বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:১০ পূর্বাহ্ন
মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন) পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালী জেলা সদরসহ আসপাশের উপজেলায় বিচ্ছিন্ন পয়েন্টে ব্যাকু মেশিন এক্সক্যাভেটর দিয়ে প্রকাশ্যে অবৈধভাবে তিন ফসলির কৃষিজমির মাটি কেটে ইটভাটায় দিয়ে বিক্রির নামে মহোৎসব চলছে। তিন ফসলি কৃষি জমি পরিনত হচ্ছে পুকুর-খাল ডোবায়।
মাটি পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে (ট্রোলি) ভারী যানবাহনের জন্য পরিবেশ ও গ্রামীণ জনপদ সড়ক হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত। দিন বা দিন ফসলের উৎপাদন কমছে, বেকারত্বে পরিনত হচ্ছে দেশের কৃষক। প্রশাসনের নির্বিকার ভূমিকায় মাটি ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য কিছুতেই বন্ধ করতে পাচ্ছে না।
দিন- রাত প্রকাশ্যে পটুয়াখালীর সদর উপজেলা লাউকাঠি ইউপির,খলিশাখালী ঢেউখালীতে ভাটা। ইটবাড়িয়া ইউপি ফাহিম ব্রিকস ২টি ভাটা। গলাচিপা উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের,নদীর তীরবর্তী ২ টি ড্রাম চিমনি,ইটভাটা,মের্সাস ভাই ভাই ব্রিকর্স মের্সাস,ওমের্সাস শাহীন ব্রীকর্সঅবস্থিত। জেলার ৪টি ভাটায় কয়লা ছাড়া বাকী সব পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। নেই অনেকের পরিবেশের ছাড় পত্র।
আবার কারো করো তালিকায় নেই নাম। মোট জৈনকাঠী ইউপির গগনখালীতে নদীর তীরবর্তী ইটভাটা,গজালিয়া ইউপিতে জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যান এর ইটভাটা, কলাপাড়া উপজেলায় একাধিক ভাটা,বাউফল উপজেলা সহ বিভিন্ন সড়কের পাশে অবৈধভাবে ফসলি জমির মাটি কাটছে দেখলে মনে হয় সরকারি অনুমতি নিয়ে এসব জায়গায় পুকুর খনন করছে,বনের কাঠ উজাড় করে ইটভাটায় পোড়ানো হচ্ছে ইট,পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে।
গত( ১৯ জানুয়ারি) শনিবার দুপুর ১২ টায় সদর উপজেলার ইটবাড়িয়া ইউনিয়নে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ২ নং ব্রীজ সংলগ্ন মের্সাস ফাহিম ব্রিকর্স এর স্বত্বাধিকারী আব্দুল হাইর যোগ সাজশে আশপাশের এলাকায় বিভিন্ন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অনেক জায়গায় প্রকাশ্যে এক্সক্যাভেটর (ব্যাকু) মেশিন দিয়ে মাটি কেটে ৮-১০ টি ট্রোলি গাড়ির মাধ্যমে ইটভাটায় মাটি সরবরাহ করছেন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক ব্যক্তি প্রত্যক্ষদর্শী বলেন,পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সঞ্চালন লাইনের টাওয়ার এর পার্শে মাটি কেটে মের্সাস ফাহিম ব্রিকর্স ট্রোলির মাধ্যমে নিচ্ছে। এভাবে দিনে দুপুরে সরকারি খাস জমির মাটি তারা নিতে পারে না। রোডে পাশে মাঠের মধ্যে প্রকাশ্যে ফসলি জমি কাটছে প্রসাশন নিরব ভূমিকা পালন করছে। টাওয়ারটি ঝুকিপূর্ন এসব কথা বলতে গেলে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।
এসব ব্যবসায়ী স্হানীয়ভাবে প্রভাব শালী হওয়ার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। গ্রামের সাধারণ সহজ সরল কৃষককে বেশি টাকার প্রলোভনা দেখিয়ে এই ব্যবসা করছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও ভাটার মালিকরা। এ বিষয় ফাহিম ব্রিকর্সের সত্বাধিকারী আব্দুল হাইর মুঠোফোনে ফোন করে জানতে চাইলে তিনি দৈনিক আনন্দ বাজারকে জানান,যারা মাটি বিক্রি করছে তারা এলাকার প্রভাবশালী তাদের সাথে কথা বলুন।
মাটি কেটে আমার ব্রিকফিল্ডে দিচ্ছে তাতে কি হয়েছে যারা মাটি কাটছে তাদের ধরুন তারা বলতে পারবে।কৃষি জমির মাটি আপনি কথা বলে টাকার বিনিময় কাটাচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি ফোনটি কেটে রেখে দেন। পটুয়াখালী সদর ইউ,এন,ওকে বিষয়টি অবহিত করলে তিনি ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে আসার জন্য বলেন, তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় ভুমি অফিসের তহসিলদার এসে এক্সকেভেটর( ব্যাকু) জব্দ করে ইটবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চকিদারের কাছে জব্দকৃত ব্যকু জিম্মায় রেখে তিনি চলে যান।
এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইফ্ফাত আরা জাহান (উর্মী) তিনি বলেন,আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে লোক পাঠিয়েছি দিনে দুপুরে যে মাটি কাটছে তা আমি এইমাত্র জানলাম।
এ বিষয় তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।।
মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন) পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ