বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:২৯ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
বরিশাল মহানগর যুবদলের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত কলাপাড়ায় সরকারি এম বি কলেজ মাঠ উন্মুক্ত করার দাবীতে মানববন্ধন কুয়াকাটায় বেড়িবাঁধ নির্মাণে সংরক্ষিত বনের বালু উত্তোলন, হুমকিতে সবুজ বেষ্টনী বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, উপকূলে গুমট পরিবেশ চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের রাস্তা সহ বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন এলজিইডির টিম বাউফল নারীর বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাউফলে ৮দিনের অভিযানে ১৯ জেলে আটক, প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ মিটার জাল জব্দ বাংলাদেশ মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষক পরিষদ বরিশাল মহানগরীর প্রতিনিধি সমাবেশ কলাপাড়ায় নদী থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটায় এক লাখ টাকা জরিমানা কুয়াকাটা পৌর বিএনপির অফিস ভাংচুর মামালায়, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি সহ ৪ জন জেল হাজতে ডাকাত বাহিনীর প্রধান ২০মামলার আসামী জুয়েল মৃধা গ্রেপ্তার  কলাপাড়ায় এইচএসসিতে মহিপুর  মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজ এগিয়ে ৫ দিন পাঞ্জা লড়ে মৃ-ত্যুর কাছে হার মানলেন সাবেক ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম উপকূলের শিশুদের সাঁতার প্রশিক্ষণ শেষে প্রতিযোগিতা মহিপুরে অর্থের অভাবে অন্ধ হতে বসেছে শিশু তাওহিদ, সাহায্যের আবেদন
২২ দিনে বরিশাল বিভাগে ১৪ শত মৎসশিকারীর কারাদণ্ড

২২ দিনে বরিশাল বিভাগে ১৪ শত মৎসশিকারীর কারাদণ্ড

Sharing is caring!

ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে প্রজনন মৌসুমের সঙ্গে সমন্বয় করে এবার ৯ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ ধরা, বেচাকেনা, পরিবহন, বিপণন ও বাজারজাতকরণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মৎস্য বিভাগ। সে হিসেবে বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাত ১২ টায় উঠে গেছে ইলিশের প্রজনন মৌসুমের এ নিষেধাজ্ঞা।

এদিকে নিষেধাজ্ঞা শুরুর সময় গত ৯ অক্টোবর থেকে বরিশাল বিভাগের সর্বোত্র চলছে মৎস বিভাগের নেতৃত্বে অভিযান। যে অভিযানে জেলা-উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, র‌্যাব, কোষ্টগার্ড, নৌ-বাহিনীসহ বিভিন্ন বাহিনী সহায়তা করেছে।

মৎস অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানাগেছে, গত ৯ তারিখ থেকে বুধবার (৩০ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১২ টা পর্যন্ত বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় মোট ধারাবাহিকভাবে ২ হাজার ৫৩৮ টি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। পাশাপাশি ১ হাজার ৭১ টি মোবাইল কোর্ট বা ভ্রাম্যমান আদালতের কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে এবং মোট অভিযানের অনুকুলে ১ হাজার ৭৫১ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এছাড়া অভিযানে আটককৃতদের কাছ থেকে এ পর্যন্ত ৪৪ লাখ ৫৬ হাজার ৭ শত টাকা জরিমানা এবং ১ হাজার ৪৪৭ জনকে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে ৮৯ লাখ ৬৯ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল ও ১৯ মেট্রিকটন ইলিশ উদ্ধার করা হয়েছে।

পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৭ সালে বরিশাল বিভাগে মোট দন্ডপ্রাপ্ত জেলের সংখ্যা ছিলো ৫৩৩ জন, যা ২০১৮ সালে বেড়ে দাড়ায় ৯৬১ জনে। আর এ বছর জেলের কারাদণ্ডের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ৪৪৭ জনে দাড়িয়েছে ।

পাশাপাশি ২০১৭ সালের থেকে ২০১৮ সালে ৩ লাখ ৮১ হাজার টাকা বেশি জরিমানা আদায় করা হয়।

যদিও এ বছর ২০১৮ সালের থেকে দ্বিগুন জরিমানা আদায় করা হয়েছে। গতবছর যেখানে ২০ লাখ ৯ শত টাকা জরিমানা আদায় করা হয় সেখানে এ বছর ৪৪ লাখ ৫৬ হাজার ৭ শত টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

অপরদিকে জব্দের তালিকায় ২০১৭ সালের থেকে ২০১৮ সালে ২ মেট্রিকটন ইলিশ কম থাকলেও, এবছর ২০১৮ সাল অর্থাৎ গত বছরের থেকে এবছর তা বেড়ে দ্বিগুনের বেশি হয়েছে। গতবছর প্রায় ৮ মেট্রিক টন ইলিশ জব্দ করা হয় এবং এ বছর ১৯ মেট্রিক টন ইলিশ জব্দ করা হয়।

পাশাপাশি ২২ দিনের এ অভিযানে ২০১৭ সালের থেকে ২০১৮ সালে ১০ দশমিক ৬১ লাখ মিটার কম অবৈধ জাল জব্দ করা হয়। তবে এবছর গতবছর (২০১৮) এর থেকে তিনগুন বেশি জাল জব্দ করা হয়েছে। এ বছর জব্দকৃত অবৈধ জালের পরিমান ছিলো ৮৯ দশমিক ৬৯ লাখ মিটার যার পরিমান গত বছর ছিলো ২৯ দশমিক ৭০ লাখ মিটার।

২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে ১৯২ টি অভিযান কম হলেও ১৮ টি মোবাইল কোর্ট ও ২৩০ টি মামলা বেশি দায়ের করা হয়েছিলো। তবে এবছর অভিযান, মোবাইল কোর্ট ও মামলা সবকিছুই বিগত বছরগুলোর থেকে বেশি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ৎস্য অধিদপ্তর বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আজিজুল হক।

তিনি বলেন, সকলের সমন্বিত চেষ্টায় এবারে অভিযান সার্বিকভাবে বিগত বছরগুলোর থেকে ভালো হয়েছে। সমন্বিত চেষ্টা থাকলে যে ভালো কিছু সম্ভব তা প্রমানিত হয়েছে। ২২ দিনের অভিযানের ফলাফলে যে টুকু বোঝা যাচ্ছে, তাতে বিগত সময়ের থেকে নদী ও সাগর নিষেধাজ্ঞার সময় প্রশাসনের সর্বোস্তরেরর নজরদারী বেড়েছে। যারকারণ বিগত সময়ের থেকে অভিযান, মৎস শিকারীদের আটক, জাল উদ্ধারের পরিমান বেড়েছে।

তিনি বলেন, অভিযানকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে যেটুকু বোঝা গেছে, তাতে নদীতে ইলিশের আধিক্য রয়েছে। আর সকালে বাজারে গিয়ে তার প্রমান পাওয়া গেছে। বাজারে প্রচুর ইলিশ দেখা গেছে, পাশাপাশি এর আকারটাও বিগত বছরগুলোর থেকে ভালো ছিলো। তবে প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ শিকার বন্ধের পাশাপাশি জাটকা নিধন বন্ধ না করা গেলে ইলিশের পরিমাণ বাড়বে না। তাই ইলিশের পরিমান বাড়াতে হলে জাটকা নিধন বন্ধ করতেই হবে।

তবে বাজারে ডিমওয়ালা ইলিশ পাওয়া গেলেও শঙ্কার কোন কারণ নেই বলে জানিয়েছেন মৎস কর্মকর্তারা। কারন এই ২২ দিনে যে পরিমান ইলিশ ডিম ছেড়েছে তারপরে জাটকা সংরক্ষন সঠিকভাবে করা গেলে দেশে ইলিশের ঘাটতি থাকবে না বলে দাবী তাদের।

উল্লেখ্য বরিশাল জেলায় ৪৩ হাজার ৬৪৪ জন জেলেকে এবং বিভাগে ২ লাখ ২৭ হাজার ৯৪৩ জন জেলেকে নিষেধাজ্ঞার এ সময়ে ২০ কেজি করে চাল সহায়তা পেয়েছেন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD