শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ১২:৪৩ পূর্বাহ্ন
সহকারী প্রোগ্রামারকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে যশোরের অভয়নগর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) শরিফ মোহাম্মদ রুবেলকে ক্লোজড করা হয়েছে।
রবিবার ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে তাকে ক্লোজ করা হয়। একই অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হুসেইন খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত করছে জেলা প্রশাসন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শাম্মী ইসলামকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
গত ২২ ডিসেম্বর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদফতরের মহাপরিচালক বরাবর কর্মক্ষেত্রে যৌনরনিপীড়ন এবং প্রাণনাশের হুমকির বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেন অভয়নগরের সহকারী প্রোগ্রামার উত্তরা শতদ্রু প্রাচী। অভিযোগের একদিন পর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদফতর প্রথম শ্রেণির ওই নারী কর্মকর্তাকে মানিকগঞ্জ শিবালয় উপজেলায় বদলি করে।
অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হুসেইন খান জানান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শরিফ মোহাম্মদ রুবেলকে ক্লোজ করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর। তাকে আজ রিলিজও দেয়া হয়েছে। তাকে পদায়ন না করে হেড অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, অভিযোগে বিষয়ে আমার বিরুদ্ধেও তদন্ত হচ্ছে। তবে আমি নির্দোষ। আমি কখনোই ওই নারী কর্মকর্তার সাথে কোনো অসদাচরণ করিনি।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শাম্মী ইসলামকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ওই নারী কর্মকর্তার অভিযোগ, গত ৪ মার্চ তিনি অভয়নগর উপজলায় সহকারী প্রোগ্রামার হিসেবে যোগদান করেন। শুরু থেকেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হুসেইন খান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করেন। তাকেসহ অন্য সহকর্মীদের গালাগাল করতেন অকথ্য ভাষায়।
এছাড়া অফিসের নির্ধারিত সময়ের পর গভীররাত পর্যন্ত তাকে অফিসে থাকতে বাধ্য করান। একপর্যায়ে তিনি প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শরিফ মোহাম্মদ রুবেলের মাধ্যমে তাকে কুপ্রস্তাব দেন। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সর্বশেষ প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে দিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেন। যে কারণে তিনি সম্মান ও আত্মমর্যাদা নিয়ে চাকরি করতে মহাপরিচালকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
অভিযোগপত্রের দ্বিতীয় ক্রমিকে ওই নারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, বর্তমান পিআইওর (শরিফ মোহাম্মদ রুবেল) মাধ্যমে ইউএনও বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দেয়াতেন (তার হতাশা দূর করা এপি হিসেবে আমার দায়িত্ব, এই হতাশা স্ত্রী না অন্য কোনো নারী কাটাতে পারে, আমি যেন এই হতাশা কাটাই; স্যারকে যেন সঙ্গ দিই)। সর্বশেষ ২২ ডিসেম্বর বেলা ৫টা ১১ মিনিটে পিআইওকে দিয়ে তাকে ফোন করে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করা হয়।