শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:১০ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক:
১৯৭১ সালের স্বাধীনতা অর্জনের আগে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ৫৬ হাজার বর্গমাইলের এদেশে চালিয়েছিল গণহত্যা ও নারী ধর্ষণের নির্মমতার বিষক্রিয়া। দেশের সেসব মর্মান্তিক খণ্ডচিত্রকে মঞ্চে কাল্পনিক চরিত্রের রূপে উপস্থাপিত হয়েছে মঞ্চ নাটক ‘কনডেমড সেল।’
সোমবার (১৯ নভেম্বর) নাটকটি মূল্যায়ন করতে গিয়ে এমনটাই জানালেন নাটকটির রচয়িতা ও অভিনেতা অনন্ত হিরা। সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে নাটকটি মঞ্চস্থ হয়েছে।
নাটকটির ঘটনা প্রবাহ এবং সব চরিত্র কাল্পনিক। নাট্যকার এ নাট্য প্রয়াসকে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিতে বাঙালি জাতির সবচেয়ে গৌরবময় ঘটনা প্রবাহের সময়গুলোকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। ‘৭১ এর নরঘাতক রাজাকার, আল-বদর, আল-সামস বাহিনীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও অংশগ্রহণে যে গণহত্যা ও নারীর প্রতি পাশবিকতায় ৫৬ হাজার বর্গমাইলের কিছু খণ্ডচিত্র।
মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন পাক হানাদার বাহিনী এবং তাদের এ দেশীয় দোসরদের বর্বরতা ও কু-কর্ম নিয়ে ‘কনডেমড সেল’ দেশের অন্যতম নাট্যগোষ্ঠী ‘প্রাঙ্গণেমোর’ নাট্যদলের ১০ম প্রযোজনা।
নাট্যকার আউয়াল রেজার নির্দেশনায় নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন নুনা আফরোজ, অনন্ত হিরা, আউয়াল রেজা, রামিজ রাজু, জাহিদুল ইসলাম, মাইনুল তাওহীদ, শুভেচ্ছা, তুহিন, সুজন, সোহাগ, সুজয় প্রমুখ।
নাটকের সব ঘটনা প্রবাহ সংগঠিত হয় কারা অভ্যন্তরে ‘কনডেমড সেল’ নিয়ে। কারাবিধি বা রীতি অনুযায়ী যেখানে শুধুমাত্র মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদিরা থাকেন। এর বাইরে নাটকের ঘটনা পরম্পরা বয়ে নিয়ে যায় যেসব চরিত্রসমূহ, তারা সবাই কাল্পনিক। তারপরেও থেকে যায় দর্শকের অন্বেষণ।
এ প্রসঙ্গে দর্শনার্থী শাহিন আলম বলেন, নাটকটিতে যেভাবে স্বাধীনতার সময়কার ঘটনাগুলো তুলে ধরা হয়েছে, তা সত্যিই অনন্য। এখানে দর্শকের নিজের দেখা কোনো চরিত্র, ঘটনা বা অভিজ্ঞতার সঙ্গে চরিত্রের মিল খুঁজে পাওয়া যেমন সহজ, তেমনি বেশ কঠিনও।
সে সুরেই কথা বললেন নাট্যকার আউয়াল রেজা। তিনি বাংলানিউজকে জানান, এ নাটকের কোনো চরিত্রের সঙ্গে সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া বা আবিষ্কারের সম্পূর্ণ দায় দর্শকেরই। যারা সাদৃশ্য খুঁজে পাবেন না বা সাদৃশ্য আবিষ্কার করতে ব্যর্থ হবেন, তারা দায়মুক্তি নিয়েই ঘরে ফিরতে পারবেন।