বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন
ক্রাইমসিন২৪ ডেস্ক:
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলার তদন্ত করবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পূর্ব বিভাগ। তার মৃত্যুর ঘটনায় কারও কোনো প্ররোচনা ছিল কি-না তা তদন্ত করবে ডিবি।
এদিকে মামলাটিতে আগামী বছরের ৯ জানুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার দুপুরে মামলাটি আনুষ্ঠানিকভাবে ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পূর্ব বিভাগের উপ-কমিশনার খোন্দকার নুরুননবী বলেন, ‘মামলার কাগজপত্র এখনও হাতে পাইনি। তবে দ্রুত পেয়ে যাব বলে আশাবাদী’।
এর আগে মামলার এজাহারটি পৌঁছালে ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরীর আদালত তা গ্রহণ করে আগামী বছরের ৯ জানুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন।
রাজধানীর পল্টন থানায় অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশ দ-বিধির ৩০৫ ধারায় মামলাটি করেন। ওই ধারায় সর্বোচ্চ মৃত্যুদ- পর্যন্ত শাস্তির বিধান রয়েছে।
তবে বুধবার সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
বাদী দিলীপ অধিকারীর অভিযোগ, তার মেয়ে অরিত্রী অধিকারী ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী। গত ২ ডিসেম্বর পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষক অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পান। মোবাইলে নকল করেছে, এমন অভিযোগে অরিত্রীকে পরদিন তার মা-বাবাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়। পরদিন ৩ ডিসেম্বর তিনি স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে স্কুলে গেলে ভাইস প্রিন্সিপাল তাদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের করে দিয়ে মেয়ের টিসি (স্কুল থেকে দেওয়া ছাড়পত্র) নিয়ে যেতে বলেন। পরে প্রিন্সিপালের কক্ষে গেলে তিনিও একই রকম আচরণ করেন। এ সময় অরিত্রী দ্রুত প্রিন্সিপালের কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। এরপর তারা শান্তিনগরের বাসা বাসায় গিয়ে দেখতে পান, অরিত্রী তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে। বাসা থেকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে গত ৩ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে চারটার দিকে চিকিৎসকেরা অরিত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন।