রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০১ অপরাহ্ন
শামীম আহমেদ (অতিথি প্রতিবেদক):
আসন্ন প্রাথমিক ভর্তি পরীক্ষায় উদ্দীগ্ন হয়ে পড়েছেন অভিভাবকরা। পাঠ্য বই থেকে প্রশ্ন হবে না বইয়ের বাহিরে দিয়ে প্রশ্ন হবে এটা নিয়ে ইতিমধ্যে ভাবনায় পড়ে গেছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা সহ তাদের অভিভাবকরা বলে জানা গেছে।
অভিযোগ রয়েছে কোচিং সেন্টার গুলো অতিমাত্রায় সিট দিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা অতিরঞ্চিত করে তুলেছে।
এরইধারাবাহিকতায় বরিশাল নগরীর ৪ টি সরকারী বিদ্যালয়ে তৃতীয় ও ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ভর্তি পরীক্ষা সম্ভাব্য চলতি মাসে অনুষ্ঠিত হবে । সে লক্ষে এরইমধ্যে নগরীর কোচিং বানিজ্য গুলো জমে উঠেছে। অনেকেই সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পিএসসি ও জে,এসসি সহ ভর্তি পরিক্ষায় কোচিং বানিজ্য অব্যাহত রেখেছে।
স্থানীয় পর্যায় বিগত দিনে যে ভর্তি বিরম্বনা ছিল তা এবার কমবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। চলতি বছরে বরিশালে ৪টি বিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ থাকায় স্বস্তিতে রয়েছে শিক্ষাথীদের অভিভাবকর্ া।এখন আর সরকারী জিলা স্কুল আর বরিশাল বালিকা বিদ্যালয়ের উপর এ অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের নির্ভর হতে হচ্ছে না।
নগরীর রুপাতলী শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত ও নগরীর কাউনিয়া শহীদ আরজুমনি সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি পুরোদমে চালু হওয়ায় শিক্ষার্থীদের জন্য এ বছর অনেকটা চাপ কমবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
আলাপকালে একাধীক অভিভাবকরা জানান,নতুন দুটি স্কুল পুরোদমে চালু হওয়ায় এটা বরিশালবাসীর জন্য আর্শীবাদ হয়ে দেখা দিয়েছে।জিলা স্কুল আর বরিশাল বালিকা বিদ্যালয়ে উপর চাপটা কম হবে আশা করা যায়। তবে প্রশ্নপত্র পাঠ্য বই থেকে হবে না বাহির থেকে হবে এটা নিয়ে আমরা উদ্বীগ্ন। বিদ্যালয় গুলোতে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল প্রশ্ন বোঝাতে অনেকটা অক্ষম। সেক্ষেত্রে সৃজনশীল প্রশ্ন কে বেশি গুরুত্ব দিলে কোমলমতি বাচ্ছাদের হিমশিম খেতে হবে। বিভাগীয় অনান্য শহরে সরকারী বিদ্যালয় গুলোতে ঈধঃপযসবহঃ ধৎবধ (ক্যাসমেন্ট এরিয়া) অর্থ্যাৎ বিদ্যালয়ের কাছাকাছি শিক্ষার্থীদের ৪০ শতাংশ কোটা অগ্রাধিকার থাকলে ও বরিশালে তা চালু হয়নি। এ দিকে মুক্তিযোদ্ধাদের পোষ্য কোটায় ৫ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধী কোটায় ২ শতাংশ এ পূনাঙ্গ কোটা অগ্রাধিকার ভির্ত্তিতে ভর্তীর অনুরোধ জানিয়েছে স্থানীয় আগ্রহী অভিভাবকরা। তাছারা প্রতি বছর গভীর রাতে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয় তাতে অভিভাবকদের ঝামেলায় পড়তে হয়্। তাই রাত ৯টার মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করলে দুরদুরান্ত থেকে আসা অভিভাবকদের সুবিধা হত বলে তারা জানায়।
আলাপকালে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বরিশাল অঞ্চলের উপ-পরিচালক মোঃ মোকসেদুল ইসলাম জানান ,এ ব্যাপারে মিটিং এ আলাপ হবে।আশা করি ফলপ্রসু হবে।আশা করি পাঠ্য পুস্তক দিয়ে ই প্রশ্ন করা হবে। যেহেতু এবার বরিশালে নতুন আরো দুটি বিদ্যালয় চালু হয়েছে। সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগ বেড়েছে।
কাউনিয়া শহীদ আরজুমনি সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক মোঃ এবাদুল ইসলাম বলেন,এ অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের জন্য আরো নতুন দুটি বিদ্যালয় চালু হওয়ায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগ বেড়েছে।আসন্ন পরীক্ষা উপলক্ষে আলোচনা সভা হবে। তার পর যাবতীয় বিষয় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
বরিশালের জেলা প্রশাসক এস,এম অজিউর রহমান জানান,সরকারী স্কুলে নীতিমালা অনুযায়ী সব কিছু হবে। সিলেবাস অনুযায়ী পাঠ্যপুস্তক থেকে প্রশ্ন করা হবে।