সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ০৯:১০ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
কুয়াকাটায় পর্যটক হেনেস্তাকারী যুবদল সভাপতি বহিষ্কার টুরিষ্ট ভিসায় জেল খেটে বিদেশ ফেরত মকছুদ।কলাপাড়ায় দুই  প্রতারকের বিরুদ্ধে মামলা কলাপাড়া বিএনপির সাবেক সভাপতি’র দলবদল কলাপাড়ায় খাল থেকে অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চরশিবা সাংগঠনিক ইউনিয়ন শাখার উদ্দ্যোগে  মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত স্প্রেইড হিউম্যানিটির উপদেষ্টা পরিষদ গঠন ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বাউফলে নিখোঁজের ৫দিন পর লাশ উদ্ধার শ্রমিকদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন রাষ্ট্র হচ্ছে দেবী দুর্গার দশ হাতের মতো-ব্যারিস্টার ফুয়াদ বরিশাল গোরস্থান রোডের রাস্তা ও ড্রেনের সংস্করণের দাবিতে মানববন্ধন বাউফলে ‘খেলাফত মজলিস’ উপজেলা শাখার কমিটি গঠন কলাপাড়ায় মাহেন্দ্র-মোটর সাইকেলে মুখোমুখি সংঘর্ষে শিক্ষকের মৃত্যু শেখ হাসিনার গুলিতে শুধু ছাত্র নয়, শুধু জনতা নয়, শ্রমিকদেরও রক্ত গেছে আল কারীম কওমী মাদরাসার নতুন ভবনের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন মেহেন্দিগঞ্জে মহান মে দিবস উপলক্ষে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উদ্যোগে শ্রমিক সমাবেশ ও বর্নাঢ্য র‌্যালি অনুষ্ঠিত
‘প্রতিটি মানুষের একটি রোবট থাকা দরকার’

‘প্রতিটি মানুষের একটি রোবট থাকা দরকার’

Sharing is caring!

ক্রাইমসিন২৪ ডেস্ক:

দৈনন্দিন জীবনে বেশকিছু কাজ মানুষকে বারংবার করতে হয়। অথচ বারংবার করা এই কাজগুলো (রিপিটেড টাস্ক) রোবটকে দিয়ে করানো হলে করা বাঁচানো যেতে পারে সময় ও মানুষের কায়িক শ্রম। এর জন্য প্রতিটি মানুষেরই একটি করে রোবট থাকা দরকার বলে মনে করেন কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) বিশেষজ্ঞ এবং কাজী আইটি সেন্টারের প্রধান কারিগরি কর্মকর্তা (সিটিও) ড. খান মোহাম্মদ আনোয়ারুস সালাম।

২০০৯ সালে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন তিনি। এরপর উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তি হন জাপানের টোকিও ইউনিভার্সিটি অব ইলেকট্রো কমিউনিকেশন বিভাগে। ‘বাংলা মেশিন ট্রান্সলেশন’বিষয়ে গবেষণা করে অর্জন করেন ডক্টরেট ডিগ্রী। তারপর থেকে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করেছেন গুগল এবং আইবিএম এর মতো প্রতিষ্ঠানে। সম্প্রতি বাংলাদেশের কাজী আইটি সেন্টারে যোগ দিয়েছেন এই তরুণ এআই ও রোবটিক্স প্রকৌশলী। বাংলাদেশের এআই কার্যক্রম এবং রোবোটিক্স খাতের বর্তমান অবস্থা ও সম্ভাবনা নিয়ে একান্ত আলাপচারিতায় অংশ নেন ড. সালাম খান।

ড. সালাম বলেন, আমার কথা শুনতে সায়েন্স ফিকশন এর মতো মনে হতে পারে। কিন্তু বাস্তবতা কিন্তু এটাই। কম্পিউটার মানুষের ভাষা বুঝতে শুরু করেছে। ভয়েস টু টেক্সট বা টেক্সট টু ভয়েস এধরনের বিষয় তো ছোট ছোট রোবটিক্সেরই কাজ। আমরা রোবট জগতের প্রাইমারি লেভেলে (প্রাথমিক পর্যায়) চলে এসেছি। আমাদের অনেক রিপিটেড কাজ করতে হয় যা রোবট ব্যবহার করে খুব সহজে কম সময়ে নির্ভুল ভাবে করা যায়।

তিনি আরও বলেন, আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স বা এআই হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তির সন্নিবেশ। প্রযুক্তি ও মেশিনের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তির সন্নিবেশ ঘটিয়ে আমরা প্রিটেন্ড (মনে করা) করাতে চাই যে, ঐ মেশিনটিতে হিউম্যান ইনটেলিজেন্স (মানবিক বুদ্ধিমত্তা) আছে।

বহিঃবিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে আমাদের এখনই এআই খাতে পড়াশুনা ও গবেষণার প্রতি গুরুত্বারোপ করা দরকার বলে মনে করেন ড. সালাম। তিনি বলেন, কর্পোরেট দুনিয়ায় বহিঃবিশ্বে এখন রোবোটিক প্রসেস অটোমেশন (আরপিএ) পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। এই পদ্ধতির ফলে বিভিন্ন যন্ত্র মানুষের রিপিটেড কাজগুলো শিখে সেগুলো নিজেরাই করে নিচ্ছে। বাংলাদেশে এখনও এর ব্যবহার নেই। যদি এই পদ্ধতি বাংলাদেশে ব্যবহার করা যেতো তাহলে বাংলাদেশের জনবলকে আরও স্কিলড (দক্ষ) করা যেতো। আর এই দক্ষতাকে বিশেষ বিশেষ কাজে ব্যবহারও করা যেতো। যেমন কাজী আইটি সেন্টারে আমরা এ নিয়ে কাজ করছি। আমাদের কর্মীদের দক্ষতাকে এসব রিপিটেড কাজে খরচ না করে মানবিক বুদ্ধিমত্তা প্রয়োজন এমন বিষয়ে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছি আমরা।

এআই নিয়ে বাংলাদেশে পড়াশুনার সুযোগ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, বাংলাদেশে এআই নিয়ে যতটুকু কাজ হয়েছে বা হচ্ছে তার বেশিরভাগই ব্যক্তি উদ্যোগে হয়েছে। স্নাতক পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অল্পকিছু পড়াশুনা এদেশে হয় কিন্তু এই বিষয়ে দরকার উচ্চ শিক্ষার ব্যবস্থা থাকা। কিন্তু বাংলাদেশে এখনও সেই পরিবেশ তৈরি হয়নি। ইনফরমেশন কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (তথ্য যোগাযোগ প্রকৌশল) বিষয়ে এখানে উচ্চ শিক্ষার পরিবেশ নেই বললেই চলে। তরুণদের তৈরি করার পাশাপাশি দরকার পড়াশুনার এই পরিবেশ তৈরি করা। আজ যদি আমরা এই খাতে গুরুত্ব না দেই তাহলে ভবিষ্যতে আমরা অন্যদের থেকে পিছিয়ে পরব। আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং এ আমাদের একটা অবস্থান আছে। কিন্তু শুধু সেটি নিয়ে থাকলে হবে না। বর্তমান ও ভবিষ্যতের সময়টা আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স এর।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD