শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২২ অপরাহ্ন
ক্রাইমসিন২৪ অনলাইন ডেস্ক : একদিকে তীব্র তাপদাহে পুড়ছে ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো, অন্যদিকে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে যাচ্ছে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটে। আরব সাগরে সৃষ্ট এ ঝড়ের প্রভাবে এরইমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দুইদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে উপকূলীয় এলাকার স্কুল, কলেজ।
আবহাওয়া অধিদফতরের বরাতে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘বায়ু’ উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে গুজরাট উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছেছে। এটি বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বাতাসের বেগে রাজ্যের পোরবন্দর এবং মাহুভার মাঝামাঝি স্থানে আঘাত হানতে পারে।
এরইমধ্যে উপকূলের লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় শুরু হয়েছে। যার মাধ্যমে প্রায় তিন লাখ লোককে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হবে। প্রায় ৭০০ ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে তাদের রাখা হবে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি ও বাতাস শুরু হয়েছে। মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন এলাকায় গাছপালা উপড়ে যাওয়ার খবর মিলেছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃষ্টিপাতের কারণে নিম্নাঞ্চল কুচ, দেবভূমি দরকা, পোরবন্দর, জুনাগ্রা, দিউ, গির সোমনাথ, আম্রিলিসহ আশপাশের এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে যাবে। এতে বন্ধ হয়ে যাবে যোগাযোগ ব্যবস্থা। এছাড়া তীব্র বাতাসে ঘরের চাল উড়ে যেতে পারে। বিচ্ছিন্ন হতে পারে বিদ্যুৎ সংযোগ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঝড়ের সার্বিক খোঁজ খবর রাখছেন। টুইটে কর্মীদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। আর পর্যটকদের নিরাপদে অবস্থানের জন্য বলেছেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানি।
সরকারিভাবে ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের (এনডিআরএফ) ৩৬টি দলকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নৌ, সেনা, কোস্টগার্ড, বিএসএফ সদস্যদের পাশাপাশি পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনে বিমান বাহিনীর সাহায্য নেওয়া হবে।