শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০৫ পূর্বাহ্ন
কলাপাড়া (পটুয়াখালী)প্রতিনিধিঃ
নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, বিশ্বের কোন বন্দর রাতারাতি প্রতিষ্ঠা হয়নি সেজন্য সময় দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, দেশের অর্থনীতির জন্য পায়রা একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর। এর কাজ যেন আরো ত্বরান্বিত হয় এবং প্রকল্পে বরাদ্দের টাকা যেনো শতভাগ সদ্ব্যবহার করা হয় তা নিশ্চিত করা হবে ইতিমধ্যে বন্দরের ক্যাপিটাল ড্রেজিং শেষ হয়েছে ম্যান্টেইনেন্সের মাধ্যমে চ্যানেলের নাব্যতা বজায় রেখে বন্দর সচল রাখা হবে।
সোমবার দুপুরে পায়রা সমুদ্র বন্দরের উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় কালে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, বন্দরটিকে লাভজনক করতে হলে এর কানেক্টিভিটি উন্নয়ন করতে চারলেন রাস্তা ও রেল লাইনের কাজ দ্রুত শুরু করতে হবে। এছাড়া দেশের আমদানি পন্যের কিছু অংশ এই বন্দরে পন্য খালাশ করে আয় বাড়ানোর ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে এতে অন্য বন্দরগুলোর উপরেও চাপ কমবে
সাখাওয়াত হোসনে আরো বলেন, নৌ মন্ত্রণালয়ের কোন কাজ বন্ধ হয়নি। ভবিষ্যতে যাতে কোন ধরনের যাচাই বাছাই ছাড়া করা হবে না। বিআইডব্লিউটিসি অনেক জাহাজ ক্রয় করেছে। যা এখন চালাতে পারছে না। এখন চিন্তা করা হচ্ছে অপারেটরদের দেওয়ার জন্য। দেশে ফরমায়েসী কাজ বেশি হয়।
এক দেশে এক নদীর উপর ৫ টি ব্রিজ। যেই নদীতে ব্রিজের প্রয়োজন সেখানে তদবির করার মতো কেউ নেই তাই ব্রিজ হচ্ছে না। এগুলো যে এক মাস, বছরে শেষ হয়ে যাবে তা নয়।
এসময় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব (ভারপ্রাপ্ত) সঞ্জয় কুমার বণিক, চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী,সদস্য পরিমল চন্দ্র বসু (যুগ্মসচিব),সদস্য ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন (ট্যাগ), ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ জাহিদ, ক্যাপ্টেন এস এম শরিফুর রহমান (প্রকল্প পরিচালক, পাবক)সহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে রবিবার বিকেলে, পায়রা বন্দরের চলমান প্রকল্প বাস্তবায়নের অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে মতবিনিময় করেন তিনি।
সংশ্লিষ্টদের ভাষ্যমতে, প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত পায়রা বন্দরে ২৮০২ টি দেশি বিদেশি জাহাজ ভিড়েছে। মোট আয় হয়েছে ১৫ শত ৩ কোটি ৬৫ লক্ষ ৮২ হাজার ৩ শত ১৮ টাকা।
মোয়াজ্জেম হোসেন
কলাপাড়া
তারিখ:২৩.০৯.২০২৪