বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০৩ অপরাহ্ন
ডিজিটাল প্রযুক্তি ও জীবনধারাভিত্তিক প্রদর্শনী ‘ডিজিটাল ডিভাইস এন্ড ইনোভেশন এক্সপো বরিশাল ২০১৯’ মেলার উদ্বোধন হচ্ছে বুধবার। বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির বরিশাল শাখা এর আয়োজনে নগরীর এ.কে. স্কুলে ৫দিন ব্যাপী এ মেলার উদ্বোধন করবেন বিসিসি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ।
মেলা উপলক্ষে মঙ্গলবার এ.কে. স্কুলে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির কোষাধ্যক্ষ মো. জাবেদুর রহমান শাহীন বলেন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি নানা কর্মকা-ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিকাশে পথিকৃতের ভূমিকা পালন করে আসছে। বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি নিয়মিত বিভিন্ন প্রদর্শনী, মেলা, সভা-সেমিনার, কর্মশালা ইত্যাদি আয়োজন করে থাকে। ঢাকায় নিয়মিত এসব আয়োজন সম্পন্ন করার পাশাপাশি ঢাকার বাইরেও নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে বিসিএস। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে কম্পিউটারকে সাধারণ মানুষের নিকট সহজলভ্য করা, স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে কম্পিউটার শিক্ষার সম্প্রসারণের জন্য কাজ করছে এ সংগঠনটি। ‘তারুণ্য আর প্রযুক্তি, ডিজিটাল বরিশালের শক্তি’ শ্লোগানে বরিশালের এ.কে স্কুল প্রাঙ্গনে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। তিনি জানান, বুধবার দুপুর ১২টায় মেলার উদ্বোধন করবেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহবুদ্দিন খান-বিপিএম (বার), জেলা প্রশাসক এস, এম, অজিয়র রহমান, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির মহাসচিব মোশারফ হোসেন সুমন, এ.কে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সৈয়দ গোলাম মাসউদ বাবলু। আজ প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর বেলা ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত প্রদর্শনীটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। পর দিন থেকে তা চলবে সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। ৫ জানুয়ারি রাত ৯টায় প্রদর্শনীর সমাপ্তি ঘটবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় তথ্যপ্রযুক্তির দেশী-বিদেশী জনপ্রিয় ও সুপরিচিত ব্র্যান্ড, আমদানিকারক, প্রস্তুতকারক ও সরবরাহকারী এবং স্থানীয় ৫৬টি প্রতিষ্ঠান এ প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করছে। এতে তারা মূলত কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ও সফ্টওয়্যার পণ্যসামগ্রী, নেটওয়ার্ক ও ড্যাটা কমিউনিকেশন, টেলিকম সেবা ও পণ্যসামগ্রী, মাল্টিমিডিয়া, আইসিটি শিক্ষা উপকরণ, ল্যাপটপ, ডিজিটাল জীবনধারাভিত্তিক প্রযুক্তি ও পণ্য ইত্যাদির উন্নত ও হালনাগাদ সংস্করণ প্রদর্শন করবে। প্রায় ৩০,০০০ বর্গফুট স্থান জুড়ে ৬০টি স্টল এবং ৭টি প্যাভেলিয়নে এসব প্রযুক্তি সামগ্রী প্রদর্শিত হবে। প্রদর্শনীতে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির হালনাগাদ সংস্করণের প্রযুক্তিপণ্য এবং ডিজিটাল জীবনধারাভিত্তিক পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করা হবে। তথ্যপ্রযুক্তিবিশ্বের নতুন সব আবিষ্কারের খোঁজ মিলবে এখানে। প্রদর্শনীতে অংশ নেয়া তথ্যপ্রযুক্তির দেশী-বিদেশী জনপ্রিয় ও বিখ্যাত ব্র্যান্ড, প্রস্তুতকারক, আমদানিকারক ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সেসব উপস্থাপন করবে।
এদিকে দুটি স্কুলের পাশে মেলার আয়োজন সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে আয়োজকরা প্রথমে কোনো সদুত্তর দিতে না পারলেও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত একে স্কুলের প্রধান শিক্ষক জসীম উদ্দিন জানান, মেলার জন্য স্কুলের সময় সীমা পরিবর্তন করা হয়েছে। মর্নিং শিফটে স্কুল চলবে। তবে পাশে থাকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিষয়টি আমার জানা নেই। কিন্তু এই প্রশ্নের জবাবে আয়োজকরা প্রথমে জানান, প্রাথমিক স্কুলটি ৫দিন বন্ধ থাকবে। তবে পরে বলেন তাদের সাথে কথা হয়েছে তারা দুই শিফটের ক্লাস এক শিফটে করাবেন। কিন্তু জানা গেছে, গত বছর এই মেলার আয়োজন নিয়ে বিস্তর অভিযোগ করেছিলেন প্রাথমিক বিদ্যালয়টির শিক্ষকরা।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির কেন্দ্রীয় সদস্য মোশাররফ হোসেন, বরিশাল সভাপতি শাহ বোরহান আদনান, সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, স্পিড সলিউশনের স্বত্ত্বাধিকারীর মাসুক কামাল।