বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০১:২৪ পূর্বাহ্ন
শামীম আহমেদঃ
দীর্ঘ দশম দিনে হঠাৎ করে পুলিশ প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মানমুখি অবস্থান
নিলে কোটা বিরোধী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উত্তপ্ত হয়ে উঠে।
পূর্ব ঘোষনা অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার পড় থেকে ছাত্রছাত্রী ক্যাম্পাসে
ধিরে ধিরে আসতে শুরু করার পূর্বে উপ পুলিশ কমিশনার আশ্রাফুল ইসলামের নেতৃত্বে
বন্দর থানার ওসি এম অর মুকুল ও কাউনিয়া থানার ওসি আসাদুজামান সহ প্রায়
শতাধিক পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের বাহিরে মারমুখি ভাবে অবস্থান নেয়।
অপরদিকে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ ক্যাম্পাশে প্রবেশের প্রধান ফটক বন্ধ করে দেয় শুধু
পকেট গেট খোলা রাখে।
বেলা তিনটার পূর্বে আকস্মিকভাবে পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়
এলাকা ত্যাগ করার সাথে সাথে ক্যাম্পাসের ভিতর থেকে শত শত ছাত্রছাত্রীরা ঝাক বেধে
বরিশাল কুয়াকাটা সড়কে এসে অবস্থান নিয়েই সড়ক অবরোধ কর্মসূচি শুরু করে।
এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা শ্লোগানে শ্লোগানে আনন্দ-উৎসব পরিবেশে ছাত্র-
ছাত্রীরা বরিশাল- কুয়াকাটা মহা সড়কে বসে শান্তিপূর্ণভাবে বিভিন্ন শ্লোগানে
শ্লোগানে সরকারি চাকরিতে বৈষম্যমূলক কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবি জানাতে থাকে।
অপরদিকে আরেকদল ছাত্র বরিশাল ভোলা ও কুয়াকাটা সড়ক ছাড়াও বরিশাল থেকে কুয়াকাটা
যাওয়ার একমাত্র সড়ক নগরীর শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ব্রীজে অবস্থান নিয়ে একমাত্র
এ্যামবুলেন্স ও রোগী বহনকারী যানবাহন ছেড়ে দেওয়া ছাড়া মোটর সাইকেল থেকে শুরু
করে যানবাহন বন্ধ করে দিয়ে বিভিন্ন সড়কের পয়েন্টে আগুন জালিয়ে কোটা বাতিলের
শ্লোগান দিতে থাকে।
এছাড়া আরেকদল শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতিয় গেট এলাকার সড়কে বসে বিভিন্ন
বিদ্রোহী গান ও কবিতা আবৃত্তি পাঠ করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার শ্লোগান দিতে
থাকে যতক্ষন পর্যন্ত তাদের দাবী পুরন করার ঘোষনা না আসবে।
রাত সাড়ে সাতটার দিকে আন্দোলনে থাকা শিক্ষার্থীরা মোমবাতি জালিয়ে বিক্ষোভ
মিছিল বেড় করে উক্ত এলাকার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এসময় সড়ক অবরোধ চলাকালীন প্রায় সাড়ে চার ঘন্টায় বরিশাল কুয়াকাটা সড়কের
দুপ্রান্তে প্রায় কয়েক হাজার মোটর সাইকেল সহ বিভিন্ন যাত্রীবাহি ও মালবাহি
যানবাহন আটকা পড়ে।
এ সময় শিক্ষার্থীরা প্রতিবন্ধী ও অনগ্রসর জাতিগোষ্ঠীর কোটা বাদে বৈষম্যমূলক সব
কোটা বাতিলের দাবি জানায়। শিক্ষার্থীরা বলেন ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে এ দেশকে
মুক্ত করা হলেও আজ কোটা পদ্ধতি পাকিস্তানি শোষণ-বৈষম্য বহন করছে।
আমরা এ কোটা পদ্ধতি থেকে মুক্তি চাই। আমাদের দাবি হলো- মেধার ভিত্তিতে সরকারি
চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়া চালানো হোক। আমরা শিক্ষার্থীরা আগের মত ক্লাসে ফিরে
যেতে চাই রাজপথে বসে থাকতে চাইরা।
আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে আমাদেরকে
ক্লাসে ফিরিয়ে নিন।
শামীম আহমেদ
বরিশাল,