শনিবার, ০৫ Jul ২০২৫, ০৫:৩০ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
কলাপাড়ায় ফল উৎসব, কৃষক বাজার  ও শিশু পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন কলাপাড়ায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সুমনের সদস্য সচিব পদ স্থগিত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন চাঁদাবাজ দখলবাজ এবং দুর্নীতিবাজ মুক্ত মেহেন্দিগঞ্জ গড়তে চাই ।। মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ বিসিসি’র ২২নম্বর ওয়ার্ডের সড়ক ও ড্রেনেজ নির্মাণের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান বাউফ‌লে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এক যুবককে কুপিয়ে হ-ত্যা চাঁদাবাজ দখলবাজদের বিরুদ্ধে লিখনি বজায় রাখবে বাংলানিউজ – মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ কলাপাড়ায় দুই এইচএসসি পরীক্ষার্থী বহিস্কার সরকারি সৈয়দ হাতেমআলী কলেজের শিক্ষকদের বিদায় সংবর্ধনা শিক্ষাবোর্ড কর্মচারী বড় সিরাজের দলবদল পরিক্রমা শের-ই বাংলা মেডিকেলের মেডিসিন বিভাগ পূর্বের স্হানে ফিরিয়ে নেয়ার দাবীতে মানববন্ধন বরিশালে ছাত্রশিবিরের “সাথী শিক্ষা বৈঠক–২০২৫” অনুষ্ঠিত অসুস্থ শ্রমিকদল নেতার পাশে দাঁড়ালেন ফয়েজ খান কুয়াকাটায় অতিরিক্ত মদপানে পর্যটকের মৃত্যু সরকারি সৈয়দ হাতেমআলী কলেজের বিএ অনার্স (২০১৯-২০) এর শিক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত বরিশালে কাশিপুর ও বাঘিয়ায় সক্রিয় অপরাধীরা, প্রশাসনের নজরদারী বাড়ানোর দাবিতে মানববন্ধন
৮ ডিসেম্বর হানাদারমুক্ত হয় পটুয়াখালী

৮ ডিসেম্বর হানাদারমুক্ত হয় পটুয়াখালী

Sharing is caring!

১৯৭১ সালে ৮ ডিসেম্বর হানাদারমুক্ত হয় পটুয়াখালী জেলা। ১৮ নভেম্বর গলাচিপা উপজেলার পানপট্টিতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিবাহিনীর সম্মুখ যুদ্ধ হলে সেখানে বেশ কয়েকজন পাক সেনা আহত ও নিহত হয়।

দীর্ঘ আট মাস ধরে জেলার বিভিন্ন এলাকায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্মম তাণ্ডবে শহীদ হয়েছেন বহু মানুষ। শহীদদের স্মৃতি বিজড়িত স্থান গণকবরগুলো নির্ধারণ করে সংরক্ষণের দাবি সবার।

১৯৭১ সালের ২৬ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী প্রথম অতর্কিত বিমান হামলা চালায় পটুয়াখালী শহরের কালিকাপুর এলাকায়। এতে মাতবর বাড়ীর ১৬ জন নারী-পুরুষ ও শিশুসহ শহীদ হন ১৯ জন নিরীহ মানুষ। নির্বিচারে চলে গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ।

এদিকে মুক্তিযোদ্ধারা সংগঠিত হয়ে চোরাগুপ্তা হামলা চালাতে থাকলে ১৮ নভেম্বর গলাচিপা উপজেলার পানপট্টিতে হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিবাহিনীর সম্মুখ যুদ্ধ হয়। এতে বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি সেনা আহত ও নিহত হয়। পরিস্থিতি বুঝে সেখান থেকে পালিয়ে যায় পাকিস্তানি সেনারা।

এ বিজয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল আরও বেড়ে যায়। তারা বিভিন্ন স্থানে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে শুরু করেন। ৭ ডিসেম্বর বীর মুক্তিযোদ্ধারা হানাদারদের কোণঠাসা করে ফেলেন। ওই রাতেই একটি লঞ্চে করে পটুয়াখালী থেকে পালিয়ে যায় হানাদার বাহিনী।

৮ ডিসেম্বর মুক্ত হয় পটুয়াখালী। দলে দলে মুক্তিযোদ্ধারা জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে শহরে প্রবেশ করতে থাকেন। মুক্তিযোদ্ধারা প্রথমে শহীদ আলাউদ্দিন শিশুপার্কে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেন।

দিনটিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনে ব্যাপক কর্মসূচি নিয়েছে জেলার সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও তরুণ সংগঠনগুলো। এর মধ্যে সকালে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে স্মৃতিস্তম্ভে ফুল নিবেদন করবে সমকাল সুহৃদ, সকাল ৯টায় শহীদ আলাউদ্দিন শিশু পার্কে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও মুক্ত র‍্যালী করবে পটুয়াখালী ইয়ুথ ফোরাম, বিকেলে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসী গল্প শোনার আয়োজন করেছে পটুয়াখালীবাসী এবং সন্ধ্যায় আলোর মিছিল করবে পটুয়াখালী খেলা ঘর ও সুন্দরম।

এছাড়া, উপজেলা পর্যায়েও নানা আয়োজনে তরুণ প্রজন্মের কাছে দিবসটি গুরুত্ব তুলে ধরতে কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে যুদ্ধকালীন শহীদদের গণকবর ও স্মৃতি বিজরিত স্থানগুলো অরক্ষিত থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা ও দেশেপ্রেমিক জনতা।

পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর বলেন, বহু মানুষের রক্তের বিনিময়ে আমাদের দেশ আজ স্বাধীন।

শহীদদের অরক্ষিত গণকবরগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন তিনি।

জাতীয় সংসদ নারী আসন ৩২৯ এর কাজী কানিজ সুলতানা হেলেন বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগের বিনিময় আমাদের এ বাংলাদেশ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে স্বাধীন হয়েছে এ দেশ।

দেশের বিভিন্ন জেলা মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্স ভবন অসমাপ্ত রয়েছে। সেগুলো সমাপ্ত করার জন্য মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD