মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১৫ অপরাহ্ন
পারভেজ,বরিশাল প্রতিনিধি: ‘মাছে ভাতে বাঙালি’ কথাটি বর্তমান পরিস্থিতিতে শুধু বইপুস্তকেই সীমাবদ্ধ। দিন যত যাচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মাছের দামও। প্রতি সপ্তাহেই মাছের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে কেজিতে ২০ টাকা থেকে ৫০ টাকা।
গরীবের মাছের চাহিদা পূরণ করার মাছগুলোর মধ্যে অন্যতম পাঙাশ ও তেলাপিয়া মাছের দামও এখন প্রায় ২০০ টাকা ছুঁইছুঁই। ক্রেতারা বলছেন, বর্তমান বাজারে ১৬০-১৭০ টাকার নিচে কোন মাছই নেই বাজারে। যে মাছ আগে ৮০-১০০ টাকা হলেই কেনা যেত, এখন তা লাগে ২০০ টাকা।
২৩ আগস্ট মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বরিশাল নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে মাছের দাম এত বেশি যে, নিম্ন আয়ের মানুষ বাজারে ঘুরাঘুরি করেও মাছের দামের সাথে পাল্লা দিতে না পেরে মাছ না কিনেই খালি হাতে বাজার ছাড়ছেন। অনেকে আবার বিরক্তি প্রকাশ করছেন। এদিকে মাছ ব্যবসায়ীরা বলেন, হাওড়, বিল, নদী-নালায় বর্ষার পানি না থাকায় মাছ কম পাওয়া যাচ্ছে।
পুকুরের চাষ করা কমদামি মাছগুলোর মধ্যে অন্যতম পাঙ্গাশ ও তেলাপিয়া মাছের দামও প্রায় ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজার ঘুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, পাঙ্গাস মাছ ১৮০-২২০ টাকা; তেলাপিয়া ২২০-২৬০ টাকা, কাতল মাছ ৩০০-৩৫০ টাকা, রুই ৩৫০-৪০০ টাকা, গ্রাস কার্প মাছ ৩০০-৩৫০ টাকা, ট্যাংরা ৫০০-৬০০ টাকা, কই ২০০ টাকা, বোয়াল ৬০০ টাকা, অন্যান্য ছোট মাছ ২৫০-৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। নথুল্লাবাদ বাজারের রাজু এবং চৌমাথা বাজারের মাছ ব্যবসায়ী মামুন বলেন, গত সপ্তাহের চেয়ে এ সপ্তাহে মাছের বাজার কিছুটা চড়া। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির জন্য পরিবহন খরচও বেড়েছে তাই মাছের দাম একটু বেশি। এখন প্রতি সপ্তাহেই দাম ১০-২০ টাকা বাড়ছে, আবার কোনো সপ্তাহে কমেও।
তবে দাম বাড়ার পরিমাণই বেশি। তিনি আরও বলেন, আড়তদাররা প্রতি সপ্তাহেই বিভিন্ন অজুহাতে মাছের দাম বাড়ায়। বাধ্য হয়ে বেশি দাম দিয়ে কিনে ক্রেতাদের কাছে চড়া দামে বিক্রি করতে হয়। চৌমাথা বাজারে মাছ কিনতে আসা ক্রেতা গোলাম মোস্তফা বলেন, বর্তমানে শুধু মাছের বাজার না। নিত্যপ্রয়োজনীয় সবকিছুর দামই লাগামহীনভাবে বাড়ছে। কিছুদিন আগেই বাজারে এলে ১০০-১৫০ টাকা হলেই এক দিনের মাছ কেনা যেত, বর্তমানে ২০০-২৫০ টাকার নিচে কোন মাছই কেনা সম্ভব না। এরকম চলতে থাকলে মাছের স্বাদ আমাদের মত বাঙালিরা ভুলেই যাবো।