শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ০৮:০০ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেক্সঃ
রোববার (২৭ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এ তালা ঝুলিয়ে দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, তালা দেওয়ার সময়ে রেজিষ্ট্রার তার কক্ষে ছিলেন না। তবে একইসময় রেজিস্ট্রারের অধীনে থাকা কার্যালয়ের অপর কক্ষগুলোতেও তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় ওইসব কক্ষে থাকা কর্মকর্তা কর্মচারীদের বের হয়ে যেতে বলা হয়।
এর আগে চার দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে গ্রাউন্ড ফ্লোরে বিক্ষোভ করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। পরে তারা রেজিস্ট্রার মো মনিরুল ইসলামের কুশপুতুল দাহ করে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী রাকিন খান বলেন, রেজিস্ট্রারকে দাপ্তরিকভাবে অপসারণ করা না হলে তারা তালা খুলবেন না।
তিনি বলেন, রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম ভোলার মনপুরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি। তিনি জুলাই আন্দোলনে বিরোধিতাকারীদের অন্যতম। তাকে অপসারণসহ ৪ দফা দাবিতে গত মঙ্গলবার থেকে শিক্ষার্থীরা লাগাতার আন্দোলন করেছেন।
কিন্তু ববি উপাচার্য তাদের দাবির প্রতি কোনো গুরুত্ব দিচ্ছেন না। রেজিস্ট্রারকে আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের দাবি করেছেন সাবেক ছাত্রদল নেতা মোশারফ হোসেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, ৪ দফা দাবি মেনে নিতে উপাচার্য ড. শুচিতা শারমিনকে বৃহস্পতিবার ২ দিনের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছিল। শনিবার আল্টিমেটাম শেষ হয়েছে।
গত মঙ্গলবার থেকে ৪ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো হলো- ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহসিন উদ্দিনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপমানজনক অপবাদ প্রত্যাহার করে সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের পদে পুনর্বহাল, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলামকে অপসারণ, ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারের দোসর শিক্ষকদের লাভজনক কমিটি থেকে অপসারণ এবং ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসন করায় উপাচার্যকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।
এসব বিষয়ে জানতে রেজিস্ট্রার মো মনিরুল ইসলাম এবং উপাচার্য প্রফেসর ড. সুচিতা শরমিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের পাওয়া যায়নি।