মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:৩৮ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেক্স:কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে প্রতিবছরের মতো এবারও দেশীয় পদ্ধতিতে সাভারে চলছে গরু মোটাতাজাকরণ। তবে করোনার প্রভাবে গো-খাদ্যসহ অন্য উপকরণের দাম বাড়ায় লোকসানের পাশাপাশি গরুর সঠিক দাম পাওয়া নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছে এসব গরুর মালিকরা।
সাভার ও আশুলিয়ায় বিভিন্ন এলাকায় প্রাকৃতিক উপায়ে খড়, ঘাসসহ ভিটামিন খাইয়ে ষাঁড় মোটাতাজা করছেন গরুর খামারিরা।
সাভার উপজেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের তথ্য মতে, এ বছর সাভার ও আশুলিয়ায় গরু মোটাতাজাকরণ খামার রয়েছে ৭৫৪টি। এর মধ্যে ২১৭২টি ষাঁড়, ৮টি বলদ ও ১২৭ টি গাভী পালন করছেন খামারিরা।
বৃহস্পতিবার (০৯ জুলাই) সকালে আশুলিয়ার বলিবদ্র এলাকার ইসমাইল ডেইরি ফ্রার্মে গেলে কথা হয় মালিক নরুল আমীনের সঙ্গে। তিনি জানান, এবার কোরবানির ঈদে ১৩টি ষাঁড় বিক্রির জন্য দীর্ঘদিন ধরে লালন-পালন করছেন। কিন্তু করোনার কারণে ভালো দাম পাওয়া নিয়ে হতাশায় ভুগছেন তিনি।
তিনি বলেন, গত বছরের তুলনায় আরও অনেক বেশি গরু খামারে তোলা হয়েছে কিন্তু সামনে কি হবে কে জানে। এই করোনা পরিস্থিতির মধ্যে নানা সমস্যার মধ্যে দিয়ে অনেক কষ্ট করে গরুগুলো পালতে হচ্ছে। গরুগুলো সঠিক দামে বিক্রি করতে না পারলে আমার অনেক লোকসান হয়ে যাবে।
সাভার পৌর এলাকার রাজাশন রোডের হাজী আব্দুল মান্নান ৫০টি ষাঁড় কোরবানি ঈদে বিক্রির জন্য মোটাতাজাকরণ করছেন। বর্তমান বাজারে গরুর দাম অনেক কম উল্লেখ করে তিনি বলেন, গুড়া, ভূষি, নালি, খৈল এসব পণ্যের দাম অনেক বেশি। কিন্তু গরুর দাম অনেক কম। সেক্ষেত্রে এবার গরু বিক্রি করে লাভ হবে না। আমাদের দাবি লোকসানের হাত থেতে বাঁচতে হলে সহজ শর্তে ঋণ প্রদান ও সরকারি সহয়তা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা গরু দেখাশোনা করি শুধু কোরবানির ঈদে বিক্রি করবো বলে। কিন্তু এবার করোনার কারণে গরুর দাম ঠিক মতো পাবো কি না সেটা নিয়ে সংশয়ে আছি। এ বছর যদি বর্ডার পার করে চোরাই পথে গরু না আসে তাহলে হয়তো বা সঠিক দামে গরু বিক্রি করতে পারবো।
সাভার উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী মণ্ডল বলেন, খামারিদের মাঠের কার্যক্রম ও প্রশিক্ষণ আমরা প্রায় শেষ করে ফেলেছি। আমরা আশা করছি সামনে ঈদুল আজহাতে আমাদের গরুগুলোর কোনো সমস্যা হবে না।