রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৩৭ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎসব ২০২৫: টেকসই ভবিষ্যতের প্রত্যয়ে আয়োজন পটুয়াখালীতে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মানববন্ধন ও স্মারক লিপি প্রদান বাউফলে মায়ের সাথে খেলতে গিয়ে ছিটকে পড়ে শিশুর মৃত্যু কুয়াকাটায় চলছে ৩দিন ব্যাপী রাখাইনদের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই জলকেলি উৎসব সিদ্দিক সভাপতি, মিজান সম্পাদক। মহিপুর থানা যুবদলের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত গৃহবধূ হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে কুয়াকাটায় মানববন্ধন গৌরনদীতে চোর সন্ধেহে গনপিটুনিতে আহত যুবকের দুইদিন পর মৃত্যু কুয়াকাটায় আগুনে পোঁড়া বন পরিদর্শন কলাপাড়ায় পরীক্ষা কেন্দ্রে নকলে সহায়তার দায়ে দুই শিক্ষককে অব্যাহতি সড়ক সংস্কারের দাবীতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন বিক্ষোভ মিছিল বাড়িতে ছাগল ঢোকাকে কেন্দ্র করে দুই প্রতিবেশীর সংঘর্ষ, আহত-৪ বরিশালে ৬ দফা দাবিতে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ বরিশালের জেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে উৎস করের নির্ধারিত ফি কম নিয়ে দলিল রেজিষ্ট্রেশন করার প্রমান পেয়েছে দুদক কলাপাড়ায় কৃষকদের অবস্থান ধর্মঘট ও স্মারকলিপি প্রদান কলাপাড়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বিএনপি কার্যালয়সহ ৫টি দোকান ভস্মীভূত
জমি দখল ও বালু ভরাটের অভিযোগে বরিশালে সংবাদ সম্মেলন

জমি দখল ও বালু ভরাটের অভিযোগে বরিশালে সংবাদ সম্মেলন

Sharing is caring!

বরিশালর বাকেরগঞ্জ উপজেলার ৩নং দাড়িয়াল ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সহিদুল ইসলাম হাওলাদার কর্তৃক আদালতের নির্দেশ অমান্য করে অবৈধভাবে জমি দখল ও বালু ভরাটের প্রতিবাদে আজ বুধবার বেলা ১টায় বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার ৩নং দাড়িয়াল ইউনিয়নের বাসিন্দা ভুক্তভোগী মৃত সুকুমার পাল এর ছেলে নরেন্দ্রনাথ পাল। তিনি অভিযোগ করে বলেন, বরিশালর বাকেরগঞ্জ উপজেলার ৩নং দাড়িয়াল ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সহিদুল ইসলাম দুই দাগে ১৪ শতাংশ জমি ক্রয় কওে বর্তমানে তার জমি ছাড়াও আমাদেও জমি জোর পূর্বক দখল কওে বালু দিয়ে ভরাট করছে। সহিদুল ইসলাম তার সন্ত্রাসী বাহীনিকে কাজে লাগিয়ে জমি দখলের মিশনে নেমেছে। আমরা হিন্দু সম্প্রদায়ের হওয়ার কারনে সহিদুল ইসলাম ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে আমাদেরকে নানা ভাবে হুমকী প্রদান করছে। এমনকি আমাদের দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যেতে বলেছে। এছাড়াও প্রতিনিয়তই গালাগাল করে আমাদের নাজেহাল করে তুলেছে।

তিনি বলেন, সহিদুল ইসলাম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বরিশাল জেলা পরিষদের সদস্য হওয়ায় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ভুয়া জাল দলিল তৈরী করে আমাদেরকে উচ্ছেদের চেষ্টা চালাচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে এক লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী নরেন্দ্রনাথ পাল বলেন, আমার কাকা সুনিল পালের অংশ হইতে চারটি দাগে ৪৫৮৫/ ৪৫৯৯/ ৪৬০১ ও৪৬০৩ মোট ৩৪ শতাংশ ভুমি রাবেয়া খাতুনের নিকট বিক্রি করে। যাহা ১০৫৫ বিকে ৮৭-৮৮ নামজারি মোকদ্দমায় রেকর্ড করে তাহারা ভোগ-দখলে আছে। রাবেয়া খানমের নিকট হইতে ২০১৫ সালে সহিদুল ইসলাম হাওলাদার উল্লেখিত চারটি দাগে ১৪ শতাংশ ভুমি ক্রয় করেন, যাহা আপসে ২টি দাগ হইতে সে ভোগ-দখল করিতে পারিবেন মর্মে দলিলে উল্লেখ আছে। আমার পিতা সুকুমার পালের মৃত্যুতে ওয়ারিশ থাকেন দুই পুত্র নরেন্দ্র নাথ পাল ও জয়ন্ত কুমার পাল।

অতপর সুনিল কুমার পাল অবিবাহিত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করিলে ওয়ারিশ বিদ্যমান থাকি আমারা দুই ভাই নরেন্দ্র নাথ পাল ও জয়ন্ত কুমার পাল। রেকর্ডীয় মালিক হইতে অদ্যাবধি বংশপরম্পরায় আমাদের পরিবার উক্ত ৫.৬৮ একর জমি নিরঙ্কুশভাবে ভোগ-দখলে বিদ্যমান আছি। কাকা সুনিল পালের মৃত্যুর পরে আমরা সম্যক জমিতে আমাদের দুই ভাইর নামে নাম জারি করাইতে গিয়া পর্চায় কিছু অসংগতি দেখতে পাই এবং ১০০ বিকে ২০১৫/১৬ নং মোকদ্দমা দায়ের করি। সহিদুল ইসলাম হাওলাদার গং আমাদের পরিবারের লোভাতুর কিছু আত্মীয় সহযোগে বর্তমান চলমান ১৬/২০১৬ মোকদ্দমাটি সত্যের ঘোষনা মূলক ডিক্রী চাহিয়া আনায়ন করেন।

উক্ত মোকদ্দমার নকলে দেখা যায় যে, ৬ষ্ঠ মুন্সেফি আদালতে টাকার ডিক্রী নং ৫০/৫৭ তে নিলাম হইলে নিলাম নিস্পতির তারিখ দেখা যায় ০৯/১২/১৯৫৭ইং। উক্ত তারিখ অনুয়ায়ী ৫০/৫৭নং মোকদ্দমাটি সার্চিং দিয়ে পাওয়া যায় নাই। এবং আর্জিতে উল্লেখিত জেলা খুলনা মৌজা তালা এস.এ ১৪ ও মৌজা তেতুল তলা এস.এ ১৩৯ নং খতিয়ান উল্লেখ করিয়া ১৯৬৮সনে ২টি দলিল সৃজন করেন। যে সকল মৌজায় আমার দাদু বিনোদ বিহারী পালের কোন সম্পত্তি কশ্মিনকালেও ছিল না এবং দলিল দুটি সার্চিং দিয়ে কোন হদিস মিলে নাই। উল্লেখিত ১৬/২০১৬নং মোকদ্দমায় বিগত ২৫/০৬/২০১৬ইং তারিখে সহিদুল ইসলাম হাওলাদার অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্ত আনায়ন করিয়া মোকদ্দমার দো-তরফা শুনানি অন্তে ০৬/১১/২০১৮ইং তারিখ বিজ্ঞ ৩য় যুগ্ম জেলা জজ আদালত মোকদ্দমাটি চুরান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থিতি অবস্থা জারি করেন।

বিষয়টি নিয়ে বরিশাল জেলার বিজ্ঞ ৩য় যুগ্ম জেলা জজ আদালতে চলমান ১৬/২০১৬ নং দেওয়ানী মোকদ্দমার গত ২০১৮ সালের ৬ নভেম্বর মামলা চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থিতি অবস্থা জারী রাখার আদেশ প্রদান করেন। চলতি বছরের ১৮ জুলাই রাতে বিরাধীয় সম্পত্তিতে সহিদুল ইসলাম হাওলাদার কর্তৃক তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনীর সহযোগিতায় বালু দিয়ে ভরাট করে। সংবাদ পেয়ে রাতসাড়ে ১২টার দিকে আমি ৯৯৯ নম্বরে কল করে অভিযোগ জানাই। ৯৯৯ থেকে তাৎক্ষনিক ভাবে ও.সি বাকেরগঞ্জ থানাকে অবহিত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশন দিলে ও.সি বাকেরগঞ্জ শর্শী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে প্রেরণ করে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করেন।

তিনি আরো বলেন, জেলা-বরিশাল, উপজেলা- বাকেরগঞ্জ, জে.এল নং ১০৫নং দাড়িয়াল মৌজার এস.এ ১০৪১ নং খতিয়ানের হাল ৪৫৬৭/ ৪৫৭১/ ৪৫৭২/ ৪৫৭৩/ ৪৫৭৪/ ৪৫৭৫/ ৪৫৭৯/ ৪৫৮০/ ৪৫৮৫/ ৪৫৯৯/ ৪৬০১/ ৪৬০৩ নং দাগের মোট ৬.২ একর ভুমিতে রেকর্ডীয় মালিক বিনোদ বিহারী পাল, পিং- চন্দ্র কুমার পাল এবং ক্ষিরোদা সুন্দরী মালিক দখলকার বিদ্যমান থাকেন। উক্ত রেকর্ডীয় মালিক ক্ষিরোদা সুন্দরী পুত্র-কন্যা বিহীন অবস্থায় মারা গেলে ওয়ারিশ থাকে দেবর পুত্র রেকর্ডীয় বিনোদ বিহারী পাল, পিতা- চন্দ্র কুমার পাল। অতপর রেকর্ডীয় বিনোদ বিহারী উক্ত খতিয়ানে সম্যক ভূমিকে মালিক দখলকার বিদ্যমান থাকিয়া মৃত্যুবরণ করায় তার ওয়ারিশ থাকেন দুই পুত্র যথাক্রমে সুকুমার পাল ও সুনিল পাল। আমার পিতা বাদী হয়ে ২৬৫ বি.কে/৮০-৮১ নং নামজারী মোকদ্দামায় যথাক্রমে বাবা সুকুমার পাল ও কাকা সুনিল পালের নামে নাম জারি করান। আমার কাকা সুনিল পালের অংশ হইতে চারটি দাগে যথাক্রমে ৪৫৮৫/ ৪৫৯৯/ ৪৬০১ ও৪৬০৩ মোট ৩৪ শতাংশ ভুমি জনৈকা রাবেয়া খাতুন, স্বামী- জাফর খান-এর নিকট বিক্রি করেন। যাহা ১০৫৫ বিকে ৮৭-৮৮ নামজারি মোকদ্দমায় রেকর্ড করে তাহারা ভোগ-দখলে আছে।

রাবেয়া খানমের নিকট হইতে ২০১৫ সালে সহিদুল ইসলাম হাওলাদার উল্লেখিত চারটি দাগে ১৪ শতাংশ ভুমি ক্রয় করেন, যাহা আপসে ২টি দাগ হইতে সে ভোগ-দখল করিতে পারিবেন মর্মে দলিলে উল্লেখ আছে। আমার পিতা সুকুমার পালের মৃত্যুতে ওয়ারিশ থাকেন দুই পুত্র নরেন্দ্র নাথ পাল ও জয়ন্ত কুমার পাল। অতপর সুনিল কুমার পাল অবিবাহিত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করিলে ওয়ারিশ বিদ্যমান থাকি আমারা দুই ভাই নরেন্দ্র নাথ পাল ও জয়ন্ত কুমার পাল। রেকর্ডীয় মালিক হইতে অদ্যাবধি বংশপরম্পরায় আমাদের পরিবার উক্ত ৫.৬৮ একর জমি নিরঙ্কুশভাবে ভোগ-দখলে বিদ্যমান আছি।

কাকা সুনিল পালের মৃত্যুর পরে আমরা সম্যক জমিতে আমাদের দুই ভাইর নামে নাম জারি করাইতে গিয়া পর্চায় কিছু অসংগতি দেখতে পাই এবং ১০০ বিকে ২০১৫/১৬ নং মোকদ্দমা দায়ের করি। সহিদুল ইসলাম হাওলাদার গং আমাদের পরিবারের লোভাতুর কিছু আত্মীয় সহযোগে বর্তমান চলমান ১৬/২০১৬ মোকদ্দমাটি সত্যের ঘোষনা মূলক ডিক্রী চাহিয়া আনায়ন করেন। উক্ত মোকদ্দমার নকলে দেখা যায় যে, ৬ষ্ঠ মুন্সেফি আদালতে টাকার ডিক্রী নং ৫০/৫৭ তে নিলাম হইলে নিলাম নিস্পতির তারিখ দেখা যায় ০৯/১২/১৯৫৭ইং। উক্ত তারিখ অনুয়ায়ী ৫০/৫৭নং মোকদ্দমাটি সার্চিং দিয়ে পাওয়া যায় নাই। এবং আর্জিতে উল্লেখিত জেলা খুলনা মৌজা তালা এস.এ ১৪ ও মৌজা তেতুল তলা এস.এ ১৩৯ নং খতিয়ান উল্লেখ করিয়া ১৯৬৮সনে ২টি দলিল সৃজন করেন। যে সকল মৌজায় আমার দাদু বিনোদ বিহারী পালের কোন সম্পত্তি কশ্মিনকালেও ছিল না এবং দলিল দুটি সার্চিং দিয়ে কোন হদিস মিলে নাই।

উল্লেখিত ১৬/২০১৬নং মোকদ্দমায় বিগত ২৫/০৬/২০১৬ইং তারিখে সহিদুল ইসলাম হাওলাদার অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্ত আনায়ন করিয়া মোকদ্দমার দো-তরফা শুনানি অন্তে ০৬/১১/২০১৮ইং তারিখ বিজ্ঞ ৩য় যুগ্ম জেলা জজ আদালত মোকদ্দমাটি চুরান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থিতি অবস্থা জারি করেন।

ভূমিদস্যু সহিদুল ইসলামের হাত থেকে পরিতান পেতে তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD