বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:১৮ পূর্বাহ্ন
ক্রাইমসিন২৪ ডেস্ক:
২০০৯ সালে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন তিনি। এরপর উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তি হন জাপানের টোকিও ইউনিভার্সিটি অব ইলেকট্রো কমিউনিকেশন বিভাগে। ‘বাংলা মেশিন ট্রান্সলেশন’বিষয়ে গবেষণা করে অর্জন করেন ডক্টরেট ডিগ্রী। তারপর থেকে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করেছেন গুগল এবং আইবিএম এর মতো প্রতিষ্ঠানে। সম্প্রতি বাংলাদেশের কাজী আইটি সেন্টারে যোগ দিয়েছেন এই তরুণ এআই ও রোবটিক্স প্রকৌশলী। বাংলাদেশের এআই কার্যক্রম এবং রোবোটিক্স খাতের বর্তমান অবস্থা ও সম্ভাবনা নিয়ে একান্ত আলাপচারিতায় অংশ নেন ড. সালাম খান।
ড. সালাম বলেন, আমার কথা শুনতে সায়েন্স ফিকশন এর মতো মনে হতে পারে। কিন্তু বাস্তবতা কিন্তু এটাই। কম্পিউটার মানুষের ভাষা বুঝতে শুরু করেছে। ভয়েস টু টেক্সট বা টেক্সট টু ভয়েস এধরনের বিষয় তো ছোট ছোট রোবটিক্সেরই কাজ। আমরা রোবট জগতের প্রাইমারি লেভেলে (প্রাথমিক পর্যায়) চলে এসেছি। আমাদের অনেক রিপিটেড কাজ করতে হয় যা রোবট ব্যবহার করে খুব সহজে কম সময়ে নির্ভুল ভাবে করা যায়।
তিনি আরও বলেন, আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স বা এআই হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তির সন্নিবেশ। প্রযুক্তি ও মেশিনের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তির সন্নিবেশ ঘটিয়ে আমরা প্রিটেন্ড (মনে করা) করাতে চাই যে, ঐ মেশিনটিতে হিউম্যান ইনটেলিজেন্স (মানবিক বুদ্ধিমত্তা) আছে।
বহিঃবিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে আমাদের এখনই এআই খাতে পড়াশুনা ও গবেষণার প্রতি গুরুত্বারোপ করা দরকার বলে মনে করেন ড. সালাম। তিনি বলেন, কর্পোরেট দুনিয়ায় বহিঃবিশ্বে এখন রোবোটিক প্রসেস অটোমেশন (আরপিএ) পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। এই পদ্ধতির ফলে বিভিন্ন যন্ত্র মানুষের রিপিটেড কাজগুলো শিখে সেগুলো নিজেরাই করে নিচ্ছে। বাংলাদেশে এখনও এর ব্যবহার নেই। যদি এই পদ্ধতি বাংলাদেশে ব্যবহার করা যেতো তাহলে বাংলাদেশের জনবলকে আরও স্কিলড (দক্ষ) করা যেতো। আর এই দক্ষতাকে বিশেষ বিশেষ কাজে ব্যবহারও করা যেতো। যেমন কাজী আইটি সেন্টারে আমরা এ নিয়ে কাজ করছি। আমাদের কর্মীদের দক্ষতাকে এসব রিপিটেড কাজে খরচ না করে মানবিক বুদ্ধিমত্তা প্রয়োজন এমন বিষয়ে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছি আমরা।
এআই নিয়ে বাংলাদেশে পড়াশুনার সুযোগ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, বাংলাদেশে এআই নিয়ে যতটুকু কাজ হয়েছে বা হচ্ছে তার বেশিরভাগই ব্যক্তি উদ্যোগে হয়েছে। স্নাতক পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অল্পকিছু পড়াশুনা এদেশে হয় কিন্তু এই বিষয়ে দরকার উচ্চ শিক্ষার ব্যবস্থা থাকা। কিন্তু বাংলাদেশে এখনও সেই পরিবেশ তৈরি হয়নি। ইনফরমেশন কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (তথ্য যোগাযোগ প্রকৌশল) বিষয়ে এখানে উচ্চ শিক্ষার পরিবেশ নেই বললেই চলে। তরুণদের তৈরি করার পাশাপাশি দরকার পড়াশুনার এই পরিবেশ তৈরি করা। আজ যদি আমরা এই খাতে গুরুত্ব না দেই তাহলে ভবিষ্যতে আমরা অন্যদের থেকে পিছিয়ে পরব। আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং এ আমাদের একটা অবস্থান আছে। কিন্তু শুধু সেটি নিয়ে থাকলে হবে না। বর্তমান ও ভবিষ্যতের সময়টা আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স এর।