রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫৯ পূর্বাহ্ন
সকালে হাসপাতালে গিয়ে কোন ইন্টার্ন চিকিৎসককে কাজে দেখা যায় নি। তবে রোগী ও রোগীর স্বজনরা গতকাল পর থেকে কোন ডাক্তারই তাদের খোঁজ ঝবর নেয় নি। এমনকি কোন চিকিৎসকরে দেখাও তারা পাননি। এ অবস্থায় দুর্ভোগে পড়েছেন তারা। একজন বয়স্ক মহিলা (শারমিন বেগম ) বয়স ৪০. স্বামী সেকান্দার হাওলাদার পরিবারের দাবি চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি।
বিশেষ করে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা সাধারনত ২৪ ঘন্টাই রোগীর পাশে থাকতো। কিন্তু ধর্মঘটের কারনে এখন আর তারা কেই সেখানে নেই। দাবিগুলো হলো, ডাঃ মাসুদ খান কর্তৃক দায়েরকৃত মামলা ও বিভিন্ন মাধ্যম কর্তৃক হয়রানি অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করা, ডাঃ মাসুদ খান এর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ এর সুষ্ঠু বিচার করা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে প্রচারকৃত অসত্যের জন্য মানহানির বিচার করা। এরআগে গত ২১ অক্টোবর শেবাচিম হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিট-৪ এর সহকারি রেজিষ্ট্রার মোঃ মাসুদ খান শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের সভাপতি সজল পান্ডে এবং সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলামের নাম উল্লেখ করে আরো ৮/১০ জনের বিরুদ্ধে তার ওপর হামলা ও মারধরের অভিযোগ এনে পরিচালক বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর দিন ২২ অক্টোবর ইন্টার্ন চিকিৎসকরা মেডিকেলের সামনে ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে কমিশন নেয়ার অভিযোগে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেন ডাঃ মাসুদ খানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় হাসপাতালের পরিচালক একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। সবশেষ ৩০ অক্টোবর ডাঃ মাসুদ খান কোতোয়ালি থানায় ওই ইন্টার্ন চিকিৎসকদের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলার খবর পেয়ে ২৯ অক্টোবর দিবাগত রাত ১২ টা ১ মিনিটে কোন রকম ঘোষনা ছাড়াই ইন্টার্ন চিকিৎসকরা হাসপাতালের জরুরী বিভাগে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করলেও কর্তৃপক্ষের সমঝোতার আশ্বাসে ওই সময় ধর্মঘট স্থগিত করা হয়। কিন্তু কোন সমঝোতা না হওয়ায় গতকাল ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ঘোষনা দিয়ে কর্মবিরতি শুরু করে।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ বাকির হোসেন জানান, দুই পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসা হয়েছিলো। কিন্তু কোন পক্ষ নিজ নিজ অবস্থান থেকে ছাড় দিতে রাজি না হওয়ায় সমঝোতা হয়নি। সমস্যা সমাধানে চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানান পরিচালক।