রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেক্স: বরিশাল ৫ সদর আসনে এখন আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী শুধুই আওয়ামী লীগ নিজেই। এখানে চারিদিকে এখন স্থানীয় সংসদ সদস্য পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের জয়জয়কার। ১৩ নভেম্বর সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যা বরিশাল ৫ আসনের বিভিন্ন ইউনিয়ন ও বরিশাল নগরীতে ঘুরে জানা যায়, বরিশাল সদর উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নের বেশিরভাগ গ্রামেই এখন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের সমান জনপ্রিয়তা। এই জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আওয়ামী লীগের একটি অংশ তাকে নাজেহাল করতে উঠে পরে লেগেছে। বিশেষ করে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে খোকন সেরনিয়াবাত বিজয়ী হওয়ার পর থেকে আওয়ামী লীগের ঐ অংশটির কেউ কেউ প্রকাশ্যে ‘প্রতিমন্ত্রী হঠাও, শ্লোগানও দিতে শুরু করেছে। আগামী নির্বাচনে জাহিদ ফারুক আর মনোনয়ন পাবেন না বলেও প্রপাগাণ্ডা ছড়াচ্ছে তারা।
বিশেষ করে বরিশাল সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র খোকন সেরনিয়াবাত তার বক্তব্যে সংসদ সদস্য পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুককে আবারো মনোনয়ন প্রদান এবং তাকে নিয়ে যৌথভাবে বরিশালের উন্নয়নের ঘোষণা দিলে আওয়ামী লীগের ঐ অংশটি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে বরিশাল নগরীতে মেয়র খোকন সেরনিয়াবাত এর জয়জয়কার শুরু হয়েছে। গত ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার মাধ্যমে বরিশালবাসীর উন্নয়নে প্রায় আটশো কোটি টাকা উপহার দিয়েছেন। এদিকে ১৩ নভেম্বর বিকেল তিনটায় নিজের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সদর উপজেলার চাঁদপুরা ইউনিয়নে দুটি এবং টুঙ্গিবাড়িয়ার পতাং এ একটি কাজের উদ্বোধন করেছেন প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অবঃ) জাহিদ ফারুক শামীম এমপি । পথে যেতে যেতে চরকাউয়ার জিরো পয়েন্টে জয় বাংলা ফলকের উদ্বোধন করেছেন, মতবিনিময় সভা করেছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে। এসময় মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কেবিএস আহমেদ কবির তার বক্তব্যে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কর্নেল (অবঃ) জাহিদ ফারুক শামীম এমপি’র সুনাম বরিশাল ছাপিয়ে গোটা দেশে তার কাজের প্রশংসা বিরাজমান। তিনি সারা দেশে প্রশংসীত হয়ে সম্মানিত হিসেবে মানুষের মাঝে স্থান করে নিয়েছে। তার কাজে শুধু সরকার দলীয় নয় বিরোধী দলের নেতৃবৃন্দরাও তার কাজের প্রশংসা মহান জাতীয় সংসদ এ বসে করে তাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। যা ইতিহাসে বিরল। বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এ্যাডঃ আফজালুল করিম তার বক্তব্যে বলেন, বরিশাল সদর
উপজেলায় কর্নেল(অবঃ) জাহিদ ফারুক শামীম এমপি এতটা উন্নয়ন করেছে তা শুধু লোকমুখে শুনতাম, আমি এ আসনের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখে অবাক হয়ে গেছি। তিনি এত সুন্দর করে এইসব প্রত্যন্ত এলাকাগুলোর উন্নয়নে এখারকার জীবন যাপন বদলে গিয়ে গ্রাম গুলো শহরে রুপান্তর হয়েছে৷ আপনাদের উপস্থিতি এবং আপনাদের তারবপ্রতি ভালবাসাই বলে দেয় তিনি কতটা আপনাদের নিয়ে ভাবেন কতটা উন্নয়ন করেছেন। আশাকরি এমন সৎ নির্লোভ নিরহংকারী ব্যক্তী আওয়ামী লীগের অহংকার আমাদের বরিশাল বাসীর গর্ব। আপনাদের উপস্থিতি এবং তার প্রতি যে ভালোবাসা আমি দেখছি তাতে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা তিনি ছাড়া অন্য কাউকে দেয়া হবে না এটা আমার আপনাদের মতনই বিশ্বাস।
বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডঃমাহাবুবুর রহমান মধু বলেন, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বরিশাল সদর আসনের সংসদ সদস্য কর্নেল (অবঃ) জাহিদ ফারুক শামীম এমপি এক যোগে বিগত ৫ বছরে যা উন্নয়ন হয়েছে তা এই আসনের সাধারণ মানুষ কোন দিন ভুলবে না৷ মহান আল্লাহ র রহমতে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুনরায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে আমাদের এই আসনে কর্নেল (অবঃ) জাহিদ ফারুক শামীম এমপি কে দিবেন ইনশাআল্লাহ । আমরা আমাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ সরুপ তাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করে নৌকার বিজয় উপহার দিবো প্রধানমন্ত্রীকে ইনশাআল্লাহ।
বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মনিরুজ্জামান এর সভাপতিত্বেবরিশাল সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ১৩ নভেম্বর সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টায় অনুষ্ঠিত চরকাউয়া ইউনিয়নে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচীর আওতায় ভাতাভোগীদের সাথে মতবিনিময় ও বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প এর শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বরিশাল মহানগর যুবলীগের যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হক খান মামুন, বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগ এর সাবেক সভাপতি জসিম উদ্দিন, বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি জোবায়ের আব্দুল্লাহ জিন্নাহ, সদর উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা রাজ্জাক, বরিশাল সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের অধিকাংশ চেয়ারম্যান, মেম্বার, স্থানীয় আওয়ামী লীগ এর সহোযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। এখান থেকে প্রতিমন্ত্রী চাঁদপুরার মৌলভীরহাট, টুঙ্গিবাড়িয়ার পতাং ও চরকাউয়ার কর্ণকাঠীতে সমাপ্ত হওয়া কাজের উদ্বোধন করেন। এসময় জাহিদ ফারুক বলেন,
পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপি বলেছেন, আমার কোনো নির্দিষ্ট নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিলোনা। সদর উপজেলার মানুষের চাহিদাই ছিল আমার ইস্তেহার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের দেয়া প্রতিটি প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন ঘটেছে এবং সারাদেশে তিনি উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছেন। দেশের এমন কোন স্থান নেই যেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে সরকার আবার ক্ষমতায় আসলে দেশের জনগণের প্রত্যাশা ও স্বপ্নের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সকল কার্যক্রম এগিয়ে নেবে।