শনিবার, ১২ Jul ২০২৫, ১২:৫৬ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
জাগুয়া ইউনিয়ন বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম উদ্বোধন পটুয়াখালীতে ৪টি বিদ্যালয়ে এসএসসি  পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি ১ জনও বাউফলে টানা বৃষ্টিপাতে কৃষকের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিসহ দুর্ভোগে জনজীবন কলাপাড়ায় গোল্ডেন জিপিএ ফাইভ পেল সাংবাদিক পুত্র নূর বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী উদ্বোধন কলাপাড়ায় উন্নত চিকিৎসা দিতে অসুস্থ সাপের এক্সরে লন্ডনে “ গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে তারেক রহমান শীর্ষক” আলোচনা সভায়: জহির উদ্দিন স্বপন কলাপাড়ায় জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দকে সংবর্ধনা কলাপাড়ায় মসজিদ-মন্দির উন্নয়ন বরাদ্দের টাকা লোপাটের অভিযোগ পুলিশের মৃদু লাঠিচার্যে সড়ক ছেড়েছে বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ শিক্ষার্থীরা কলাপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক নেতৃবৃন্দের সাথে কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতার মতবিনিময় মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়নে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে… এবিএম মোশাররফ হোসেন পটুয়াখালীতে জনজীবন বিপর্যস্ত, উপকূল জুড়ে অতিভারী মাত্রায় বৃষ্টিপাত লঘুচাপের প্রভাবে উপকূলে অতিভারী বৃষ্টিপাত। সমুদ্র বন্দরে ০৩ নম্বর ও নদী বন্দরে ০১ নম্বর সতর্ক সংকেত কলাপাড়ায় ৫ হাজার প্যাকেট নকল সিগারেট জব্দ।।১লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড
বাউফলে টানা বৃষ্টিপাতে কৃষকের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিসহ দুর্ভোগে জনজীবন

বাউফলে টানা বৃষ্টিপাতে কৃষকের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিসহ দুর্ভোগে জনজীবন

Sharing is caring!

মো.আরিফুল ইসলাম,বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:

পটুয়াখালীর বাউফলে টানা ৪/৫ দিনের ভারি বৃষ্টিপাতে কৃষকের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিসহ দুর্ভোগে পড়েছেন জনজীবন।

গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া একটানা ভারি বৃষ্টিতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। একদিকে কৃষকের যেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে অন্যদিকে দুর্ভোগে পড়েছে জনজীবন। তলিয়ে গেছে বীজতলা ও মাছের ঘের। হুমকিতে রয়েছে মুরগী খামারি।

এভাবে বৃষ্টি চলতে থাকলে কি হবে কিছুই জানেন না কৃষক। উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, ১২শত ২ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের বীজতলা তৈরি করা হয়। এরমধ্যে ৫শত ৪০হেক্টর বীজতলা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

২হাজার ৮শত ২১ হেক্টর জমিতে রোপা আউশ চাষ করা হয়েছে। এরমধ্যে ৮শত ৪৬ হেক্টর জমির ধান ক্ষতির মধ্যে পরেছে। সব্জি ২৫০ হেক্টর এরমধ্যে ১৮৮ হেক্টর ক্ষতির মুখে রয়েছে।

পানের বরজ ৩৮ হেক্টর, কলা ১৭ হেক্টর, পেপে ১০ হেক্টরসহ সকল উৎপাদনই টানা বর্ষায় ক্ষতির মুখে পড়েছে। তলিয়ে গেছে মাছের ঘের। ২শতাধিক মৎস্য খামারি আংশিক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এছারাও মুরগী খামারী রায়েছেন হুমকির মুখে। টানা বর্ষা চলতে থাকলে মুরগী খামারে নানা রোগবালাই দেখা দিতে পারে বলে আশংকা করছেন খামার মালীকরা।

দাসপাড়া ইউনিয়নের খামারী মো রিপন জানান, ৩ একরের বেশি জমিতে তার মাছের ঘের ও মুরগীর খামার রয়েছে। টানা বর্ষণে কয়েকটি পুকুর তলিয়ে গেছে। কৈ মাছের চাষ করছেন তিনি।

ঘের তলিয়ে গেলে মাছ হেঁটে অন্যত্র চলে যায়। তাই রাতভর সজাগ থেকে ঘের পাহারা দিতে হচ্ছে তাকে। নতুন করে মাটি কেটে পুকুরপাড়ের উচ্চতা বাড়াতে হচ্ছে। নতুন করে জাল দিয়ে মাছ রক্ষা করতে হচ্ছে।

সরেজমিনে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, বাংলাদেশের দক্ষিনের জনপদ বাউফলে প্রতিবছর প্রায় ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষাবাদ হয়। সে লক্ষ্যে আগে বীজ রেডি করতে হয়।

গত একমাস ধরেই বৃষ্টি হচ্ছে। অনেক কষ্ট করে বীজতলা তৈরি করে বীজ বপন করেছেন কৃষক। কিন্তু গত চার দিনের ভারি বর্ষণে ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে।

এ বছর আমনের বীজ সকংট দেখা দেয়ার অশংকায় রয়েছেন সকল কৃষক। ইতি মধ্যে ৫০ভাগের বেশি বীজের ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলেও জানিয়েছেন কৃষক। এভাবে বৃষ্টি চলতে থাকলে শতভাগ বীজতলা ক্ষতির সম্মুখিন হবে বলে জানিয়েছেন তারা।

এছারাও পানিবন্দি হয়ে পরেছেন অন্তত ২শতাধিক পরিবার। তবে জলাবদ্ধতার কারনেই এই বন্দি অবস্থা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। স্থানীয় খাল ও নদীগুলোতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১-২ফুট পানির উচ্চতা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।

কিছু কিছু জায়গায় তলিয়ে গেছে চলাচলের রাস্তা, কোথাও তৈরি হয়েছে ভাঙনের। স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে রাস্তাগুলো মেরামত করছেন।

কৃষি কর্মকর্তা মো. মিলন জানান, গত কয়েকদিনের ভারি বর্ষণে উপজেলার কৃষি খাতে ব্যপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। পানি সম্পূর্ণ না কমলে ক্ষতি সঠিক ভাবে বলা সম্ভব না। তবে বীজতলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। এবছর আমনের বীজে ব্যপক সংকট দেখা দিতে পারে বলেও জানান তিনি।

মৎস্য কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান ঝান্টা বলেন, বৃষ্টি এখনও চলমান থাকায় আমরা ক্ষতির পরিমান সঠিক ভাবে বলতে পারবো না।

ক্ষতি তো অবশ্যই হয়েছে। অনেক মাছ চাষী আমাদেরকে ক্ষতির বিষয়ে ফোনে জানিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, উপজেলার চরাঞ্চলীয় ইউনিয়ন কালাইয়া, চন্দ্রদ্বীপ, কেশবপুর, ধুলিয়া, কাছিপাড়া, বগা, নওমালাসহ ৮টি ইউনিয়নের ফসলী জমি, বীজতলা, গাছপালা ও চাষের ঘেরের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে।

এখনও ক্ষতির পরিমান সম্পূর্ণ নিরুপন করা সম্ভব হয়নি। বৃষ্টি থামলে আমরা ক্ষতির পুরোচিত্র তুলে ধরতে পারবো। ক্ষতি নিরুপনের পর আমাদের ত্রান তৎপরতা চালু হবে।

তারিখ-১১/০৭/২০২৫ইং

মো.আরিফুল ইসলাম

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD