শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১১:০২ পূর্বাহ্ন
বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পশ্চিম অংশে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় বুলবুল ধেয়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাটসহ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলাগুলোতে। শক্তি কমে ধীরে ধীরে উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে এটি। তবে, এর আগে ভারতের উপকূলীয় এলাকায় তাণ্ডব চালিয়েছে বুলবুল, প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত দুইজন।
শনিবার (৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ঘণ্টায় ১১০-১২০ কিলোমিটার বেগে বুলবুল বয়ে যায় সুন্দরবনের ধানচি অঞ্চল দিয়ে।
পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকা লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে এই প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার নামখানায় ভেঙে গেছে দু’টি জেটি। কাঁকুড়গাছিতে ভেঙে পড়েছে অসংখ্য গাছ। কলকাতা পৌরসভার কর্মীরা রাতের মধ্যেই সড়কে পড়া গাছপালা কেটে সরিয়ে নেন। ফলে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এছাড়া আলীপুরসহ বিভিন্ন স্থানে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে গাছ ভেঙে পড়ে।
বুলবুলের তাণ্ডবে দুই পরগনা, দুই মেদিনীপুর ও হাওড়ায় বেশ কিছু জায়গায় অসংখ্য কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিভিন্ন এলাকার নদীর বাঁধ। কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে।
বিভিন্ন এলাকায় কাঁচা ও পাকা রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভারী বর্ষণে বারাসাতের ডাকবাংলো মোড় থেকে যশোর রোড ধরে চাঁপাডালির দিকের সড়কের পিচ উঠে গেছে, ইট-মাটি ভেঙে গেছে।
এছাড়া, উপকূলীয় এলাকায় ক্ষেতের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রোববার (১০ নভেম্বর) দিঘা, মন্দারমণি, তালসারি, শঙ্করপুর, বকখালি ও সাগরদ্বীপে পর্যটকদের সাগরে নামা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত উপকূলীয় এলাকা থেকে ২ লাখ ৭৬ হাজার ৬৮০ জনকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় থেমে যাওয়ার পরও কারও প্রয়োজন হলে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকতে পারেন।
রোববার চব্বিশ পরগনা, মেদিনীপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ জানতে ব্যবহার করা হবে ‘দুর্দান্ত’ নামে একটি ড্রোন।
এদিকে, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গে একজন করে প্রাণ হারিয়েছেন।