বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ০২:৩৯ পূর্বাহ্ন
মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন) স্টাফ রিপোর্টারঃ
পটুয়াখালীর সদর উপজেলাধীন লোহালিয়া ইউনিয়নের কুড়িপাইকা পাজাখালী আপ্তাফ উদ্দিন মোল্লা দাখিল মাদ্রাসায় ফ্যাসিবাদী সরকার বর্তমানেও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এডহক কমিটি গঠন করে। এবং এর বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর ক্ষোভের অভিযোগ উঠেছে।
লোহালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির পক্ষে মোঃ সোহাগ (মোরছা লিন) নামের এক ব্যক্তি জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অদ্য (১৬ মে বৃহস্পতিবার) সকাল ১১ টার সময় পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ,ইউ,এন,ও,দুদক,জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করা হয়।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, বিগত ১২ মার্চ ২০২৫ তারিখে গোপনে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার, আওয়ামী লীগপন্থী ব্যক্তি ও স্থানীয় বিতর্কিত নেতা মোঃ ইদ্রিস মোল্লাকে সভাপতি করে একটি এডহক কমিটি গঠন করা হয়।
এতে স্থানীয় রাজনৈতিক, সামাজিক এবং অভিভাবক মহলের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি।, অভিযোগকারীর দাবি, ইদ্রিস মোল্লা এর আগেও একইভাবে সভাপতি নির্বাচিত হয়ে মাদ্রাসা ও স্থানীয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কোটি কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য করে প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কার্যক্রমে কোনো ভূমিকা রাখেননি।
এমনকি পূর্বে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এক প্রধান শিক্ষক আত্মহত্যা করেন বলেও অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়। অভিযোগে আরও বলা হয়, মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার আবুল বশার ও শিক্ষক আবু ইউসুফ আনসারির যোগসাজশে নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলের অনুগতদের দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। অথচ, কমিটি প্রকাশ করা হয় ১৩ মে ২০২৫ তারিখে, যা এলাকায় চরম অসন্তোষ ও উত্তেজনার সৃষ্টি করে।
মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার নিজেই জানিয়েছেন যে, তার স্বাক্ষর জাল বা জোরপূর্বক নিয়ে এই কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে বলে তিনি কিছু জানেন না।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, একটি ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে রাজনৈতিক প্রভাবের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা হচ্ছে যা শিক্ষার পরিবেশ ও ন্যায়ের পরিপন্থী।
এই প্রেক্ষিতে দ্রুত এডহক কমিটি বাতিল করে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য একটা প্রক্রিয়ায় কমিটি গঠনের দাবি জানানো হয়েছে। এ ব্যপারে স্থানীয়রা বলেন,৫ আগষ্টের আগে ফ্যাসিস্ট সরকার আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা হিসেবে কাজ করেছে এই ইদ্রিস মোল্লা।
ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের পরে কিভাবে তিনি কমিটিতে পূনরায় সভাপতি হন। নিষিদ্ধ দলের লোক কোন কমিটিতে থাকতে পারবে না।
স্থানীয়রা বলে এটা আমাদের প্রানের দাবী। এবিষয়ে কমিটির সভাপতি ইদ্রিস মোল্লা মুঠোফোনে বলেন,আমি কাগজ পত্রে নিয়ম তান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হয়েছি। স্থানীয় পর্যায় এই প্রতিষ্ঠানটি সামনে এগিয়ে যাক এটা তারা চায় না।
আমরা জমিদাতা আমার চাচা দশ বছর এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। যারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে তারা আমাকে সমাজে হেও প্রতিপন্ন করার জন্য এই পায়তারা চালাচ্ছে আমি কোন অনিয়মের সাথে জড়িত নই।
এবিষয়ে কুড়িপাইকা পাজাখালী আপ্তাফ উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসার সুপার আবুল বাশার এর মুঠোফোন( ০১৭২১- ৩৬২৯৬২)এ একাধিক বার ফোন করলে   ফোনটি রিসিভ হয়নি তাই তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে জেলা শিক্ষা অফিসার মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান বলেন,কুড়িপাইকা পাজাখালী আপ্তাফ উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসার এডহক কমিটি লিখিত অভিযোগ আমরা হাতে পেয়েছি প্রতিষ্ঠানের এডহক কমিটি স্বাভাবিক পর্যায় গঠন করা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। এ বিষয়টি আমরা জোরালো ভাবে দেখব। এছাড়াও উদ্ধর্তন কতৃপক্ষের কাছে আমরা জানাবো।
এডহক কমিটি নিয়ে কোন প্রকার অনিয়ম হোক এটা আমরা কখনো চাই । এ ব্যপারে শিক্ষকদের অনুমতি আছে কিনা,অভিভাবকরা এ ব্যপারে জানেন কিনা যদি না জানে তাহলে আমরা অতি শিঘ্রই কতৃপক্ষের কাছে লিখিত ভাবে জানাবো বলে জানান তিনি