মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৪১ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
ছাত্রদল নেতা পারভেজ হত্যার প্রতিবাদে বরিশালে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন চীনের বিশেষায়িত হাসপাতাল ও ৬ লেন রাস্তার দাবীতে কুয়াকাটায় মানববন্ধন নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎসব ২০২৫: টেকসই ভবিষ্যতের প্রত্যয়ে আয়োজন পটুয়াখালীতে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মানববন্ধন ও স্মারক লিপি প্রদান বাউফলে মায়ের সাথে খেলতে গিয়ে ছিটকে পড়ে শিশুর মৃত্যু কুয়াকাটায় চলছে ৩দিন ব্যাপী রাখাইনদের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই জলকেলি উৎসব সিদ্দিক সভাপতি, মিজান সম্পাদক। মহিপুর থানা যুবদলের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত গৃহবধূ হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে কুয়াকাটায় মানববন্ধন গৌরনদীতে চোর সন্ধেহে গনপিটুনিতে আহত যুবকের দুইদিন পর মৃত্যু কুয়াকাটায় আগুনে পোঁড়া বন পরিদর্শন কলাপাড়ায় পরীক্ষা কেন্দ্রে নকলে সহায়তার দায়ে দুই শিক্ষককে অব্যাহতি সড়ক সংস্কারের দাবীতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন বিক্ষোভ মিছিল বাড়িতে ছাগল ঢোকাকে কেন্দ্র করে দুই প্রতিবেশীর সংঘর্ষ, আহত-৪ বরিশালে ৬ দফা দাবিতে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ বরিশালের জেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে উৎস করের নির্ধারিত ফি কম নিয়ে দলিল রেজিষ্ট্রেশন করার প্রমান পেয়েছে দুদক
সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করা মোক্তার হোসেন শুধু মৃত্যুর সময় অপেক্ষা করেই আমার দিন কেটে যাচ্ছে

সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করা মোক্তার হোসেন শুধু মৃত্যুর সময় অপেক্ষা করেই আমার দিন কেটে যাচ্ছে

Sharing is caring!

অনলাইন ডেক্স: ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. মোক্তার হোসেন মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ১১ টায় শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন বরিশালের বাসাড়ীপাড়া উপজেলার লবনসাড়া গ্রামের মরহুম মো. চেরাগ আলী ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা দাবি করা মো. মোক্তার হোসেন। সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি ১৯৭১ সনে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর অত্যাচারে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এর ডাকে সাড়া দিয়ে আমি এবং আমার সহপার্টি বন্ধু মিলে বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে যাই।

আমরা ৯ নম্বর সেক্টরের অধীনে ভারতের বারাসাতে টাকিপুর থুবা ক্যাম্পে যোগ দেই মুক্তিযুদ্ধ টেনিং এর জন্য। থুবা ক্যাম্পে আমাদের থাকা খাওয়া এবং ট্রেনিং এর জন্য নির্ধারণ করা হয়। কিছু দিন টেনিং হওয়ার পরে আমি কুব অসুস্থ্য হয়ে পড়ি। সুস্থ হওয়ার পর আমাকে ঔষধপত্র খাওয়ানের পরে একপর্যায়ে সুস্থ হয়ে উঠি।

তখন সুবেদার মেজর কবির আমাকে নিয়ে ৯ নম্বর সেক্টর কমান্ডার জলিল এর সাথে দেখা করেন। ওই সময় সেখানে বরিশালের এম.পি এ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম মঞ্জুও উপস্থিত ছিলেন। আমাকে দেখে ওনারা সুবেদার মেজর কবিরের পার্টির সাথে বাংলাদেশে পাঠিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন। কবিরের পার্টিতে আমরা ৩৭/৩৮ জন মুক্তিযোদ্ধা ছিলাম। পরবর্তীতে বেড়ে ৬০/৬৫ জন হয়েছিল।

ক্যাম্প থেকে আমাদের নদীর ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পিরোজপুরের সাইজদ্দির কাঠের নৌকায় তুলে বাংলাদেশে পাঠানো হয়। হিরন পয়েন্ট হয়ে রায়েন্দা/স্বরন খোলা সুন্দরবনের ভিতরে পৌঁছাই তখন অনুমান বেলা ১০টা হবে। ওখানেই আমাদের খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্তা করা হল এবং পরবর্তীতে সন্ধ্যার পর আমাদের নদী পার করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। তখন আমাদের সাথে ক্যাপ্টেন শাহাজান ওমর পার্টির অন্যান্য বেশ কিছু মুক্তিযোদ্ধারাও উপস্থিত ছিল।

আমরা গোসল করে খেতে বসবো ঠিক সেই সময় পাকবাহিনীর গানবোর্ড এসে নদী থেকেই বেশ কিছু সেলিং করল। আমরা সুন্দরবনের সুন্দরী গাছের গোড়ায় এম্বুল অবস্থায় থাকি। প্রায় ৩/৪ ঘন্টা সেলিং চলে। আমরা রাত্রের অপেক্ষায় ছিলাম। রাত্রে আমাদের নদীপার করে মঠবাড়িয়া থানার এলাকার মধ্যে দিয়ে ভান্ডারিয়া-রাজাপুরের মধ্যে দিয়ে আমাদের গন্তব্য স্থানে সেংগল গ্রামে পৌঁছাই।

আমরা স্বরূপকাঠির মধ্যেই অর্থাৎ জলাবাড়ীর এপার এবং ওপারে অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করি। আমরা স্বরূপকাঠি, কাউখালী এবং বানড়ী পাড়ায় বিভিন্ন এলাকার যুদ্ধে অংশগ্রহণ করি। এমনকি আমাদেরই পাশেই এমবুস অবস্থায় মারা যায়। তার নাম ছিল আনসার আলি সে আর্মিতে চাকুরি করতেন। বাড়ী রাজপাশা গ্রামে, যুদ্ধ করা কালীন সময়ে আমার পায়ে খেজুর কাটা একপাশ থেকে ঢুকে আরেক পাশ থেকে বের হয়ে যায়। তবুও বহু কষ্টে যুদ্ধে অবস্থিত ছিলাম। তিনি বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে পিরোজপুর কলেজ মাঠে আমাদের অস্ত্র-সস্ত্র জমা নেওয়া হয়। আমার পার্টির কমান্ডার সুবেদার মেজর কবির সাহেব আমাকে একখানা সার্টিফিকেট দেয়।

আমার কমান্ডার সাহেব স্বাধীন হওয়ার পরেই মারা যান, এটাই আমার জন্য দুঃখ জনক। আমার ভারত হতে পাওয়া মুক্তিযোদ্ধা নং- ৩৬৬৬। স্বাধীনের পরে আমি মনে করেছিলাম যে, আমি একজন ভারতে ট্রেনিং প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা। আমার নাম অবশ্যই মুক্তিযোদ্ধা গেজেটে থাকবে। আমি দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ঢাকায় একটি ফ্যাক্টরীতে চাকুরি নেই। আমার মুক্তিযোদ্ধা সহপার্টি এবং গ্রাম দেশের কাহারও সাথে আমার তেমন কোন যোগাযোগ ছিলনা। ১৯৭৫ সনে আমি ঢাকা ছেড়ে খুলনা চলে আসি। যেহেতু আমার ফ্যাক্টরীটা বন্ধ হয়ে যায়।

খুলনা থাকা কালীন অবস্থায় জানতে পারি যে, নিজ এলাকায় এবং নীজ থানায় মুক্তিযোদ্ধা অফিসের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতে হবে। থানা মুক্তিযোদ্ধা অফিসে নাম থাকতে হবে। তখন আমি আমার থানা বানাড়ীপাড়া মুক্তিযোদ্ধা অফিসে যোগাযোগ করি। আমি মনে করেছিলাম যে, বঙ্গবন্ধুর আহবানে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করিয়াছি।

সেক্ষেত্রে আমার নাম ৯ নম্বর সেক্টরের খাতায় আছে বলে আমি মনে করেছিলাম। কাজেই সরকারী খাতায় নাম থাকা মানেই আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু সরকারী সার্কুলার মোতাবেক আমি থানা মুক্তিযোদ্ধা অফিসে এবং টি,এন,ও অফিসে যোগাযোগ করি। তখন থানা কমান্ডার মো. হোসেন বালি এবং ইউনিয়ন কমান্ডার মো. আবু সাহেবের সাথে যোগাযোগ করে আমার নাম বানাড়ীপাড়া মুক্তিযোদ্ধার খাতায় অন্তরভুক্তির জন্য আবেদন করি। টি,এন,ও অফিস হইতে ফরম নিয়ে সঠিক তথ্য প্রদান করে ফরম পূরণ করে দেই।

তৎকালীন থানা কমান্ডার এবং ইউনিয়ন কমান্ডার আমার যুদ্ধকালিন এলাকায় যেয়ে আমার সহপার্টিদের নিকট খোঁজ খবর নিয়ে সঠিক মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে আমাকে চিহ্নিত করে। আমার থানা এলাকায় যাচাই-বাছাই করে সঠিক মুক্তিযাদ্ধা হিসেবে জেলায় পাঠানো হয়। জেলা থেকে যাচাই বাছাই হয়ে ঢাকা মুক্তিযোদ্ধা অফিসে পাঠানো হয়। ওই সময় বরিশাল জেলা আহবায়ক নাকি বাংলাদেশে ছিলেন না। উনি বাংলাদেশে এসে আবার ঐ সকল ফাইল তলব করে জেলায় জেলায় নিয়ে আসে।

পরবর্তীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এলো। আমি বিভিন্ন মন্ত্রনালয়, ডিসি অফিস এমনকি ঢাকা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলে দরখাস্ত করেছি। তিনি লিকিত বক্তব্যে আরো বলেন, আমি ২০০৯ সালের ২৮ এপ্রিল মুক্তিযোদ্ধা গেজেটে নাম অন্তর্ভূক্ত করার জন্য বরিশাল জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করি। চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে আবেদন করি। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউনিয়ন কমান্ড, স্বরুপকাঠী, পিরোজপুর শাখা থেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে ২০১৪ সালের ১৩ মার্চ প্রত্যয়ন পত্র দেয়।

অনলাইনে দাখিল, আবেদনের ডিজি নং- DG1131550, তাং-১৫/০৩/২০১৪ নিজে ও মন্ত্রানালয়ে গিয়ে বহুবার ধর্না দিয়েছি। পরবর্তীতে আমার যাচাই বাছাই হবে এ আশায় কেটে গেল কয়েক বৎসর। যখন যাচাই-বাছায়ের সময় এসেছে তখন আমার সহযোগি মুক্তিযোদ্ধা ৩ জনের উপস্থিত করি তাদের গেজেট নং, ফোন নম্বর, স্বক

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD