ত্র পূর্বক দায়েরকৃত মামলায় জেলহাজতে থাকা বাবার মুক্তির দাবীতে মেয়ের সংবাদ সম্মেলন দীর্ঘদিনের দখলকৃত ওয়ারিশের সম্পত্তিতে কাজ করতে গেলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে হামলা ও লুট পাটের ঘটনায় নারীসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত শেরে বাংলা স্মৃতি পদক পেলেন কলাপাড়ার গাজী ফারুক কলাপাড়ায় কমিউনিষ্ট পার্টির “গনতন্ত্র অভিযাত্রা”
আদালত অবমাননা আইন বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ!!

আদালত অবমাননা আইন বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ!!

Sharing is caring!

অনলাইন ডেক্স: আদালত অবমাননা আইন, ২০১৩ সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করে অবৈধ ও বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে।

২০১৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এ বি এম আলতাফ হোসেনের দেওয়া ওই রায়ের ৩৮ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি বুধবার (১৬ নভেম্বর) হাতে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন রিটকারীদের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

২০১৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে আদালত অবমাননা আইন, ২০১৩ পাস হয়।

১৯২৬ সালের আদালত অবমাননার আইন রহিত করে ২৩ ফেব্রুয়ারি গেজেট প্রকাশিত হয়।

পরে একই বছরের ২৫ মার্চ নতুন আইনের ৪, ৫, ৬, ৭, ৯, ১০, ১১ ও ১৩(২) ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দুই আইনজীবী রিট আবেদন করেন।

ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে একই বছরের ৩ এপ্রিল হাইকোর্ট রুল জারি করেন। ওই রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি ২০১৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণা করেন।

আইনের ৪ ধারায় নির্দোষ প্রকাশনা বা বিতরণ অবমাননা নয়, ৫ ধারায় পক্ষপাতহীন ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ আদালত অবমাননা নয়, ৬ ধারায় অধস্তন আদালতের সভাপতিত্বকারী বিচারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আদালত অবমাননা নয়, ৭ ধারায় কিছু ক্ষেত্র ছাড়া বিচারকের খাসকামরায় বা রুদ্ধদ্বার কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রক্রিয়া-সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ আদালত অবমাননা নয় বলে আইনে ব্যাখ্যাসহ বলা হয়েছে।

আইনের ৯ ধারায় আদালত অবমাননার পরিধি বিস্তৃত না হওয়া অর্থাৎ এই আইনে শাস্তিযোগ্য নয় এমন কোনো কাজ আদালত অবমাননা বলে গণ্য হবে না।

আইনের ১০ ধারায় প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের কথা বলা হয়েছে। ১০(১) ধারায় বলা হয়েছে, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের প্রচলিত আইন, বিধিমালা, সরকারি নীতিমালা, পরিপত্র, প্রজ্ঞাপন, স্মারক ইত্যাদি যথাযথভাবে অনুসরণ করে জনস্বার্থে ও সরল বিশ্বাসে কাজ করলে তা আদালত অবমাননা হিসেবে গণ্য হবে না।

১০(২) ধারায় বলা হয়েছে, উপধারা (১)-এর অধীনে করা কাজের বিষয়ে আদালতের আদেশ-নির্দেশ যথাযথ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বাস্তবায়ন বা প্রতিপালন করা অসম্ভব হলে তার জন্য আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা যাবে না।

আর আইনের ১৩(২) ধারায় বলা হয়েছে, আদালত অবমাননার দায়ে শাস্তি হলে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আপিলে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলে এবং আদালত তাতে সন্তুষ্ট হলে তাকে ক্ষমা করে দণ্ড মাফ বা কমাতে পারবেন।

সংসদে ২০১৩ সালে প্রনীত ‘আদালত অবমাননার আইন-২০১৩’ বাতিল করে দেওয়া হাইকোর্টের রায় প্রকাশ।

বুধবার আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, আদালত রায়ে বলেছেন, যে উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য নিয়ে আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছে তাতে মনে হয় নির্দিষ্ট একটি গ্রুপকে আদালত অবমাননার দায় হতে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য তা করা হয়েছে।

আদালত আরও বলেন, সংবিধানের আর্টিকেল ১০৮ অনুসারে যেকোনো নাগরিক আদালতের রায় অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে সর্ব্বোচ্চ আদালত শাস্তি দিতে পারেন এবং অনুচ্ছেদ ১১২ অনুসারে রাষ্ট্রের সব কর্তৃপক্ষ, এক্সিকিউটিভ এবং বিচার বিভাগীয় ব্যক্তিরা সুপ্রিম কোর্টের কাজে সাহায্য করবে। সংবিধানে উক্ত নির্দেশনা থাকা স্বত্বেও আদালত অবমনানা আইনের উল্লেখিত ধারাসমূহ সংবিধানের উক্ত নির্দেশনাকে অগ্রাহ্য করা হয়েছে। এছাড়া সংবিধানে আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান এবং একই প্রতিকার পাওয়ার বিধান থাকলেও উক্ত ধারাগুলো বিশেষ ব্যক্তিদেরকে সুরক্ষা দিয়েছে।

এসব কারণে আদালত অবমাননা আইনের ওই ধারাগুলো সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং বৈষম্যমূলক।

রায়ে আদালত আরও বলেন, ২০১৩ সালের আইনে উল্লেখিত মূল ধারাগুলো না থাকলে আইনের অন্যান্য বিষয়গুলো অপ্রয়োজনীয় হয়ে যায়। সে কারণে ‘আদালত অবমাননার আইন-২০১৩’ সংবিধান পরিপন্থী ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। রায়ে আদালত ‘১৯২৬ সালের আদালত অবমনানর আইন’ পূর্ণবহাল করেন বলে জানান আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD