বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৬:০৪ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেক্স: জনপ্রিয় সেচ্ছাসেবী সংগঠন বিদ্যানন্দের নামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভুয়া পেজ খুলে প্রতারণা করে আসছিলেন পাঁচজন। তারা বন্যার্তদের সহায়তার কথা বলে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিতেন।
এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন তাদের গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতাররা হলেন- আমির হোসেন শাকিল (২৫), মো. দেলোয়ার হোসেন (২২), মো. মশিউর রহমান (২৬), মো. ইসরাফিল পাবেল (২৪) ও মো. মহিন উদ্দিন (২২)। সোমবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে ডিএমপির সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) ধ্রুব জ্যোতির্ময় গোপ এসব তথ্য জানান।
ধ্রুব জ্যোতির্ময় গোপ জানান, গত ১৬ ও ২৯ জুলাই ডিএমপির পল্লবী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দুটি মামলা হয়। মামলায় অভিযোগ করা হয়, একটি অসাধু চক্র সেচ্ছাসেবী সংগঠন বিদ্যানন্দের নামে ফেসবুকে পেজ খুলে প্রতারণা করছে। পরে মামলাগুলোর তদন্ত-ভার পায় সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন। তদন্ত দেখা যায়, চক্রটি বিদ্যানন্দের নামে পেজটিতে বন্যার্তদের সাহায্যের কথা বলে বিভিন্ন পোস্ট দেয়। ফেসবুক ব্যবহারকারীরা এসব পোস্ট দেখে বন্যার্তদের সহায়তায় টাকা পাঠাতেন। এভাবে ওই ভুয়া পেজটির অ্যাডমিনরা লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে মোবাইল নম্বর বন্ধ করে দিতেন।
তদন্তের এক পর্যায়ে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার করে চক্রটির ৬ সদস্যকে রোববার (৬ নভেম্বর) নোয়াখালী থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতাররা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের প্রতারণার বিষয়টি স্বীকার করেন।
দেশবাসীদের এ ধরনের প্রতারণা থেকে রক্ষা পেতে সতর্ক থাকতে অনুরোধ করেছে ডিএমপির সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন। এ লক্ষ্যে কিছু বার্তা দেয় সংস্থাটি। তাতে বলা হয়-
নিজ নামের সিম কার্ড অন্য কাউকে দেওয়া/বিক্রি না করা; নিজ এনআইডিতে কতগুলো সিম আছে তা চেক করে অজ্ঞাত/অব্যবহৃত সিম বন্ধ করা; প্রিরেজিস্টার্ড সিম বিক্রি না করা; মোবাইল ফাইন্যান্স সার্ভিসের ক্যাশ আউটের সময় গ্রহীতার পরিচয় নিশ্চিত করা; দান করার আগে গ্রহীতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া।
কষ্টার্জিত অর্থ অপাত্রে বিনিয়োগ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে সংস্থাটি আরও বলেছে- এ ক্ষেত্রে অপরাধী ও সহায়তাকারী সকলেই সমান দায় বহন করবে। সুতরাং সকল সার্ভিস প্রোভাইডার, ডিস্ট্রিবিউটর, এসআর, রিটেইলার, এজেন্ট, গ্রাহককে সতর্ক থাকতে অনুরোধ করা হলো।