রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:১২ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎসব ২০২৫: টেকসই ভবিষ্যতের প্রত্যয়ে আয়োজন পটুয়াখালীতে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মানববন্ধন ও স্মারক লিপি প্রদান বাউফলে মায়ের সাথে খেলতে গিয়ে ছিটকে পড়ে শিশুর মৃত্যু কুয়াকাটায় চলছে ৩দিন ব্যাপী রাখাইনদের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই জলকেলি উৎসব সিদ্দিক সভাপতি, মিজান সম্পাদক। মহিপুর থানা যুবদলের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত গৃহবধূ হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে কুয়াকাটায় মানববন্ধন গৌরনদীতে চোর সন্ধেহে গনপিটুনিতে আহত যুবকের দুইদিন পর মৃত্যু কুয়াকাটায় আগুনে পোঁড়া বন পরিদর্শন কলাপাড়ায় পরীক্ষা কেন্দ্রে নকলে সহায়তার দায়ে দুই শিক্ষককে অব্যাহতি সড়ক সংস্কারের দাবীতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন বিক্ষোভ মিছিল বাড়িতে ছাগল ঢোকাকে কেন্দ্র করে দুই প্রতিবেশীর সংঘর্ষ, আহত-৪ বরিশালে ৬ দফা দাবিতে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ বরিশালের জেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে উৎস করের নির্ধারিত ফি কম নিয়ে দলিল রেজিষ্ট্রেশন করার প্রমান পেয়েছে দুদক কলাপাড়ায় কৃষকদের অবস্থান ধর্মঘট ও স্মারকলিপি প্রদান কলাপাড়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বিএনপি কার্যালয়সহ ৫টি দোকান ভস্মীভূত
জাতীয় নির্বাচনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে সশস্ত্র বাহিনী

জাতীয় নির্বাচনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে সশস্ত্র বাহিনী

Sharing is caring!

অনলাইন ডেক্স: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন করা হবে। সহিংস পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে ডাকলে তারা কেন্দ্রে যাবে।

সোমবার (২৯ আগস্ট) নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনী একটি নির্দিষ্ট এলাকায় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে। তারা টহল দেবে। আর গুরুত্বপূর্ণ যেটি- আমরা নির্বাচনের আগেই একটা রিপোর্ট নিই বিভিন্ন সূত্র থেকে, কোন কেন্দ্রগুলো ভার্নারেবল হতে পারে। র‌্যাব, বিজিবি, সেনার কাছে সেই তালিকা আমরা দিই। কারণ, পর্যাপ্ত সদস্য তো তাদের নেই। তারা পর্যালোচনা করে কোথায় সেনা, কোথায় র‌্যাব, কোথায় বিজিবি আলোচনা করে তারা সেই সিদ্ধান্ত নেয়।

আলমগীর বলেন, জোরপূর্বক কেউ ভোট দিতে চাইলে প্রথমে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সহায়তা নেবেন। তারা কুলিয়ে উঠতে না পারলে বিজিবি কিংবা সেনার সহায়তা নেবেন। আমাদের কন্ট্রোল রুম থাকে, সবার হাতে মোবাইল আছে, সাথে সাথে যোগাযোগ করবেন। বিজিবি যাবে, বিজিবি না পারলে সেনাকে ডাকবে। আশাকরি র‌্যাব, বিজিবি পারবে না এমন নয়। হয়তো লাখে একটা এমন ঘটনা ঘটতে পারে। সেটা হলে সে নির্বাচন বন্ধ থাকবে। পরবর্তী তারিখে আবার নির্বাচন হবে।

বিচারিক ক্ষমতাসহ সেনা মোতায়েন দেশের অন্যান্য আইন কভার করে না। এক্ষেত্রে মৌলিক আইন পরিবর্তন করতে হবে। এছাড়া যিনি ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন, তার হাতে বিচারিক ক্ষমতা থাকে না। মূল কথা হলো আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনী সহযোগিতা করবে। সেটাতে আমরা একমত হয়েছি। প্রতি কেন্দ্রে সেনা দেওয়া সম্ভব নয়। তাহলে তাদের আকার অনেক বড় করতে হবে। তবে সরকারের প্রস্তাব থাকবে। আশাকরি সরকার সে সহযোগিতা করবে।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহে রোডম্যাপ প্রকাশ করা হবে। সেখানে বিস্তারিত পরিকল্পনা থাকবে।

পৃথক দিনে ভোট গ্রহণ করার বিষয়ে সাবেক এ ইসি সচিব বলেন, একাধিক দিনে ভোট বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে করা কঠিন। তবে এজন্য আইনে কোনো বাধা নেই। গণ প্রতিনিধিত্ব আদেশে আমাদের দেশে একাধিক দিনে নির্বাচন করার ব্যবস্থা আছে। তবে আমাদের এখানে একাধিক দিনে নির্বাচন হয় না। কারণ এটা তো ছোট দেশ। ভারতে তো একদিনে সম্ভব নয়। আমাদের এখানে তো সম্ভব। বরং একাধিক দিনে করলে আরও নানা রকম জটিলতা দেখা দেবে। একটা সুবিধা করার জন্য আরও দশটা অসুবিধা যদি তৈরি হয়, সেই পন্থা অবলম্বন করা ঠিক হবে না।

তিনি আরও বলেন, মন্ত্রণালয়ের সেবা, কাজ ভিন্ন। ইসির অধীনে আনলে জনগণকে কষ্ট দেওয়া ছাড়া তো কিছু হবে না। তবে নির্বাচনের সময় যে সহযোগিতা দরকার, সেটা নেবো। তারা সেটা দিতে বাধ্য। শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ব্যাংক, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, তারা তো প্রেষণে নিয়োগ হয়। এটা অলরেডি আইনে আছে। কাজেই ইসির অধীনে মন্ত্রণালয় আনার প্রয়োজন নেই।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, কোনো দল নির্বাচনে আসা, না আসা গণতান্ত্রিক অধিকার। সেই অধিকার আমরা হস্তক্ষেপ করতে পারবো না। তারা কী ধরণের সহযোগিতা চয় তা আমাদের কাছে এসে বলতে হবে। এবং এমন সহায়তা চাইবে যেটা নির্বাচন কমিশনের দেওয়ার ক্ষমতা আছে। এখন একটা দল যদি বলে আমাদের ফান্ড দিতে হবে, সেটা দেওয়ার ক্ষমতা তো আমাদের নেই।

যারা আলোচনা করেছেন ইভিএমে নিয়ে, মতামত দিয়েছে তাদেরকেই আমরা আমলে নিয়েছি। বিএনপি তো আলোচনায় আসে নাই। আমরা পর্যালোচনা করে দেখেছি যে ইভিএমের পক্ষেই বেশি বলেছেন।

১৫০ আসনের ইভিএমে ভোট করার বিষয়ে তিনি বলেন, ইসি সচিবালয় বলেছে সম্ভব হবে বলে মনে করছেন তারা। বর্তমানে যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বে অস্থিরতা আছে। এখন কতটুকু কেনা সম্ভব হবে সেটা বলতে পারছি না। আমরা বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির কাছ থেকে ইভিএম নিই। তারাও তো নিজেরা তৈরি করে না, বিদেশে থেকে আনে। সচিবালয় বলেছে আগামী তিন মাসের মধ্যে তারা প্রজেক্ট করতে পারবে। পরবর্তীতে ক্রয় ও প্রশিক্ষণে তারা যেতে পারবে বলে মনে করছে। যদি বিদেশ থেকে আনতে এবং ফান্ড নিয়ে কোনো সমস্যা না হয় তাহলে ১৫০ আসনে সম্ভব।

জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) পাশাপাশি নিজস্ব কর্মকর্তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের বিষয়ে এই কমিশনার বলেন, অতীতে নির্বাচন করে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন, এছাড়া প্রশিক্ষণ রয়েছে, এতে আমরা কতজনকে প্রস্তুত করতে পারবো তার উপর নির্ভর করবে রিটার্নিং কর্মকর্তা পদে নিজস্ব কর্মকর্তা কতজনকে নিয়োগ করা হবে। এক্ষেত্রে এক জেলায় ডিসি অন্য জেলায় আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা বা সিনিয়র জেলা কর্মকর্তাকে নিয়োগ করা হতে পারে। আবার এক জেলার তিনটি আসনে ডিসি, দু’টিতে আমাদের কর্মকর্তা এভাবেও হতে পারে।

ইভিএমে কারচুপি নিয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিকের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি আরও বলেন, যে বলছে তাকে প্রমাণ দিতে হবে। উনি যদি আমাদের কাছে এসে দেখতে চান, জানতে চান, আমার উত্তর দেবো। উনি যদি প্রমাণ দিতে পারেন, তাহলে বাতিল করে দেবো। ওই বাইরে কে কী বলবো, তা দেখে তো আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। ১৮ কোটি মানুষ যদি বলে আমরা কোনটা করবো। তবে আমাদের কাছে এসে যদি বলে যে প্রমাণ করতে পারে যে ইভিএমে কারচুপি করা যায়, তা প্রমাণ করে দিয়ে গেলাম, তাহলে ইভিএমে ভোট হবে না।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD