মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১৬ অপরাহ্ন
ক্রাইমসীন ডেস্ক: বরিশালে ৫ নভেম্বর শনিবার অনুষ্ঠিত বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল হয়েছে বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। রবিবার দুপুরে বরিশাল নগরের সদর রোডের একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও বরিশাল বিভাগীয় গণসমাবেশের প্রধান সমন্বয়ক প্রফেসর ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন। ডা. জাহিদ বলেন, গৌরনদী মডেল থানায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন এর গাড়ী বহরে হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা।
তারা ইশরাকের বহরে থাকা ৭টি গাড়ী ভাংচুর করে। এসময় বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। উল্টো ইশরাকসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করলো আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। এছাড়াও সমাবেশে আসার পথে গৌরনদী উপজেলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূইয়ার গাড়ী বহরে হামলা চালায়। এসময় আওয়ামী লীগের লোকজন তাদেও গাড়ী ভাংচুর করে। গমাবেশ শেষ করে ফেরার পথে বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক সহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীদের মারধরের অভিযোগ করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো উল্লেখ করেন, বরগুনার আমতলী উপজেলার বিএনপির জালাল ফকিরের নেতৃত্বে সমাবেশে আসার পথে গাড়ী বহরে বাঁধা প্রদান করা হয় গাড়ীর চাবি কেড়ে নিয়ে ফেরার পথে তাদেও ওপর বাকেরগঞ্জ যুবলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে বিএনপির ২৫ নেতাকর্মীকে আহত করে।
ভোলার চরফ্যাশনে যুবদলের এক কমীকে কুপিয়ে গুরুত্বর আহত করে। ভোলার দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন, লাল মোহান সদওে নেতাকমীদের বাঁধাপ্রদান করে। এছাড়া ভোলায় পুলিশের গুলিতে নিহত শহীদ আবদুর রহিমের পরিবার সমাবেশে আসার পথে তাদের বাঁধা প্রদান করে এবং যে অটোতে আসছিলো সেই অটো ভাংচুর করে। গণসমাবেশ শেষ করে ফেরার পথে ভোলা জেলায় রাত ১১টর দিকে লঞ্চঘাটে যুবলীগের সন্ত্রাসী বাহীনি বিএনপিকে লক্ষ করে গুলি ছোড়ে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এঠাড়াও পটুয়াখালীতে সমাবেশের দুই দিন আগে জেলা বিএনপির অফিস ও কলাপাড়ায় বিএনপির অফিস ভাংচুর করা হয়।
পটুয়াখালী সদরে প্রশাসন মাইকিং করে সকল নৌযান ও যানবাহন বরিশালে না যেতে হুমকী প্রদান করে। পটুয়াখালী ও দুমকীতে প্রশাসন ভাড়া করা ট্রলার আটকে দেয়। সমাবেশকে কেন্দ্র করে সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ শাহজাহান খান মটরসাইকেল বহর নিয়ে বরিশালে আসার পথে পটুয়াখালীতে হামলা করে তাকে আহত করে। তিনি এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানান তিনি।
সমাবেশে বিএনপির দুই কর্মীর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তিনি আরো বলেন, শত বাঁধা উপেক্ষা করে বরিশালের গণসমাবেশে সব শ্রেণি পেশার লাখো মানুষের সমাগম হয়েছে। গণসমাবেশ মহাসমাবেশে পরিণত হয়েছে দাবি করে এ জন্য তিনি বরিশালের আপামর জনসাধারণকে ধন্যবাদ জানান। গণসমাবশে আসার পথে বিভিন্ন স্থানে সরকারি দলের হামলায় বিএনপির ৫ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
উল্টো গৌরনদীতে ইশরাক হোসেনসহ বিএনপির ১৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এর নিন্দা জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী সোহেল, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান ও মাহবুবুল হক নান্নু, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মেজবাউদ্দিন ফরহাদ, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক, সদস্য সচিব মীর জাহিদুল কবির ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলী হায়দার বাবুল এবং উত্তর জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক দেওয়ান মো. শহীদুল্লাহ সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।