রবিবার, ২৭ Jul ২০২৫, ০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন
এস আল-আমিন খাঁন পটুয়াখালী, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
পটুয়াখালীর দুমকিতে একটি বেসরকারি হাসপাতালের পরিচালকের বিরুদ্ধে এএসও টাইটর টেস্ট এ ভুল রির্পোটের অভিযোগ তোলায় রুগীর স্বজনকে প্রাণ নাশের হুমকি প্রদানের অভিযোগ ওঠেছে।
ডা. জি,এম এনামুল হক দুমকি উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্স এর আবাসিক মেডিকেল অফিসার পদে দায়িত্ব পালন করছে।
উপজেলা শহরের হাসপাতাল রোড এলাকার নিউ লাইফ ডিজিটাল মেডিকেল সার্ভিসেস‘র এর পরিচালক ডা. জিএম এনামুল হক মোবাইল ফোনে অভিযোগকারী দুমকি গ্রামের মৃত মানিক মৃধার স্ত্রী সকিনা বেগমকে মোবাইল ফোনে হুমকি প্রদান করেছেন।
ডা. এনামুলের দম্ভোক্তিসহ হুমকির একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে এবং প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। অডিও ক্লিপটিতে ডা. এনামুলকে বলতে বলতে শোনা যায়, ওই অভিযোগে কিছুই হবে না। তার শশুর বরিশাল ড্যাব নেতা তিনি এ বিভাগীয় পরিচালক এবং সিভিল সার্জনসহ সবাইকে চালায়।
আমার কিছুই করতে পারবিনা। সুতরাং অভিযোগ তুলে না নিলে তোদের দেখে নেব। এঘটনায় ভীত সন্ত্রস্ত সখিনা বেগম অভিযুক্ত ডা. এনামুল দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে গতকাল বৃহস্পতিবার দুমকি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন।
(দুমকি থানার ডায়েরী নং ১০২১. তারিখ-২৪/৭/২৫) ডায়েরীতে উল্লেখ করেন, সখিনা বেগম তার ৬বছরের অসুস্থ নাতনীকে ডা. এনামুল হকের নিজস্ব মালিকানা নিউ লাইফ ডিজিটাল মেডিকেল সার্ভিসেস‘র নামের হাসপাতালে টেস্ট এর জন্য নিয়ে গেলে ভুল টেস্ট রিপোর্ট দেয়।
যা পরবর্তিতে বরিশালের জাহানারা ক্লিনিকে পুন:রায় পরীক্ষা করানোর পর নিশ্চিৎ হয়। এমন আর্থিক ও মানুষিক হয়রানীর প্রতিকার চেয়ে অভিযুক্ত ডা. জিএম এনামুল হকের বিরুদ্ধে পটুয়াখালী সিভিল সার্জন বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিলে তিনি ক্ষিপ্ত হন।
এবং তার ০১৭৬৫২৭৫৫০৪ থেকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। অভিযুক্ত উপজেলা হাসপাতালের আরএমও ডা. জিএম এনামুল হকের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতাসহ সরকারি চাকুরির বাইরে এবং সরকারি হাসপাতালের পাশেই প্রাইভেট হাসপাতাল ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়া হাসপাতালের রুগীদের নিজ মালিকানার নিউ লাইফে পাঠানো এবং অন্য ক্লিনিকে টেস্ট করালে সেই টেস্ট গ্রহনযোগ্য নয় বলে ছুড়ে ফেলে দিয়ে রুগীদের সাথে অশালীন আচরনের অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে, ডা. এনামুল এর বক্তব্য নিতে চাই তিনি বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানান এবং নিউজ প্রকাশ না করার জন্য রাজনৈতিক লেবেলের জেলার নেতা সহ বিভিন্ন নাম ব্যবহার করে ক্ষমতার উৎস প্রকাশ করেন।