শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩০ পূর্বাহ্ন
ক্রাইমসিন২৪ ডেস্ক: প্রথম ম্যাচে সহজ জয় অথচ দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের কাছে গিয়েও হাতছাড়া। তাই তো বাংলাদেশ- উইন্ডিজের মধ্যকার তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচটি এখন দু দলের কাছেই ফাইনাল। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামেই মীমাংসা হবে কে উঁচিয়ে ধরবেন ওয়ানডে সিরিজের শিরোপা।
সিলেটের এই মাঠে বাংলাদেশের রেকর্ড একটু মন খারাপ করিয়ে দেওয়ার মতোই। ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যাত্রা শুরু হয় দেশের সবচেয়ে নয়োনাভিরাম এ স্টেডিয়ামের। ৪ বছরে আধুনিক অবকাঠামোয় গড়া স্টেডিয়ামটিতে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ গড়িয়েছে মোট ৭টি। সংক্ষিপ্ততম এই সংস্করণের শেষ ম্যাচটি ছিলো চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির ১৮ তারিখে। স্বাগতিক বাংলাদেশ ও সফরকারী শ্রীলঙ্কার ওই ম্যাচে জয়ের শেষ হাসি হাসে লঙ্কানরা।
সাদা পোশাকের ক্রিকেটে এ মাঠে এখন পর্যন্ত মাত্র ১টি ম্যাচ গড়িয়েছে। গেল ৩ নভেম্বর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচ দিয়ে হয় টেস্ট অভিষেক। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে সেখানেও জয়শূণ্য থাকে বাংলাদেশ। তবে মিরপুরে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট জিতে সমতা আনে বাংলাদেশ।
সে মাঠে এবার হতে যাচ্ছে ওয়ানডে অভিষেক। তবে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা পেছনের কথা মনে করার পক্ষে নন। তিনি বলেই রেখেছেন, ‘পেছনের কথা মনে করে কোনো লাভ নেই। শুক্রবার আমাদের নতুন ম্যাচ। নতুন কিছু। খুব ব্যাকফুটে আছি তাও না। ১-১ সমতায় আছে। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ। এটা এমন না যে আমাদের সব কিছু হারিয়ে যাচ্ছে। ইতিবাচক খেলতে হবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে আপনি প্রত্যাশা করবেন ওরা বেস্ট ক্রিকেট খেলবে কালকে। আমাদেরকেও বেস্ট ক্রিকেট খেলতে হবে। এ গ্রাউন্ডে আগে কি হেয়েছে সেটা ভেবে মাঠে নামলে আরও খারাপ হবে।’
তবে সব শেষ ম্যাচ জিতে বেশ আত্মবিশ্বাসী উইন্ডিজ অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েলও। সরাসরি না হলেও নিজেদের পরিকল্পনা বুঝিয়ে দিতে ভুল করেননি তিনি।
বলেন, ‘এখানকার উইকেট বাংলাদেশের অন্যান্য ভেন্যুগুলোর মতোই। মন্থর ও বল নিচু হয়ে আসবে। তাই আমরা আশা করতে পারি আমরা এখানে খাপ খাইয়ে নিয়ে উইন্ডিজকে জয় উপহার দিতে পারি। সেক্ষেত্রে আমাদের ব্যাটসম্যানদের ভুমিকা রাখতে হবে। তবে তারা শুরুটা ভাল করলেও শেষ পর্যন্ত তা ধরে রাখতে পারছে না। তাই অবশ্যই আমাদের একটি দল হিসেবে খেলতে হবে এবং ভাল ব্যাটিংটা শেষ পর্যন্ত নিয়ে যেতে হবে। তাহলেই আমরা দেশকে জয় উপহার দিতে পারব।’
তবে কোন দলের পরিকল্পনা শেষ পর্যন্ত কাজে দেবে আর কে তুলে ধরবেন শিরোপা সে জন্য অপেক্ষা আরও কয়েক ঘন্টার।
বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ: তামিম ইকবাল, লিটন দাস, ইমরুল কায়েস, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), সাকিব আল হাসান, সৌম্য সরকার, মাহমুদউল্লাহ, মেহেদি হাসান, মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), মোস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন/সাইফউদ্দিন।
উইন্ডিজের সম্ভাব্য একাদশ: চন্দরপল হেমরাজ, শাই হোপ (উইকেটরক্ষক), ড্যারেন ব্রাভো, মারলন স্যামুয়েলস, শিমরন হ্যাটমায়ার, রোভম্যান পাওয়েল (অধিনায়ক), রোস্টন চেজ, কেমো পল, কেমার রোচ, দেবেন্দ্র বিশু, ওশানে থমাস।