বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩১ পূর্বাহ্ন
ক্রাইমসিন২৪ ডেস্ক:
ঢাকা টেস্টে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশ যেভাবে জিতেছে তা নিঃসন্দেহে অবিস্মরণীয়। গেল ১৮ বছরের ইতিহাসে যা কেউ দেখেনি। প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকদের করা ৫০৮ রানের জবাবে খেলতে নামা ক্যারিবিয়ানরা সাকিব-মিরাজের স্পিন ঘূর্ণিতে প্রথম ইনিংসে ১১১ রানে পর্যদুস্ত। দেড় যুগের ক্রিকেটের খেরোখাতায় কোন দলকে প্রথমবারের মতো ফলোঅনে ফেললেন সাকিব আল হাসান শিবির।
এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামা দলটিকে এতটুকু স্বস্তি না দিয়ে তৃতীয় দিনের চা বিরতির আগেই ঘূর্ণি যাদু চালিয়ে ২১৩ রানেই থামিয়ে দেন সাকিব-তাইজুল-মিরাজ-নাইমরা। ফলাফল হিসেবে যা এল সেটিও চোখ বড় হয়ে যাওয়ার মতোই। এক ইনিংস ও ১৮৪ রানের বিশাল জয়।
জয়টি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের চোখেও অবিস্মরণীয় হয়েই ধরা দিল। ম্যাচ শেষে বলেন, ‘আসলে আপনারা যদি বিশ্ব ক্রিকেট দেখেন, দেখবেন বিদেশে খেলতে গিয়ে সবারই সমস্যা হচ্ছে। আমাদেরও হয়েছিল। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো, ওয়েস্ট ইন্ডিজ শক্তিশালী দল। তারা আমাদের এখানে আসার আগে ভারতে খেলে এসেছে। ভালো ভালো স্পিনারদের খেলে তাদের একটা অভিজ্ঞতা হয়েছে। সে দিক থেকে বলব যে, এই টেস্টটা বাংলাদেশ যেভাবে জিতেছে, তা মনে রাখার মতো।’
‘এতো সহজে জয় আসবে তা আমরা ভাবিনি। আমাদের ব্যাটসম্যানদের দেখেন, এখানে সকলেই রান করেছে, ডাবল ফিগারে এসেছে। এতো বছর খেলার পর এই প্রথম আমরা কোনো দলকে ইনিংস ব্যবধানে হারালাম, সত্যিই এটা মনে রাখার মতো।’
রোববার (২ ডিসেম্বর)ঢাকা টেস্ট শেষে পুরষ্কার বিতরণ করতে এসে নাজমুল হাসান এসব কথা বলেন।
টেস্টে এমন দাপুটে জয়ের পর ৯ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া ওয়ানডে সিরিজেও এমন জয়ই প্রত্যাশিত। একদিকে টাইগারদের প্রিয় ফরম্যাট তার ওপর ঘরের মাঠ। রঙিন পোশাকের ক্রিকেটে তাই ব্যতিক্রমী ভাবনায় যেতে নারাজ বিসিবি বসও।
বলেন, ‘ওয়ানডেতেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ বেশি শক্তিশালী। সব ফরম্যাটেই ওরা আমাদের চেয়ে শক্তিশালী দল। তবে ওয়ানডের রেকর্ডটা আমাদের পক্ষে আছে। সে দিক দিয়ে চিন্তা করলে, যেভাবে দল খেলছে, তাতে আশা করা যায় যে, ওয়ানডেতেও ভালো করব।’
‘ওয়ানডেতে সব কিছু একপেশে হবে কি না তা বলা কঠিন। কারণ তখন উইকেট অন্য রকম হবে। আরো স্পোর্টিং হবে। আমার মনে হয় দলের ফর্ম যেমন তাতে আমাদের হারার কোনো কারণ দেখি না। কিন্তু ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজেরও ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষমতা আছে।’
৯ ডিসেম্বর শের ই বাংলায় প্রথম ওয়ানডেতে মাশরাফিদের মোকাবেলা জ্যাসন মোহামেদ ও তার দল। একই ভেন্যুতে ১১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে। ১২ ডিসেম্বর দুই দলই চলে যাবে সিলেট। ১৪ ডিসেম্বর তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। প্রতিটি ওয়ানডে ম্যাচই হবে দিবা-রাত্রি।