রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৫ অপরাহ্ন
ক্রাইমসিন২৪ অনলাইন ডেস্ক: কয়েক দফা জরিপ ও ফিজিবিলিটি স্টাডি করার পর অবশেষে আরেক মেট্রোরেল প্রকল্প এমআরটি-৫ এর রুট নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন এই মেট্রোরেলের এলাইনমেন্ট হলো- হেমায়েতপুর-বালিয়ারপুর-মধুমতি-আমিনবাজার-গাবতলী-দারুসসালাম-মিরপুর ১-মিরপুর ১০-মিরপুর ১৪-কচুক্ষেত-বনানী-গুলশান ২-নতুনবাজার-ভাটারা পর্যন্ত।
তবে শুধু রুট নয়, কবে নাগাদ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে এবং ব্যয় কতো হবে, সবকিছু ঠিক করে ৩৯৫ পাতার চূড়ান্ত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) তৈরি করে ফেলেছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। একইসঙ্গে চূড়ান্ত ডিপিপি ইতোমধ্যেই পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। ডিপিপির ওপর প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভার পর এটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উপস্থাপন করা হবে।
চূড়ান্ত ডিপিপিতে দেখা গেছে, ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভলপমেন্ট প্রজেক্টের (ডিএমটিডিপি) অধীন এমআরটি লাইন-৫ বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪১ হাজার ২৬১ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এর মধ্যে জাপানভিত্তিক বিনিয়োগ সংস্থা জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) ঋণ ৩০ হাজার ৭৫৬ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। এছাড়া ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২৮ এর ডিসেম্বর মেয়াদে প্রকল্পটির কাজ সম্পন্ন হবে।
পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সিনিয়র সহকারী প্রধান নাজমুল হাসান বলেন, নানা ধাপ পেরিয়ে আমাদের হাতে এসেছে এবার এমআরটি লাইন-৫ এর চূড়ান্ত ডিপিপি। আমরা কয়েকটি পিইসি সভা করে প্রকল্পটি একনেক সভায় উপস্থাপন করাবো।
হেমায়েতপুর থেকে গাবতলী হয়ে ভাটারা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এ লাইনটির ১৪ কিলোমিটার হবে পাতাল রুট; বাকি ছয় কিলোমিটার এলিভেটেড রুট। ফলে একই রুটে পাতাল ও উড়াল ব্যবস্থার সমন্বয়ে মেট্রোরেল হবে। এছাড়া প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য চলতি বছরেই ভূমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু করতে চাইছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত নতুন এই মেট্রোরেল রুটটি বাস্তবায়নে ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভলপমেন্ট প্রজেক্টের (ডিএমটিডিপি) অধীনে ভূমি অধিগ্রহণের জন্য এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রস্তাবিত এমআরটি রুট-৫ (নর্দান রুট) এ ১৪টি স্টেশন থাকবে। এর মধ্যে নয়টি স্টেশন হবে আন্ডারগ্রাউন্ডে অর্থাৎ মাটির নিচে। আর বাকি পাঁচটি স্টেশন থাকবে মাটির উপরে।
প্রস্তাবিত পাতাল স্টেশনগুলো হচ্ছে- হেমায়েতপুর, বালিয়াপুর, মধুমতি, আমিনবাজার, গাবতলী, দারুসসালাম, মিরপুর-১, মিরপুর-১০, মিরপুর-১৪। অন্যদিকে কচুক্ষেত, বনানী, গুলশান-২,নতুনবাজার, ভাটারা স্টেশনগুলো হবে উড়াল।
সংশ্লিষ্ট সূত্রটি এও জানায়, নানা কারণে প্রকল্পটি গ্রহণ করতে যাচ্ছে সরকার। ঢাকা শহরের আশপাশের ট্রাফিক কমিয়ে ফেলবে এটা। শহরের বাসিন্দাদের জন্য আধুনিক ও নিরাপদ ট্রানজিট ব্যবস্থা সরবরাহ করা হবে। এছাড়া ভ্রমণ সময় হ্রাস করাসহ দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে সরাসরি অবদান রাখবে প্রকল্পটি।
পরিকল্পনা কমিশনে চূড়ান্ত ডিপিপি পাঠিয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সচিব নজরুল ইসলাম বলেন, এমআরটি লাইন-৫ নির্মাণ প্রকল্পটি সরকারের মধ্যমেয়াদী বাজেট কাঠামোর আওতাভুক্ত। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (আরএডিপি) সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে ১৯ হাজার ৮০২ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। তা থেকে মেট্রোরেলের জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দেওয়া যাবে।