রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৪৫ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
বিপ্লব ও সংহতি দিবসে মহসিন সিকদারের নেতৃত্বে র‍্যালী সাবেক এমপি মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদের বক্তব্যে বরগুনায় আইনজীবীদের প্রতিবাদ সাংবাদিক পেশার নাম ব্যবহার করে বরিশালে ভয়ংকর অপরাধ করে যাচ্ছে আরিফ বাউফলে উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে ঐতিহাসিক ৭নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত নারীকে কু/পি/য়ে জখম, শ্লীলতাহানির অভিযোগ গর্ভবতী গরু জবাই ও মাংস বিক্রির দায়ে কসাইকে অর্থদণ্ড ও কারাদন্ড কলাপাড়া জাটকায় সয়লাব।। অভিযান শুধু সড়কে সংখা দিয়ে নয়, মানসম্মত শিক্ষাই প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত ….এবিএম মোশাররফ হোসেন ভোট যেন না হয় সে ষড়যন্ত্র চলছে : সরোয়ার বরিশালের ১৬টি আসনে বিএনপির প্রার্থী যারা বরিশালের পাঁচটি আসনে বিএনপির প্রার্থী হলেন যারা জরাজীর্ণ ভবনে প্রাণভয়ে ক্লাস করছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা পূন্যস্নানের মধ্য দিয়ে শেষ হলো রাসপূজা, মেলা চলবে ৫ দিন বরিশালে ভোক্তা অধিকার বিষয়ে সামাজিক সংগঠনদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বাউফলের এস. এম. জালাল সুপ্রিম কোর্টের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত
তরুণদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা

তরুণদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা

Sharing is caring!

ক্রাইমসিন২৪ ডেস্ক:   ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়ার হিসেব না করে দেশ ও দেশের মানুষকে ভালোবেসে, দেশের জন্য কাজ করতে তরুণদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

‘লেট’স টক উইথ শেখ হাসিনা’ অনুষ্ঠানে তরুণ সমাজের প্রতি এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশকে ভালোবাসতে হবে, মানুষকে ভালোবাসতে হবে। ব্যক্তিগতভাবে কী পেলাম না পেলাম… দেশের জন্য কতটুকু দিতে পারলাম, মানুষের জন্য কতটা দিতে পারলাম তা ভাবতে হবে।”

তিনি বলেন, ‘পরশ্রীকাতরতা থেকে বের হয়ে এসে নিজেকে বলতে হবে, আমি পারি। আমি আমার মতো করেই ভালো করবো। কেউ দ্রুত উপরে উঠে গেলো দেখে আমাকে একটা অশুভ প্রতিযোগিতা করতে হবে, সেটা ঠিক নয়।”

“সেই সাথে দেশপ্রেম এবং মানুষের প্রতি ভালোবাসা থাকতে হবে। আমরা যদি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী হই তাহলে একটি মানুষও অবহেলিত থাকবে না।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সরকার হিসেবে আমাদের দায়িত্ব সেই সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া। আর তোমাদের দায়িত্ব নিজের মাঝে সেই ব্যক্তিত্ব সৃষ্টি করে দেশের প্রতি দায়িত্ব, নাগরিক হিসেবে দায়িত্ব এবং প্রতিবেশী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা।”

“আর সবসময় একটা আত্মবিশ্বাস নিয়ে চললে দেশকে কিছু দিতে পারবে, নিজেও জীবনে কিছু করতে পারবে। হতাশ হওয়ার সুযোগ নেই। জীবনে অনেক ঝড়ঝাপ্টা আসবে। কিন্তু ইচ্ছাশক্তি প্রবল থাকলে যেকোনো বাধা অতিক্রম করা যায়।”

শেখ হাসিনা বলেন, “একটা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে যদি কেউ এগিয়ে যায়। তাহলে কোনো বাধাই বাধা বলে মনে হবে না। দেশকে এতদূর নিয়ে আসতে পেরেছি, তার প্রধান কারণ এই ইচ্ছাশক্তি। জাতির জনক বলে গেছেন, মহৎ অর্জনের জন্য মহান ত্যাগের প্রয়োজন। ত্যাগের মধ্যে দিয়েই অর্জন করা যায়। আর সৎ থাকতে হবে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যদি সৎ না থাকতাম, তাহলে ওয়ার্ল্ড ব্যাংককে চ্যালেঞ্জ করতে পারতাম না। পদ্মাসেতুর কাজও শুরু করতে পারতাম না। আমার এই একটি সিদ্ধান্ত বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের আত্মমর্যাদাকে অন্য এক পর্যায়ে নিয়ে গেছে।”

শেখ হাসিনা বলেন, “আর আমি মনে করি বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে আমাদের তরুণ প্রজন্মই পারবে। আজকে যারা তরুণ শুধু তারা নয়, বরং ভবিষ্যতেও, যেমন আজকেও যে শিশুটি জন্মাবে সেও তো বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলবে। তবে তাদের জন্য একটি সুন্দর সমাজ গড়ে রেখে যেতে চাই।”

কবে দুর্নীতি মুক্ত হবে বাংলাদেশ? তরুণদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “এটা আমার লক্ষ্য আছে। আমি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আভিযান চালিয়েছি। মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। এরপর দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা করা হবে।”

তিনি বলেন, “আমরা সরকারি কর্মকর্তাদের আয় উপার্জনের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। সেখানে দুর্নীতি করার দরকার কী? অসুস্থ প্রতিযোগিতা থেকে সরে আসতে পারলে দুর্নীতি বন্ধ করা সম্ভব।”

জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আপনি কাজ করে গেছেন। এটি নিয়ে আপনার মধ্যে কোন শঙ্কা কাজ করেছে বা করছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, “আমি চেয়েছি দেশের মানুষ শান্তিতে থাকুক। …আমি বুঝেছিলাম, জঙ্গিবাদ থাকলে কোনো দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। বিরোধী দলে থাকি, আর সরকারি দলে; যেটা নীতির ব্যাপার সেটার বিষয়ে সোচ্চার হওয়া।  শুধু সরকারি দলে আসলেই করব, বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় করব না এমন নয়। আমার দেশকে আমি ভালোবাসি। আর সে কারণেই এ বিষয়গুলোর বিরুদ্ধে সবসময় প্রতিবাদ করেছি।”

তিনি বলেন, “আর আমাকে তো অনেকবার হত্যার চেষ্টা হয়েছে। কয়েকবার না অনেকবার। এমনকি সামনে থেকে গুলি করেও হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে আমাকে। যখন বিভিন্ন অঞ্চলে গিয়েছি তখনও বাধা পেয়েছি। কিন্তু একটা বিষয়, এ দেশের মানুষ, যেখানে গিয়েছি সেখানে এত ভালোবাসা পেয়েছি। এই ভালোবাসা আমার শক্তি। সেটাই আমার প্রেরণা।”

‘লেট’স টক উইথ শেখ হাসিনা’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো তরুণদের মুখোমুখি হন প্রধানমন্ত্রী। গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সারাদেশ থেকে শিক্ষার্থী, উদ্যোক্তা, তরুণ পেশাজীবী, অ্যাথলেটস, খেলোয়াড়, সংস্কৃতিকর্মীসহ দেড়শোর মতো তরুণ অংশ নেন।

তরুণদের নানা প্রশ্নের জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শোনেন তরুণদের স্বপ্নের কথাও। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন ডা. নুজহাত চৌধুরী।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD